বাংলাদেশ
প্রখ্যাত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন
বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর শামীম শিকদার (৭০)মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিখ্যাত আর্ট কিউরেটর ও আর্টকন এর প্রতিষ্ঠাতা এআরকে রিপন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একুশে পদক বিজয়ী এই ভাস্কর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৯ মার্চ তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির আগে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং জাতীয় কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেসে ভর্তি করা হয়েছিল।
রিপন ইউএনবিকে জানান, বুধবার সকাল ১১টায় তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।
১৯৫২ সালের ২২ অক্টোবর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী শিকদার ১৫ বছর বয়সে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) ভর্তি হন। ২৩ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের স্যার জন ক্যাস স্কুল অব আর্ট-এ চলে যান।
আরও পড়ুন: অভিনেতা খালেকুজ্জামান মারা গেছেন
দেশে ফিরে এসে তিনি ১৯৮০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাবির চারুকলা অনুষদে একজন অনুষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি লন্ডনে ফিরে যান।
তিনি তার শৈল্পিক উদ্যোগ সংরক্ষণের জন্য সাত মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন; তবে এরপরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
১৯৭৪ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
তিনি ১৯৯০ সালে ঢাবির টিএসসিতে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা' এবং ১৯৯৯ সালে ফুলার রোড এলাকায় 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
শিকদার ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার, ২০০০ সালে একুশে পদকে পান এবং আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৃত্যুকালে তিনি লন্ডনে বসবাসকারী দুই সন্তান রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি আবু আলম চৌধুরী আর নেই
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত।
সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান ভারত চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।
বিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়াঁ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিনিয়োগের বিভিন্ন খাত, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং বিডা’র সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বিডা’র মহাপরিচালক জনাব শাহ মোহম্মদ মাহাবুব।
এ সময়ে সভাপতির বক্তব্যে, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত একযুগে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও, দারুণ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা গন্তব্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়াও আমরা ইতোমধ্য ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৭টি হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ নানাবিধ বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
যার ফলে বাংলাদেশ এক দশক পরেই একটি উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময়।
এসময়ে ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন জি খইতান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবসময়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, ভারতীয় বিনীয়গকারীগণ সব সময়েই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সহযোগী হতে আগ্রহী।
সভায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি অভিক রয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো যাচাইয়ের জন্য আমরা চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছি।
এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত যাচাই করব। আমাদের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনয়োগ করতে আগ্রহী।
এ সময়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তার দেশ দুর্নীতি নির্মূলে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ফলে বাংলাদেশিরা মর্যাদাকর জীবন উপভোগ করতে এবং আরও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে পারে যে অন্য বাজারের তুলনায় এখানে দুর্নীতি কম, তাহলে এটি আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং দেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
মঙ্গলবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে ‘কল টু অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন সামিট;- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত হাস এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে এবং সব দেশের মানুষই জানে এটা কেমন।
হাস বলেন, ‘একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে 'ঘুষ' দিতে হচ্ছে, আপনি যদি পাসপোর্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান তবে আপনার অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে এমনকি আপনার কেনা জমি রেজিস্ট্রি করার জন্যও কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
তিনি বলেন, দুর্নীতি একটি পরজীবী, যা একটি সমাজের সম্পদ খায় ও এর শক্তিকে শুষে নেয় এবং এটি ব্যবসা ও সরকারের প্রতিটি স্তরকে ধ্বংস করতে পারে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমার নিজের দেশেও কিছু কুখ্যাত কেলেঙ্কারি ঘটেছে।’
তিনি বলেন, এসব দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ও অপরাধীদের জবাবদিহিতা করার জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যন্য দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ যখন এই ধরনের চেষ্টা চালায়, তখন তারা উন্নতি লাভ করে। আমি নিশ্চিত যে এটি বাংলাদেশেও হতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে আগ্রহী।’
হাস বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে মার্কিন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে মূল জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করি যা বাংলাদেশি ব্যবসাগুলোকে আন্তর্জাতিক মান ও নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করে এবং যা তাদেরকে বিশ্ব বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নৈতিক ব্যবসা চর্চা প্রচারের মাধ্যমে আমরা সব আকারের ব্যবসার জন্য আরও বেশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারি এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগকে উত্সাহিত করতে পারি।’
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) নতুন ব্যবসার জন্য একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করতে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি নতুন ব্যবসা নিবন্ধনকে আরও স্বচ্ছ, দ্রুত এবং আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
ইউএসএআইডি অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গেও কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
হাস বলেছেন, প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হয়েছে এবং বেসরকারি খাত ও সরকারের মধ্যে আস্থার পরিমাণ বাড়িয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সিএলডিপি) বাংলাদেশের আইনি ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য কর্মশালা পরিচালনার জন্য প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে।
সিএলডিপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গেও কাজ করে, যাতে আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নত করে পৌর শাসনের উন্নতি হয়।
এই কর্মসূচির অধীনে, সিএলডিপি জানুয়ারিতে মিয়ামিতে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রসহ একটি প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানায়।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তকারী ও অ্যাটর্নিদের প্রশিক্ষণ দেয়- কীভাবে অর্থ পাচারের তদন্ত এবং বিচার করতে হয়, কীভাবে ইলেকট্রনিক প্রমাণ ব্যবহার করতে হয় এবং কীভাবে আর্থিক অপরাধের তদন্ত করতে হয়।
হাস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্রের মধ্যেও একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি বিভিন্নভাবে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে বাংলাদেশের: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন আইনে যেমন আমেরিকান নাগরিক ও ব্যবসাগুলোকে দুর্নীতির জন্য দায়বদ্ধ থাকে, তেমনি আইন লঙ্ঘন করে দুর্নীতি চর্চাকারী অ-নাগরিকদের জন্যও আইন ও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতি কমাতে কী করতে পারে-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলা করতে এবং শাসন ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে ভাবা যেতে পারে।’
হাস বলেন, একটি উপায় হলো নগদ আর্থিক লেনদেনগুলো অনলাইনে সম্পন্নের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, ‘নাগরিকরা ইলেকট্রনিকভাবে বিল, জরিমানা ও কর পরিশোধ করতে পারে।
তিনি বলেন, এই ধরনের প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের টাকায় আমলাদের পকেট ভরার সুযোগ কমে যাবে।
হাস দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত ও উন্মোচনে একটি সক্রিয় নাগরিক সমাজ এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সুবিধা রয়েছে, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হবে। ‘কিন্তু আমেরিকান ব্যবসায়ী নেতারা আমাকে বলছেন: বহু-জাতীয় সংস্থাগুলোর কাছে বিনিয়োগের অনেক বিকল্প রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যে দেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে কম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কম, আইনের শাসনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা এবং তাদের ব্যবসার জন্য সর্বোত্তম লজিস্টিক অবকাঠামো আছে, স্বভাবতই এমন কোনও দেশকেই তারা বেছে নিতে চাইবে।
বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটির নানাবিধ প্রকল্পে উপকার পেয়েছে ৩ লাখ মানুষ
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি ২০২২ সালে বাংলাদেশে ১৮০০ উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে উপকৃত হয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সোমবার কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশ অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
কাতার চ্যারিটি গতবছর ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন খাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে লবণাক্ততাপ্রবণ উপকূলীয় এলাকায় ৫৪২টি গভীর নলকূপ, সোলার চালিত ওয়াটার পাম্প এবং আরও প্রযুক্তির ওয়াটার পিউরিফায়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট-২ প্রকল্পের উদ্বোধন
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসান ও আর্থিক স্বনির্ভরতামূলক খাতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৫০ টি প্রকল্প। বছরব্যাপী জরুরি ত্রাণ, ইফতার, যাকাত ও কোরবানি প্রজেক্টে উপকৃত হয়েছে ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষ।
এর বাইরে কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশের তিন হাজার ২০০ এতিম শিশুকে দিচ্ছে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা। কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অব্যাহত রয়েছে খাদ্য সহায়তাসহ নানা রিলিফ কার্যক্রম।
এছাড়া গতবছর কাতার চ্যারিটির সহায়তা পেয়েছে প্রায় দুই লাখ শরণার্থী।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় গত বছর এই সংস্থাটি ১৮৫ টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করেছে।
গত ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য পুরস্কার পেল র্যাবের কুকুর
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইউজিসি
মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সংগ্রহের নতুন রেকর্ড টাইগারদের
সিলেটে বাংলাদেশ ফের তাদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোরের রেকর্ড ভেঙেছে। এদিন মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৭০-রানে ভর করে টাইগারেরা ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেছে।
দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ছিল মুশফিকের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
শেষবার সেঞ্চুরির পর, গত ১৭টি ইনিংসে তিনি সেঞ্চুরি পাননি।
আয়ারল্যান্ড মোট ৩৪৯ বা তার বেশি রান তাড়া করে কোনো ওডিআই জিততে পারেনি। যার ফলে একই ভেন্যুতে আগামী ২৩শে মার্চের শেষ ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের দুর্দান্ত সুযোগ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টস জিতে আয়ারল্যান্ড প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩১ বলে ২৩ রান করে রানআউট হয়ে গেলেও লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১০১ রানের জুটিতে হাল ধরেন। কার্টিস ক্যাম্পারের বলে আউট হওয়ার আগে লিটন দাস ৭১ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭০ রান করেন।
আরও পড়ুন: ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলকে মুশফিক
শান্ত ৭৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর গ্রাহাম হিউমের বলে আউট হন।
সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয় বোলার হিউম ও মার্ক অ্যাডেয়ার আউট হওয়ার আগে যথাক্রমে ১৭ ও ৪৯ রান করেন।
তাওহিদ ৪৯ রানে আউট হওয়ার আগে দুর্দান্ত খেলছিলেন, ঠিক যেমন প্রথম ম্যাচে তিনি ৯২ রান করেছিলেন।
মুশফিকুর এবারের ইনিংস গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। মুশি মাত্র ৬০ বলে একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন, যার মধ্যে ১৪টি চার এবং ২টি ছক্কা ছিল।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে সাকিবের আগের রেকর্ড ভেঙে, মুশফিকের ব্যক্তিগত ও দলীয় দ্রুততম ওডিআই সেঞ্চুরি এটি।
কার্টিস ক্যাম্পার ১০ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন, যেখানে মার্ক অ্যাডায়ার ৬০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন গ্রাহাম হিউম, তিনি ৫৮ রানে তিন উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারাল বাংলাদেশ
বিশ্বের শীর্ষ অসুখী দেশের তালিকায় ২০তম বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট -২০২৩ অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অসুখী দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। ‘অসুখী দেশের’ তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২০তম।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে। আর
মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন লেবানন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। হতাশাজনক তালিকার ১২তম অবস্থানে থাকা ভারত আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের তুলনায় ‘অসুখী’।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে প্রতিবেদনটি প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়। যা আজ (২০ মার্চ) পালিত হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশগুলোকে গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের মতো উৎস থেকে পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে ছয়টি প্রধান বিষয় বিবেচনা করে র্যাংঙ্ক করা হয়েছে: সামাজিক সমর্থন, আয়, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির অনুপস্থিতি।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই দেশগুলোর গড় জীবন মূল্যায়নও রয়েছে যা ১০টি সুখী দেশের তুলনায় পাঁচ পয়েন্টেরও বেশি কম (শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত চলমান স্কেলে)।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং আর্চারি: রিকার্ভ মিক্সড টিম ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ
বিশ্বের ২০টি অসুখী দেশ হলো-
১. আফগানিস্তান
২. লেবানন
৩. সিয়েরা লিওন
৪. জিম্বাবুয়ে
৫. কঙ্গো
৬. বতসোয়ানা
৭. মালাউই
৮. কমোরোস
৯. তানজানিয়া
১০. জাম্বিয়া
১১. মাদাগাস্কার
১২. ভারত
১৩. লাইবেরিয়া
১৪. ইথিওপিয়া
১৫. জর্ডান
১৬. টোগো
১৭. মিশর
১৮. মালি
১৯. গাম্বিয়া
২০. বাংলাদেশ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালে ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসাবে মনোনীত করে। তারপর থেকে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ব্যক্তি মনে করে যে দেশ হিসাবে সাফল্য নাগরিকদের সুখ দ্বারা পরিমাপ করা উচিত। কীভাবে সুখের পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় সে সম্পর্কেও উদীয়মান চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির কারণে, সরকারগুলো এখন জাতীয় সুখকে একটি কর্মক্ষম লক্ষ্য হিসাবে গড়ে তুলতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নর্ডিক দেশগুলো বিশেষ মনোযোগের দাবিদার, ফিনল্যান্ড বিশ্বের ‘সুখী দেশগুলোর’ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কারণ, তাদের ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণত উচ্চ স্তরের আস্থা রয়েছে। ‘তাদের কোভিড-১৯ মৃত্যুর হারও ২০২০ এবং ২০২১ সালে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ ছিল। নর্ডিক দেশগুলোতে প্রতি এক লাখে ২৭ জন যেখানে পশ্চিম ইউরোপের বাকি অংশে ছিল ৮০ জন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের পরে অন্যান্য শীর্ষ সুখী দেশগুলো হলো: ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, ইজরায়েল এবং নেদারল্যান্ডস।
বিশ্বের ২০টি সুখী দেশ
১. ফিনল্যান্ড
২. ডেনমার্ক
৩. আইসল্যান্ড
৪. ইসরাইল
৫. নেদারল্যান্ডস
৬. সুইডেন
৭. নরওয়ে
৮. সুইজারল্যান্ড
৯. লুক্সেমবার্গ
১০. নিউজিল্যান্ড
১১. অস্ট্রিয়া
১২. অস্ট্রেলিয়া
১৩. কানাডা
১৪. আয়ারল্যান্ড
১৫. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৬. জার্মানি
১৭. বেলজিয়াম
১৮. চেক প্রজাতন্ত্র
১৯. যুক্তরাজ্য
২০. লিথুয়ানিয়াে
আরও পড়ুন: লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের কাছ থেকে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে দু’টি শুভেচ্ছা পত্র হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, তারা চিঠিতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের অব্যাহত উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এই সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত হচ্ছে, তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
সম্প্রতি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিনব সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবদুল হামিদ।
সৌদি আরবের এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সৌদি আরব মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে পূর্ব লন্ডন আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ শীর্ষক এক বিশেষ স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: হো চি মিন ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম
তিনি বলেন, ‘দেশ বিভাগের আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তিতে বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন লাহোর প্রস্তাবে ধর্ম-ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের যে পরিকল্পনা দেয়া হয়েছিল তার মাধ্যমে বাঙালি জাতির মুক্তি ও উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তিনি দীর্ঘ ও আপোষহীন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বিশ্বে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন জাতি ও বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারাল বাংলাদেশ
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শনিবার আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারিয়ে রানের বিচারে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসান ও অভিষেক হওয়া তাওহিদ হৃদয় গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় জয় এনে দেন। চতুর্থ উইকেটে সাকিব ৮৯ বলে ৯৩ এবং হৃদয় ৮৫ বলে ৯২ রান করে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তাদের পার্টনারশীপ ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত্তি স্থাপন করে, যা আয়ারল্যান্ডের পক্ষে তাড়া করা খুব বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।
তাওহিদের ৯২ রান এখন অভিষেকে একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেরা ইনিংস।
ইবাদত হোসেন ৬ ওভার ৫ বলে মাত্র ৪২ রান দিয়ে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন, যা ওয়ানডেতে তার সেরা পারফরম্যান্স।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে: দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় আয়ারল্যান্ড, যার লক্ষ্য ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে বাংলাদেশকে একটি চমৎকার স্কোরে আটকে রাখা।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে গ্রাহাম হিউম ৬০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। এছাড়া মার্ক অ্যাডায়ার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও ক্যাম্পার একটি করে উইকেট নেন।
আয়ারল্যান্ডের ওপেনার স্টিফেন ডোহেনি ৩৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে ৩৪ রান করেন।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচ
সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কবি, লেখক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষক এবং অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংস্কৃতিকে অনুমতি দেয়া উচিত নয়। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই বহির্বিশ্বে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।’
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি এখন গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সবার জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে পৃথিবী এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। ফলে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজকে টাকা বানানোর যন্ত্রে পরিণত করা উচিত নয়: রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা এবং মানসিকতাও একই গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে।
'নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব' উল্লেখ করে হামিদ বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সৃজনশীল ও মেধাবী জনশক্তি অপরিহার্য। আলোকিতরাই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা এবং গর্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে না দিই, তাহলে তারা আত্মসম্মানে সচেতন নাগরিক হিসাবে বেড়ে উঠবে না।’
তিনি প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড় খুঁজে বের করার এবং গৌরবময় অতীতের কথাও বলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিন: রাষ্ট্রপতি