বাংলাদেশ
নারী ওয়ানডে: বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজেই অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই রবিবার ৬ উইকেটের বড় জয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সহজেই নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ ওভার ১ বলে মাত্র ৯৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এদিকে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন নাহিদা আক্তার।
জবাবে মাত্র ২৩ ওভার ৫ বলে লক্ষ্য তাড়া করে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেট হাতে রেখে এবং ১৫৭ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয়।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: খালেদের ৩ উইকেটে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু
এদিকে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেন সোফি মলিনেক্স। এছাড়া অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যালানা কিং ও জর্জিয়া ওয়ারহাম ২টি করে উইকেট নেন।
এলিস পেরি অপরাজিত ৩৫ রান করেন। এছাড়া বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন রাবেয়া খান ও সুলতানা খাতুন।
ব্যাটিং ও বোলিং এই দুই বিভাগেই নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের ফিল্ডিংও ভালো ছিল না।
সিরিজের আগে বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে দুই দল।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: ধনঞ্জয়ার দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে বড় ব্যবধানের লিডে শ্রীলঙ্কা
সিলেট টেস্ট: ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
আয়ারল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধু হিসেবে দেখা উচিত বাংলাদেশের: আইরিশ মন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অ্যান্ড ইমপ্লয়মেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কোভনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বন্ধু হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে পাবে বাংলাদেশ এবং দুই দেশ বৃহত্তর ক্ষেত্রে 'ঘনিষ্ঠ ও আরও কাঠামোগত সহযোগিতা' গড়ে তুলতে ইচ্ছুক।
চলতি সপ্তাহে ঢাকায় দুই দিনের সরকারি সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
কোভনি বলেন, 'আমি যেটি বলতে চাই তা হলো বাংলাদেশের উচিত আয়ারল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধু হিসেবে দেখা। যদি তারা ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে কিছু কঠিন বিষয় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে, তাহলে আয়ারল্যান্ড তাদের জন্য সমস্যাগুলো উত্থাপন করতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।’
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন সময় এবং এরপর বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা চাইবে, যা শুল্ক ও বাণিজ্যের সুযোগের ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে অগ্রাধিকারমূলক অবস্থান।
কোভনি বলেন, ‘আমি মনে করি ইইউ এ ব্যাপারে উন্মুক্ত। অবশ্যই, কিছু শর্ত থাকবে যা ইইউ বাংলাদেশের কাছ থেকেও চাইবে, শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার, পরিবেশগত বিষয়গুলোর সামগ্রিক আধুনিকীকরণ। ইইউর জন্য এটাই স্বাভাবিক। এটি প্রতিটি দেশের জন্য।’
তিনি বলেন, তারা সবসময় পরিবেশগত উন্নতি, কাজের পরিবেশ ও শ্রম উন্নয়নে জোর দেওয়ার চেষ্টা করেন। ‘আমি মনে করি যে এসব পুরণ করা সম্ভবপর।’
কোভেনির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলডিসিতে উন্নীত হওয়ার সময়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইইউর বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা উপভোগে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের অংশীদার হতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটু কথা বলেছেন।
বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে, তিনি বলেছিলেন, প্রযুক্তি, বিমানচালনা, খাদ্য ও পুষ্টি এবং ফার্মাসিউটিক্যালের মতো ক্ষেত্রে আইরিশ সংস্থাগুলোর জন্য এখানে অবশ্যই সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কোভনি বলেন, এই সম্পর্ককে ঘিরে কীভাবে পরিকল্পনা তৈরি করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'তিনি (সালমান) পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি কয়েকজন মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীকে নিয়ে আয়ারল্যান্ড সফর করতে চান, যাতে আমরা আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারি।’
মন্ত্রী কোভনি বলেন, তারা অন্যান্য উপায়গুলোও দেখেছেন যাতে তারা এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সম্ভাব্য ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
এখানে তৈরি করা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অন্য দেশগুলোর কোম্পানিগুলোকে আসতে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যবস্থা করতে উৎসাহিত করার বিষয়ে কথা বলেছেন তারা।
দুই দিনের সফরে কোভেনি নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উচ্চতর আয়ের দেশে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের অবস্থা এবং ইইউতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে সম্পর্কের পরিবর্তন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে আয়ারল্যান্ড এমন একটি দেশ যারা ইইউতে বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়। ইইউ যাতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝে তা নিশ্চিত করতে তারা ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, 'আমি এখানে ইইউ দূতাবাসের উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই এখনকার চেয়ে ভালো ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি কোনো সম্পর্কই নিখুঁত নয়, তবে বর্তমানের সম্পর্কটি একটি ইতিবাচক, দৃঢ় সম্পর্ক।’
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইবিএ-জিএসপি প্লাস সুবিধা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) ও 'জিএসপি প্লাস' সুবিধা অব্যাহত রাখতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন কামনা করেন পররাষ্ট্র।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভনির সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকা ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে এ দিন ঢাকায় অনারারি কনসুলেট উদ্বোধনের জন্য ধন্যবাদ জানান। আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন ঢাকায় অনারারি কনসুলেটে জমাদান চালু করে সহজীকরণের অনুরোধও জানান।
আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভনি বাংলাদেশে তার দেশের প্রথম কোনো পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন জানিয়ে এ দেশ থেকে আরও জনবল ও শিক্ষার্থী আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করেন।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যকরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানেও ইতিবাচক সাড়া দেন মন্ত্রী কোভনি।
এর আগে এ দিন সকালে বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়াকে হযরত শাহজালাল আন্তুর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজারে প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার বৈঠকে অংশ নেন।
রাজকুমারীর সঙ্গে সফররত সুইডেনের আন্তুর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জোহান ফরসেল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আত্মতুষ্টি নয় আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাঁচ হাজার বছরের জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
আমরা অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি, এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। আমরা আজ তার কন্যার নেতৃত্বে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলছি।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা
আগামী মে মাসে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ এপ্রিল এখানে আসবে জিম্বাবুয়ে দল।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ওয়ানডে: টস জিতে বোলিংয়ে লঙ্কানরা
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ যথাক্রমে ৩, ৫, ৭ মে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১০ ও ১২ মে ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
এদিকে বাংলাদেশে দুই ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজটি চলতি বছর থেকে পিছিয়ে ২০২৫ সালে নির্ধারণ করতে সম্মত হয়েছে বিসিবি ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড।
২০১৮ সালের পর এই প্রথম দুই দলের মধ্যে টেস্ট সিরিজ হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে: লিটন বাদ, ডাক পেলেন জাকের আলী
দ্বিতীয় ওয়ানডে: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের সংগ্রহ ২৮৬
প্রথম ওয়ানডে: বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
বুধবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকে। ফলে, এই সিরিজে বেশি রানের দেখা মিলতে পারে।
হেড টু হেড পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ৫৪ ওয়ানডের মাত্র ১০টিতে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে দুই দলই চাইবে আজকের ম্যাচ নিজেদের পক্ষে রাখতে। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ওয়ানডেতে লঙ্কানদের শক্ত প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আজ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান
শ্রীলঙ্কা একাদশ
আভিস্কা ফার্নান্ডো, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, দিলশান মাদুশঙ্কা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ফের বোলিং করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের নতুন চুক্তি সই
দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সই হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং নেদারল্যান্ডসের কর ও কর প্রশাসনমন্ত্রী এমএলএ ভ্যান রিজ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
এরই মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে নানা পরিবর্তন এসেছে, যেমন ওইসিডি মডেল বা জাতিসংঘের মডেল।
এছাড়া স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন চুক্তিতে ৩৩টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে করের পরিধি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, আবার নতুন বিষয় উৎপত্তির জন্য কিছু নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে।
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তিতে বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কারিগরি সেবা ফি সংযোজনের ফলে সেবার বিপরীতে সেবা ও বিল পরিশোধের ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর আদায় নিশ্চিত করা হবে।
নতুন চুক্তিতে শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা বাংলাদেশে করযোগ্য বলে বিধান রাখা হয়েছে। ফলে উৎস দেশে বাংলাদেশের অর্জিত মূলধনী মুনাফা থেকে কর আদায় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যমান চুক্তির কোনো অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত নয় এমন কোনো আয়ের ক্ষেত্রে করদাতার উপর তার নিজ দেশে কর আরোপের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তিতে সংশোধন করে করদাতার এ ধরনের আয় যে দেশে উৎপন্ন হয়, সেখানে করারোপ করা হয়েছে।
দাবি করা কর আদায়ে সহায়তার জন্য একটি অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ উভয় রাষ্ট্রকে রাজস্ব আদায়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। নেদারল্যান্ডসের ১৫টি অংশীদার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে ২০০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। দেশটি বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, গলদা চিংড়ি, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং বাইসাইকেল।
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শাকসবজি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান, জীবন্ত প্রাণী (পশু ও পাখি), খনিজ, রাসায়নিক, ওষুধ, জৈব রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবারসহ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) দিক থেকে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস।
জ্বালানি, বাণিজ্য, চামড়া খাত, চামড়াজাত পণ্য ও সিমেন্ট খাতে নেদারল্যান্ডসে বিনিয়োগ বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অসঙ্গতি দূর করতে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংশোধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস নতুন চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থ সচিব, নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সোনজা কুইপ।
আরও পড়ুন: ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ঈদ উপলক্ষে দারাজ নিয়ে এলো গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪
ঈদ সামনে রেখে দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে ঈদের সেরা ক্যাম্পেইন ৩.৩ থেকে ৪.৪ গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্ট।
১০ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা পাবেন অসাধারণ ডিসকাউন্ট, অনন্য অফার এবং সুরক্ষিত কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
প্রতিটি ক্রয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রিয়জনদের ভালোবাসা ও আনন্দ উপহার দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
‘ভালোবাসা পৌঁছে যায় দারাজ থেকে দরজায়’ এই স্লোগানের অধীনে গ্র্যান্ড ঈদ উৎসব আপনাকে প্রতিদিনের সেরা দামের নিশ্চয়তা দেয়।
৫০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার থেকে শুরু করে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের হট ডিলে এবং ফ্ল্যাশ সেলের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের পণ্যগুলি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন।
এছাড়াও, বেশি কিনে বেশি ছাড়ের অফারের সুবিধা ও ৪৯৯ টাকার নিচের পণ্যগুলিতে প্রতিদিনের কম দামের সুযোগ নিয়ে ফ্রি ডেলিভারি উপভোগ করতে পারবেন।
সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ১০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রি পেমেন্টে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ থাকছে।
পাশাপাশি ৪২০ টাকায় যেকোনো ৩টি পণ্য এবং ১৯৯ টাকার নিচের প্রতিদিনের অফার সমূহ থাকছে ক্রেতাদের জন্য।
ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেম, হোম ডেকোর, গ্রোসারি পণ্য, মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় পণ্য এবং বিউটি পণ্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য সরবরাহ করে দারাজ।
গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক্স আপগ্রেড করতে অথবা হোম ডেকোরের পুনর্নির্মাণ করতে যাই চান, সবার জন্যই দারাজের কাছে কিছু না কিছু অফার থাকছে।
কো স্পন্সর হিসেবে এই ক্যাম্পেইনে আছে লটো, প্যারাসুট এডভান্সড, বিয়ারডো, হায়ার, বাটা, এবং নেসলে।
ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে লিভন, ওগেরিও, সাফোলা, বেসআস, লুই উইল, স্কেমেই, ইউগ্রিন, অরাইমো, হোমেল, স্কিনক্যাফে, মোশন ভিউ, ইস্কয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, এপেক্স, আর স্প্রিন্ট।
এছাড়াও এই ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে বিকাশ, সিটি ব্যাংক, ইবিএল, ইবিএল কো ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড, এইচএসবিসি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক, পিবিএল, এসসিবি, এসইবিএল, ব্রাক ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক, এবং ব্যাংক এশিয়া।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং অভিন্ন স্বার্থে তারা একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দেই। একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ আমাদের অভিন্ন স্বার্থ অনুসরণ করতে উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।’
সোমবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অঞ্চলে তথাকথিত 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা সম্পর্কে প্রক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলার বলেন, ‘এই প্রচারণা সম্পর্কে আমরা জানি। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবশ্যই মন্তব্য করব না, সেটা বাংলাদেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এবং তারা তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চায়।
তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি তিন দিনের বাংলাদেশ সফর করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, 'আপনারা এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো নিয়ে আমার কাছ থেকে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের কথা শুনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আইনের অপব্যবহার করে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হতে পারে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তার ক্ষমতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভিরাক্কোডির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ব্যাপক সাড়া ফেলবে।
সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকায় পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দরপত্র আরও আকর্ষণীয় করতে এ বছর, আমরা কিছু নতুন বিষয় চালু করেছি- যেমন ব্রেন্টের সঙ্গে গ্যাসের দাম সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ব্যয় পুনরুদ্ধারের বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে।’
‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪-এর অধীনে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান’ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। যেখানে পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে (আইওসি) আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানিসচিব মো. নুরুল আলম এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
রবিবার বিদেশে বাংলাদেশি মিশনসহ স্থানীয় সংবাদপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটে দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি জমা দেওয়ার জন্য চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস দেওয়া হয়েছে।
দরপত্র অনুসারে, মোট ২৪টি অফশোর ব্লক- যার মধ্যে নয়টি অগভীর ব্লক- এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক দরপত্রের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
নয়টি অগভীর সমুদ্র ব্লক হলো এসএস-০১, ০২, ০৩, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ১০, ১১ ও ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক হলো ডিএস-০৮, ০৯, ১০, ১১,১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২।
দরদাতা এককভাবে বা অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে এক বা একাধিক ব্লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করতে পারেন।
দরপত্রে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সফল দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।
তৌফিক এলাহী চৌধুরী জানান, সম্ভাব্য দরদাতা হিসেবে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এমন ৫৫টি আইওসিকে দরপত্রের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে একটি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন যা নিলাম রাউন্ডে আইওসির অংশগ্রহণের একটি কারণ হতে পারে।
নসরুল হামিদ বলেন, এটি একটি উন্মুক্ত আহ্বান এবং যোগ্য কোম্পানি যেকোনো ব্লকের জন্য দরপত্র জমা দিতে পারবে। আগ্রহী দরদাতাদের নিয়ে রমজানের পর একটি প্রাক-নিলাম সভার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ১০ মার্চ