জেলে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ২ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করে। ৫ জানুয়ারি ট্রলারটি ডুবে গেলে ওই দুই জেলে নিখোঁজ হন।
নিহত দুই জেলে হচ্ছেন- বরগুন জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইউসুফ (২৫) ও একই গ্রামের মো. আমিনের ছেলে বায়েজিদ (২০)।
কোস্ট গার্ড কচিখালী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কাজী শামিনুল বারি জানান, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে ৬ জানুয়ারি থেকে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পারিচালনা করে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে বুধবার ভোরে সাগরের পদ্মা সুইচের ঘোপ এলাকায় ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত ইউসুফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদ্মার চরের কাছ থেকে বায়েজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
দুই জেলের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এর আগে ৬ জানুয়ারি ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করা হয়।
কাজী শামিনুল বারি আরও জানান, দুই জেলে ৫ জানুয়ারি রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরার জন্য জাল পেতে ট্রলারে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বাতাসের আঘাতে এ্যাংকরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে গেলে তারা নিখোঁজ হন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দুইজন নিখোঁজ হয়। পরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিষয়টি কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
মোহনায় দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ জেলে নিখোঁজ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে পারশে পোনা আহরণ, ১৬ জেলে গ্রেপ্তার
বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ও খাল থেকে নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত প্রজনন সময়কালে পারশে পোনা ধরার অভিযোগে সুন্দরবন থেকে ১৬ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের অধীনস্থ নীলকমল বন টহল ফাঁড়ীর বঙ্গবন্ধুর চর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় দু’টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নীলকমল টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এই সকল ট্রলারসহ জেলেদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জেলেরা হলেন- পাইকগাছা উপজেলার মিঠু গাজী, আব্দুর রাজ্জাক টুটুল, ইসলাম গাজী, এনামুল গাজী, আলী হোসেন, আল-আমীন, নুরুজ্জামান, রুহুল আমিন মোল্যা, লিটু গাজী। দাকোপ উপজেলার রুবেল গাজী, আলী হাসান শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, ইউসুফ শেখ, ফজলুর রহমান ও বাচ্চু ফকির।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জেলেদেরকে কয়রা উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে অবাধে চলছে পারশে মাছের পোনা নিধন। মৎস্য প্রজনন এলাকা বা নিষিদ্ধ বনাঞ্চল ও বনের বিভিন্ন নদ-নদীতেনেটজাল দিয়ে পোনা ধরতে গিয়ে শতাধিক প্রজাতির জলজ সম্পদ নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে।
সুন্দরবনের আলোর কোল, দুবলার চর, বাটলুরচর, ছাচানাংলা, পশুর, আগুন জ্বালা, কালির চর, গেড়া চালকি, বজবজা, হংসরাজ, আন্দারমানিক, ঢাংমারী, ছিচখালী ও মজ্জত নদী থেকে বিপুল পরিমাণ পারশে মাছের নিষিদ্ধ পোনা আহরণ করে।
এক্ষেত্রে মনো ফিলামেন্ট নেট ব্যবহার করায় পারশে পোনাসহ নিধন হচ্ছে বাগদা, গলদা ও বিভিন্ন প্রজাতি মাছের পোনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, দ্রুতগামী ট্রলারের মাধ্যমে প্রতিটি দলে ৮/১০জন জেলে দুইশ’-তিনশ’ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪০-৫০ মিটার প্রস্থ নেট জালের মাধ্যমে প্রতি টানায় কয়েক মন বিভিন্ন প্রজাতির পোনা ধরে নষ্ট করছে। এভাবে ২০-২৫টি দল প্রতিদিন পোনা শিকার অব্যাহত রেখেছে।
পশুর নদী ওয়াটার কিপারের (সুন্দরবনকেন্দ্রিক পেশাজীবী সংগঠক) সমন্বয়ক মো. নুর আলম শেখ জানান, একশ্রেণির মহাজন অতিরিক্ত মুনাফার লোভে গরীব জেলেদেরকে হাজার হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে পোনা নিধনের জন্য সুন্দরবনে পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিদেশি অস্ত্রসহ ৬ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক
চট্টগ্রামে ২ ওসিকে মারধরের ঘটনায় ৩ আনসার ও এক ওসি প্রত্যাহার
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
শনিবার দপুর থেকে লং রেঞ্জ পেট্রোলের মাধ্যমে একটি বিশেষ অভিযানিক দল ‘এলিট টাইগার্স’ ট্রলারযোগে সুন্দরবনে প্রবেশ করে।
এ অভিযানের মাধ্যমে সাম্প্রতিক নব্য বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা, দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য নৌ-পুলিশ, বন বিভাগ এবং কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয় সাধন, মাঠ পর্যায়ে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনার স্থান রেকি করা, আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলে র্যাব-৬ এর পক্ষে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
র্যাবের আভিযানিক দলটি সুন্দরবনের শরণখোলা, জয়মনি, বড়ইতলা, আন্ধারমনিক, মৃগামারি এলাকাসহ বনের শ্যালা নদীর বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালাবে। এছাড়া অভিযানের জন্য র্যাবের আরেকটি দলকে একটি স্পিডবোট ও বেঙ্গল টাইগার্স নামে অপর একটি ট্রলারসহ পূর্ণপ্রস্তুতি সহকারে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
তিন দিনের এ বিশেষ অভিযান প্রয়োজনে বাড়ানো হবে বলে র্যাব ।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাব অনেক ঘাম ঝরিয়েছে, কষ্ট করেছে। যে কোনো মূল্যে সুন্দরবন যেন দস্যুমুক্ত থাকে, দস্যুদের পুনরাবৃত্তি যেন ওই এলাকাতে না ঘটে সেজন্য আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হবে, সেই মূলমন্ত্রকে নিয়ে আমরা অভিযানগুলো পরিচালনা করছি।
তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে ১০ থেকে ১৫ জন অপহৃত হয়েছিল। আমাদের চার থেকে পাঁচটি টহল টিম এবং গোস্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। তখন তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে মুক্তিপণ দিয়ে আসছিল, আবার অনেকে পরবর্তীতে আমাদের আনাগোনা দেখে চলে আসে। বিষয়টি মিডিয়াতে আসে এবং যারা জেলে তারাও ভয় পায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সুন্দরবন এলাকা দস্যু মুক্ত করা। আমরা যে তথ্য পেয়েছি তারই আলোকে কাউকে যদি আটক করতে পারি তাও করা হবে। আর জেলেদের অভয় দেয়া যে আমরা আছি আপনাদের পাশে। কোনো দুস্কৃতিকারী বা জলদস্যু যেন ক্ষতি করতে না পারে র্যাব সব সময় বলবৎ থাকবে। তারা এমন কোনো পরিস্থিতিতে না পড়ে সেই উদ্দেশ্যেই আমরা অভিযান শুরু করেছি।
সুন্দরবনে পূর্বের কোনো দস্যুবাহিনী নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দুষ্টলোক বা জেলেদের মধ্য থেকে কেউ কেউ আধিপত্য বিস্তারের জন্য বা অপহরণ করে টাকা পয়সা আদায়ের জন্য দস্যু হওয়ার পরিকল্পনা করছে। নব্য জলদস্যু বলা যেতে পারে। আর পুরাতন যারা তাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। তাদের মামলা, পুনর্বাসনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো আমরাই দেখভাল করি। তাদের দুঃখ-কষ্টসহ অন্যান্য বিষয় বিশেষ করে র্যাব-৬ দেখে থাকে। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেই অনুযায়ী বিচ্ছিন্ন কিছু লোকজন র্যাবের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু করা যায় কিনা। কিন্তু আমরা কোন অবস্থাতেই সেটি করতে দিব না।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আপাতত তিন-চার দিন অভিযান পরিচালনা করবো। প্রয়োজনে আরও সময় বাড়িয়ে নেবো। সুন্দরবন সার্বক্ষণিক আমাদের নজরদারীর মধ্যে থাকবে। যাতে করে জেলেরা যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য যায় তারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের কার্যকলাপ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে নয়ন বাহিনী নামের একটি নব্য বনদস্যু দল সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়ির খাল ও হরমাল খাল এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে।
অপহরণের ছয় দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে দস্যুদের কবল থেকে অপহৃত জেলেরা ছাড়া পায়।
আরও পড়ুন: ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা
সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
মেঘনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে নিখোঁজের চারদিন পর জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ২৮ নভেম্বর দুই ট্রলারের সংঘর্ষে মাছ ধরার নৌকা থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন জেলে শাহাবুদ্দিন (২২) ।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল এলাকায় লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা চাঁদপুর নৌ থানায় খবর দেয়। পরে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে ভুট্টাখেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
দুপুরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিকট আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলে শাহাবুদ্দিন চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের প্রধানিয়া কান্দির বাচ্চু প্রধানিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর সকালে চাঁদপুর শহরের মাছঘাট থেকে জেলে নৌকা এবং পুরাণ বাজার ভুঁইয়ার ঘাট থেকে যাত্রীবাহী ট্রলার ছেড়ে যাওয়ার সময় মেঘনা মোহনায় ধাক্কা লেগে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন জেলে শাহাবুদ্দিন।
ঘটনার পর থেকে চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা করেও তার সন্ধান পায়নি।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলে শাহাবউদ্দিনের বাবা বাচ্চু প্রধানিয়াসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে দুপুরে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ভোলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
২৮ কেজির ভোল মাছ বিক্রি হলো সাড়ে ৮ লাখ টাকায়!
বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। ২৮ কেজি ওজনের ওই ভোল মাছটি আট লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।
বঙ্গোপসাগরে গভীরে ৪নং বয়া এলাকায় জাল ফেলতেই জেলে সবুর সিকদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামে।
সুন্দরবন বিভাগ জানান, ভোল মাছ গভীর সাগরে বিচারণ করে থাকে। চলতি বছরে জেলেদের জালে বিভিন্ন ওজনের ২৫টি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। প্রতিটি ভোল মাছ দুই লাখ টাকা থেকে প্রায় নয় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দুবলারচরে রামপালের মাছ ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, দুবলারচর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গভীরে ৪নং বয়া এলাকায় সাগরে জেলের জালে সামুদ্রিক একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। সোমবার ওই মাছটি ধরার পরার পর জেলে মাছটি বিক্রি করার জন্য দুবলায় নিয়ে আসে। ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
তিনি আরও জানান, খুলনার মাছ ব্যবসায়ী মাসুম আলী ওই ভোল মাছটি কিনেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা ফরেস্ট ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, সামুদ্রিক ভোল মাছ অনেক মূল্যবান। মাঝে মধ্যে জেলেদের জালে ভোল মাছ ধরা পড়ে। পোয় প্রজাতির এই মাছটি কৈয়া ভোল নামে বেশি পরিচিত।
ক্রেতাদের কাছে এই মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. শেখ বদিউজ্জামান রাসেল জানান, সামুদ্রিক ভোল মাছের ফুসফুস দিয়ে অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত সুতাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
তিনি আরও জানান, এছাড়া ওই মাছ ক্রয় করার পর নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সঞ্জাম তৈরি করা হয়।একারণে ভোল মাছের মূল্য বেশি।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত মাছ পেয়ে খুশি সুন্দরবনের জেলে ও ব্যবসায়ীরা
এক ভোল মাছের দাম প্রায় লাখ টাকা!
ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে
ভারত থেকে তিন মাস পর দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে। মঙ্গলবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পাসে তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
ফেরত আসা ২৬ জেলে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি ২৬ জন জেলে ভারতের কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ফ্লাডসেন্টার ও মইপিঠ শেল্টার হোমের নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন। দুই দেশের সহযোগিতায় তাদেরকে বাংলাদেশে দ্রুত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসা জেলেদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার আজই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
উল্লেখ্য গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশি এসব জেলেরা। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তারা সাগরের ভারত সীমান্তে গেলে তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠাল ভারত
সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
বরিশালে ৬শ' কেজি জাটকা ইলিশসহ ৩৩ জেলে আটক
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোট ও একটি স্টীল বডির ট্রলার থেকে ছয়শ' কেজি (১৫ মন) জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় জড়িত ৩৩ জন জেলেকে আটক করে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গনমাধ্যমকে জানান কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন কে এম শফিউল কিঞ্জল।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার চরমোনাই ব্রীজ সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অধিনস্ত বিসিজি স্টেশন। পরে দুটি ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোট ও একটি স্টীল বডির ট্রলারে তল্লাশি করে ছয়শ' কেজি (১৫ মন) জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এসময় মাছ ধরার কাজে জড়িত থাকায় ৩৩ জন জেলেকে আটক করে কোষ্টগার্ড।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠাল ভারত
পরে ফিশিং ট্রলার ও স্টিল বডিতে জাটকা ছাড়াও অন্যান্য মাছ থাকায় বরিশাল সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক জেলেদেরকে মুসলেকা নিয়ে বোট ও ট্রলারসহ ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়া মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানা, গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন কে এম শফিউল কিঞ্জল জানান, আইন শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, জলদস্যুতা, বন-দস্যুতা ও ডাকাতি দমনের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
বাংলাদেশি ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠাল ভারত
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভারতে আটক ৪০ জন বাংলাদেশি জেলেকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে ৭২ দিন আটক থাকা ৪০ জন জেলেকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সুন্দরবনে জেলে বাওয়ালীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার পরপরই জেলেদের ফিরিয়ে আনতে আমি একাধিকবার ভারতে গিয়েছি। ভারতের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০ জন জেলে আটক রাখা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ১৯ আগস্ট গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালি বাগেরহাটসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়।
ট্রালারের জেলেরা সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সে সময় তাদের আটক করে। ৭২ দিন আটক থাকার পর আইনি প্রক্রিয়ায় শেষে আজ তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইউনুছ আলী নামে একজন জেলের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশনের কাছ থেকে ‘জাস্টিস এন্ড কেয়ার’ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে প্রত্যেকের সজনদের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সুন্দরবনে জেলে বাওয়ালীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে
ধেয়ে আসছে সাতক্ষীরা উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কয়েক ঘন্টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাতক্ষীরায় বিরাজ করছে গুমোট আবহাওয়া।
সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। আকাশে প্রচন্ড মেঘ। দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বৃষ্টির মাত্রা বাড়ছে। সাতক্ষীরা উপকূলের নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন লোকালয়ে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ইতোমধ্যে সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালীদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জেলায় ৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি পয়েন্টে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন এড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ২০ হাজার জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলার আশাশুনি উপজেলায় ১০৮টি, শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, সুপেয় পানিসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সুন্দরবন ঘেষা দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, নদী সাঙ্গাতিক উত্তল। নদীর পানি বেড়েছে প্রায় দুই ফুট। একাধিক স্থান যে কোন সময় ধ্বসে পড়বে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া বইছে। কখনও ভারী আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মানুষের মধ্যে আতংক রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। সন্ধ্যার আগেই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হয়েছে।
আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আম্পানের ক্ষতি এখনও মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে সিত্রাং এর খবর শুনে মানুষ আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের অবস্থা আগে থেকেই নাজুক। এছাড়া জলোচ্ছ্বাস হলে এলাকায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
বরিশালে বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. পারভেজ হাসান।
তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ ও পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চালিয়ে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩৫টি ট্রলার, আট লাখ মিটার জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। তাছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর চরমোহন মাছের অস্থায়ী আরত ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে। এ কারণে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু জেলে নদীতে ইলিশ শিকার করে। তাই আমরা রাতে নড়িয়ার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ অভিযান। সবার সহযোগিতায় আমরা মা ইলিশ রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো।
অভিযানের সময় নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মৃধা, নড়িয়া থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ২৪ ঘন্টায় জেলার নড়িয়ায় ২৭ জন, ভেদরগঞ্জ আট জন ও গোসাইরহাট উপজেলায় ছয় জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আট লাখ ৩০ হাজার মিটার জাল ও ১৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। এদের মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ টন চাল দেয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ ভারতীয় জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে আটক