কর্মসূচি
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বিএনপিকে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজ(শনিবার) ৫৫০টি থানা ও উপজেলায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল এবং প্রায় সর্বত্র পুলিশ বাধা দেয়। ঢাকা মহানগরীতে, প্রায় সব নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।’
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতার উস্কানিনিতে সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার সহিংসতা চালাচ্ছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আমাদের উস্কানি দিয়ে অন্য পথে নিয়ে যেতে চায়।’
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় ১০ দফা দাবি আদায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সর্বব্যাপী দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করার জন্য এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
ফখরুল দাবি করেন, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাদের দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করছে। এটা একটা কাপুরুষোচিত শাসন যা মানুষকে ভয় পায়। তাই তারা জনগণকে কোনো সমাবেশ করতে দেয় না। তারা জনগণের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে কয়েক হাজারকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, সময় এসেছে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের জনগণ ও তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেউ এখন বলছে না বাংলাদেশ খুব ভালো, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) সংসদে বিদায়ী ভাষণে তাদের (আ.লীগ) নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কিছু সত্য কথা বলেছেন। তিনি প্রথম কথাটি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না। এটা আমরা বারবার বলে আসছি।’
রাজনীতিতে ভদ্রতা ও সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বক্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল। ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি)ও (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সংঘাত ভুলে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যে দল থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেই দল গণতন্ত্র ছাড়াই উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও জনমতের প্রতি সহনশীলতার অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
মনপুরায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ, আহত ২৫
ভোলার মনপুরায় শনিবার প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরের মুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। এসময় হামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।
অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার দাবি বিএনপির অন্তর্দলীয় কোন্দলের কারণে এসব ঘটতে পারে।
শনিবার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলমের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবদল সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন তাদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার সব উপজেলা ও থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি
এসময় তিনি বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তিনিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর কয়েক দফা হামলা করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এছাড়া নয়নের অভিযোগ, ‘তাদের ওপর হামলা করা হলেও পুলিশ বাধা দেয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মনপুরা উপজেলায়ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি পালন হওয়ার কথা ছিল।তিনি সকালে মনপুরা গিয়ে ডাকবাংলোতে অবস্থান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মহড়া দিতে শুরু করে এবং ডাকবাংলোর ভিতরে প্রবেশ করে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের কিছু না বলে উল্টো নয়নকে মনপুরা ত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। এমন পরিস্থিতিতে ডাকবাংলো থেকে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ বিএনপি নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে ডাকবাংলো থেকে জোর করে বের করে নিয়ে আসে। বাংলো থেকে বের হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করা হয়।’
পুলিশ তখন নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ করেন নুরুল ইসলাম নয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, ‘হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে বিএনপির মধ্যে অন্তর্দলীয় কোন্দল রয়েছে। এক গ্রুপ অপর গ্রুপের ওপর হামলা করে থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে আ.লীগের হামলায় কর্মসূচি পণ্ড
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
পিরোজপুরে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
পিরোজপুর জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের চারজন নেতা গুরুতর আহতের দাবি করেছে দলটি।
শনিবার দুপুরে পোস্টঅফিস সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন জানান, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পিরোজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর আগ মুহুর্তে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের চার জন নেতা গুরুতর আহত হয়।
এছাড়া ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সোহেল মঞ্জুর সুমনের ওপর হামলা চালিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করে।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল জানান, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি পালন শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরের প্রবেশের সময় পোস্টঅফিস সড়কে এলে বিএনপির-ছাত্রদলের লোকজন সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এ সময় সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যার কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কে বা কারা ইট ছুঁড়ে একটি গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
অবস্থান কর্মসূচির পূর্বে খুলনায় ১৬ নেতাকর্মী আটক: বিএনপি
খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে সামনে রেখে শুক্রবার রাতে দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিষয়টি জেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ খান বাদল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান শেখ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক নুরুল হক, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল খন্দকার, সিটি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন ও যুবদল নেতা নুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার বিনা পরোয়ানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা (সরকার) বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমনের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বাত্মক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানানোর জন্যও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
শিক্ষার্থীদের চোখে জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে আদর্শ স্কুলের চিত্র
বিদ্যালয়ে সহায়ক পরিবেশ এবং সমান সুযোগ ও সহায়তা পেলে জেন্ডার নির্বিশেষে প্রতিটি শিশু বিকশিত হতে পারে নিজ নিজ সম্ভাবনায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন তৈরিতে, জীবনের লক্ষ্য বেছে নিতে এবং সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি প্রতিটি বিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে আদর্শ বিদ্যালয়।
ঢাকায় আয়োজিত মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে এ কথাই বলেন অংশগ্রহণকারীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তত্ত্বাবধানে সুরভি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্প ও মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে যৌথ আয়োজনে রাজধানীর ঢাকার মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ নামে একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন মাউশির পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী এই মেলায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
মেলায় বিভিন্ন স্টল সাজিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত অতিথিদের সামনে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য তুলে ধরে এবং কিভাবে বিদ্যালয় তাদের এই ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে তা জানায়।
তারা আরও জানায় কীভাবে স্কুল থেকে শিখছে জেন্ডার সমতা সম্পর্কে।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জনাব প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক স্তরে দুইটি শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমরা মেয়ে শিশুসহ সকল শিক্ষার্থীর মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরির নেতৃত্ব দেন সেই স্কুলের প্রধান। তাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এটা কোন একক প্রচেষ্টা নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এছাড়া আদর্শ স্কুলে যোগ্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরির সুযোগ পাবে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর লিড-এসআরএইচআর ফেরদৌসি বেগম বলেন, মাউশি’র তত্ত্বাবধানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহায়তায় অল্প সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেন্ডার ইক্যুইটি মুভমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এই কার্যক্রমটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। যাতে করে সমাজে জেন্ডার সমতা এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
মাউশি’র উপ-পরিচালক (বিশেষ) সৈয়দ মইনুল হাসান বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং দেশকে সমৃদ্বির দিকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নাই। আর এজন্য দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
যেখানে মেয়েশিশু সহ সকল শিশু নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেকে তৈরী করে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
মাউশি’র সহকারি পরিচালক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, সকল স্কুল তখনই আদর্শ স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে যখন তারা জেন্ডার সমতা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে, শিক্ষকরা প্রশিক্ষিত হবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সমাপনী বক্তব্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সেন্ট্রাল এন্ড নর্দার্ন রিজিওন হেড আশিক বিল্লাহ বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ করা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপ্তিকরণ ও বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া রোধ করা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আজকের এই বিদ্যালয় পর্যায়ে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ কর্মসূচি আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবে, পেশাভিত্তিক জেন্ডার পক্ষপাতিত্ব দূর হবে যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বিদ্যালয়ের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের বেড়ে ওঠায় মায়েদের পাশাপাশি বাবাদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে শিশুরা জেন্ডার সমতার পরিবেশ নিয়ে বড় হতে পারে।
মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরভির নির্বাহী পরিচালক জনাব মো. আবু তাহের ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ কর্মসূচিটি সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং এই ধরনের কর্মসূচি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নে শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
মানিকনগর মডেল হাই স্কুল ও ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’- প্রকল্পের যৌথ আয়োজনে মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্টলে তাদের জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষকগণ তাদের বিদ্যালয়টি একটি মডেল স্কুল হিসেবে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও সহায়তা করে থাকে তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সর্বশেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে দেশাত্ববোধক গান, নৃত্য ও ডিসপ্লে প্রদর্শন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফখরুল দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল ৭টায় সাভারের জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
পরে তারা দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সেখানে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
এছাড়া সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
দিবসটি পালনে জাতীয় পত্রিকায় ক্রোরপত্র প্রকাশের ব্যবস্থাও নেবে বিএনপি।
আগামী ২৫ মার্চ মহানগর নাট্যমঞ্চে বা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করবে দলটি।
আগামী ২৭ মার্চ, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ’ করবে।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
সারাদেশে বিএনপির সকল জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা শাখা এবং দলের সকল সহযোগী সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকায় এবার স্বাধীনতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‘স্বাধীনতা দিবস এখন আরও প্রাসঙ্গিক এবং এটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, তাদের দল ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার নতুন শপথ নেবে।
স্বাধীনতা দিবসের আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য রাজনৈতিক রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ‘অস্বাভাবিক চোর’: ফখরুল
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন ইউনিটের যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মাতৃভাষার প্রতি বাঙালি জাতির সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার একযোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হবে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল বলেন, দিবসটি উপলক্ষে সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
ফখরুলের নেতৃত্বে একই দিন সকাল সোয়া ৬টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হবেন দলের নেতাকর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ করবেন এবং এরপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া সারাদেশে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ২৫ ফেব্রুয়ারি সব জেলায় পদযাত্রা, আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বিএনপি
রাজধানীতে রোডমার্চের তারিখ পরিবর্তন করল বিএনপি
বিএনপির ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘোষিত রোডমার্চ কর্মসূচি অনিবার্য কারণবশত ১৭ ফেব্রুয়ারি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে কি কারণে কর্মসূচি একদিন এগিয়ে নিল তা জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
দেশের অন্য মেট্রোপলিটন সিটি-চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, কুমিল্লা, ফরিদপুরে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের তারিখ জানান তিনি।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে দলের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের দল এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সমস্ত মেট্রোপলিটন শহরে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিছু অনিবার্য কারণে রাজধানীতে কর্মসূচির তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দুপুর আড়াইটায় বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা পৃথকভাবে মিছিল করবে।
প্রিন্স মহানগরের আওতাধীন সকল থানা ও ওয়ার্ডে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের রোডমার্চ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য জনদুর্ভোগ এড়িয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। এবং দলের ১০ দফা দাবি আদায় করার আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
এর আগে গত রবিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঘোষণা দেন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাজধানী ও সব মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: মোশাররফ
শ্যামলী রিংরোড থেকে রাজধানীর বসিলা অভিমুখে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার রোডমার্চের শুরুর পূর্ববর্তী সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং চাল, ডাল, তেল, আটা ও লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র এবং সরকারের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদের জন্যও দলের এই নতুন কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
বিএনপি’র সমমনা দল ও জোট যারা যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারা পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী সব শহরে একই কর্মসূচি পালন করবে।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ ও ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা ও বাধার অভিযোগের মধ্যে গত শনিবার সারাদেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচিরও আয়োজন করেছিল দলটি।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে আ.লীগ: বিএনপি
১১ ফেব্রুয়ারি সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশের সব ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য বিভাগেও সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবিতে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
বিএনপি ছাড়াও সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগসহ তাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দশ দফা দাবির লক্ষ্যে চার দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: ৪ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি
তিনি বলেন, তাদের দলের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি শাহজাদপুর থেকে মালিবাগ আবুল হোটেল এবং ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মিরপুর ১০ মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপি।
এছাড়া সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ