গ্রেপ্তার
মনপুরায় গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিন উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে।
মামলার অন্য চার আসামি হলো- মো. বেল্লাল মেকার, মো. হেলাল, মো. ইউসুফ দালাল, মো. সেলিম মেকার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১ টার দিকে নারী কন্ঠে তার নাম ধরে একাধিকবার ডাক দেয়। ঘরের দরজা খুলার সাথে সাথে অভিযুক্ত পাঁচজন তাকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে পাশের বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনসহ ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে রাত ১ টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বিকালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার দিন তার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না। সোমবার স্বামী বাড়িতে আসলে গৃহবধূ রাতে বাদী হয়ে এই পাঁচজনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পার্লার কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর চার আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
যশোরে ৬ যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার, ঢাকায় স্থানান্তর
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বহুল আলোচিত অভিযুক্ত ছয় যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পরেই অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সোপর্দের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বাঘারপাড়ার মৃত শুকুর বিশ্বাসের ছেলে আবুল হোসেন বিশ্বাস, সাদে আলীর ছেলে হোসেন আলী, ইন্দা গ্রামের সলীম মোল্লার ছেলে আবু বক্কর, আগড়া গ্রামের মৃত সায়েম উল্লার ছেলে লুৎফর রহমান, মৃত আরশাদ আলী মোল্লার ছেলে খয়বার রহমান ও মৃত করিম মোল্লার ছেলে নূর ইসলাম। তাদের মামলা চলমান ও বিচারাধীন আছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন ও যশোর জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রুপম কুমার সরকার এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৭ সালে এই ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার পর ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২৩ অক্টোবর যশোর জেলা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে যুদ্ধাপরাধী মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু
জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বাঘারপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়। গত ২৪ অক্টোবর (রবিবার) সকালে ডিবির ওসি রুপম সরকার ও বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্ত ছয় যুদ্ধাপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী কায়সারের আপিলের রায় ১৪ জানুয়ারি
রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পবা থানার পালোপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদী বই, মিছিলের ব্যানার, জামায়াত-শিবিরের সদস্য সংগ্রহ ফরম, ইয়ানত আদায়ের হিসাব বই ও চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মনিরুল ইসলাম (৫০), কলিম উদ্দিন (৬৮), আব্দুল মতিন (২৫), আব্দুল মমিন (২৫), ফয়সাল আহমেদ (২০), আজাহার আলী (৩৫), আবু বক্কর (৪২), আব্দুর রব (৩০), উজ্জল হোসেন (৩৪), আব্দুল হালিম (৩৫), ওবেদ (৫০) ও আবুল হোসেন (৬১)।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বেনাপোল থেকে ভোলা গ্রেপ্তার
শনিবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রহুল কুদ্দুস জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় পবা থানার ওই বাড়িতে জামায়াত শিবিরের কয়েকজন সদস্য দেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার লক্ষে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি’র গোয়েন্দা বিশেষ টিম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
মাত্র দুই মিনিটেই মুহিবুল্লাহকে হত্যা, কিলিং মিশনে ছিল ৫ জন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মিশনে আজিজুল হকসহ পাঁচজন সরাসরি অংশ নেয়। তাদের তিন জনের কাছে অস্ত্র ছিল। মাত্র দুই মিনিটে কিলিং মিশন শেষ করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জেরিন সুলতানার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজিজুল এ তথ্য জানায়।
শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের ১৪ এপিবিএন পুলিশ তাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে তিনি মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় বলে স্বীকার করে। এর পরই তাকে এপিবিএন পুলিশ উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে পুলিশ শনিবার বিকাল ৫টায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জেরিন সুলতানার আদালতে নিয়ে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানা আজিজুল হকের জবানবন্দি নেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কার্তিক চন্দ্র জানান, গ্রেপ্তার আসামি আজিজুল হক মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজিজুল জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ১ ইস্ট নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে তার সহকর্মীদের সাথে আলাপচারিতাকালে তাকে হত্যার মিশনে যে পাঁচজন রোহিঙ্গা অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে আজিজুল হক নিজেও অংশ নেয় এবং তাদের তিন জনের কাছে অস্ত্র ছিল। পাঁচজনের মধ্যে তারা তিনজন মুহিবুল্লাহর অফিসে ঢুকে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে। অপর দুই জন মুহিবুল্লাহর অফিসের বাইরে পাহারায় ছিল। মাত্র দুই মিনিটে হত্যা মিশন শেষ করে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে কোরআন শরীর অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন মূল হোতা ইকবাল হোসেনকে আজ দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল তাকে নিয়ে কুমিল্লায় আসে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার সুগন্ধ্যা বীচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানান, ৬টায় কক্সবাজার থেকে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশি পাহারায় ইকবালকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে আনা হয়। ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজছিল। কক্সবাজার তার অবস্থান নিশ্চিত হবার পর কুমিল্লা পুলিশ কক্সবাজার পুলিশকে জানালে তারা ইকবালকে গ্রেপ্তার করে।
এর আরগ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটিয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নেই। এখন সব নিয়ন্ত্রণে আছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কুমিল্লা ঘটনার দিন রাতে মাজার মসজিদে তিন বার গেছেন এই লোক। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সুনিশ্চিত যে, মসজিদে থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে তিনি এখানে রেখেছেন। প্ল্যান মাফিক করেছেন, কার নির্দেশে করেছে। কারো প্ররোচনায় হয়তো করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বলা যাবে মোটিভটা কী ছিল? সাজানো ঘটনা থাকতে পারে। জিজ্ঞেস করা হলে সব জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কোরআন অবমাননা: বায়তুল মোকাররম এলাকায় মুসল্লি-পুলিশ সংঘর্ষ
২ হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ঢাকায় গ্রেপ্তার
সিলেটের বিশ্বনাথের আলোচিত স্কুলছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলম দয়াল হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলমকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছে রমনা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সেগুন বাগিচার কাঁচাবাজার এলাকার নাভানা টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান।
গ্রেপ্তার সাইফুল উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বঞ্চিত করে বিশ্বনাথের সবচেয়ে বড় জলমহাল চাউলধনী হাওর ইজারা নিয়ে আলোচনায় আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। এরপর হাওরকে কেন্দ্র করে জন্ম দিতে থাকেন একের পর এক ঘটনার।
গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে চাউলধনী হাওরে পানি সেচকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছরকুম আলী দয়াল (৭০) নামে এক কৃষক মারা যান।
তার পরিবার অভিযোগ, হাওরের ইজারাদার সাইফুলের নেতৃত্বে তার লোকজনের মারধরে ঘটনাস্থলেই কৃষক ছরকুম আলী দয়াল নিহত হন। এ ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামি করে মামলাও দায়ের করেন তারা।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে আনসার আল ইসলামের সদস্য গ্রেপ্তার
সর্বশেষ, গত ১ মে বিকালে চৈতননগর গ্রামের সড়কে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের নজির পক্ষ ও ইসলামপুর গ্রামের সাইফুল পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্কুলছাত্র সুমেল নিহত হন।
সুমেল একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে সাইফুল আলমকে প্রধান আসামি করে ৩ মে রাতে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী এর মধ্যে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছেন। গ্রেপ্তার সাইফুল আলমকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসা হবে।’
কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার করার পর রাতেই তাকে কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুমিল্লার সেই ইকবাল কক্সবাজারে পালিয়ে আসেন। আসলে গ্রেপ্তার হওয়া ইকবাল কুমিল্লার সেই ইকবাল কিনা তা নিশ্চিত করবেন কুমিল্লা পুলিশ।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ইকবালকে চিহ্নিত করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর ভোরে নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়।
পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা,ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় দুই জন নিহত হন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
শাহরুখ খানের বাড়িতে এনসিবির অভিযান
মাদক মামলায় ছেলে আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের ১৪ দিন পরে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
সূত্রগুলো ইউএনবিকে জানিয়েছে,এনসিবির একটি দল মামলার প্রেক্ষিতে দুপুরের দিকে শাহরুখের বহুতল বাড়ি মান্নাতে অভিযান চালায় এবং কিছু কাগজপত্রের কাজ সম্পন্ন করে।
এনসিবি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে কিছু টিভি চ্যানেল রিপোর্ট করেছে ‘মামলার প্রাসঙ্গিক কিছু কাগজপত্রের’ জন্য মান্নাতে অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: মাদকের পার্টি থেকে শাহরুখপুত্র আরিয়ান আটক
সকালে মুম্বাইয়ের হাই-সিকিউরিটি আর্থার রোড কারাগারে শাহরুখ তার ছেলের সাথে দেখা করার কয়েক ঘণ্টা পর এই অভিযান চালানো হয়। আরিয়ান ৮ অক্টোবর থেকে বিচারিক হেফাজতে আছেন।
মুম্বাইয়ের কাছে একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েক ঘণ্টা জেরার পর আরিয়ানকে তিন অক্টোবর গ্রেপ্তার করে এনসিবি।
আরিয়ান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ এবং আরও আটজনকে এসময় আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে আরিয়ান ও আরও সাতজনকে বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরিয়ানের বাবা শাহরুখ বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান তারকা হিসেবে বিবেচিত। ‘কিং খান’ নামে পরিচিত এই তারকা ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
আরও পড়ুন: বলিউডে অভিষেক হচ্ছে শাহরুখ কন্যা সুহানার!
প্রকৃতপক্ষে, শাহরুখ ১৯৯৫ সালে রোমান্টিক ছবি 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'-তে অভিনয় করার পর খ্যাতি অর্জন করেন,যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম চলমান ব্লকবাস্টার সিনেমা।
শাহরুখ ২০০২ সালের 'দেবদাস' ছবিতে তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল,যেখানে তিনি মদ্যপ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
৫৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা অনেক টিভি শো উপস্থাপনা করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক।
শাহরুখের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আরিয়ান ছাড়াও তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: জামিনের পর কারামুক্ত বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: সারাদেশে ৭২ মামলা, গ্রেপ্তার ৪৫০
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সারাদেশে মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৭২টি মামলা হয়েছে এবং ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মোহাম্মদ শাহ জালাল জানিয়েছেন, আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: পীরগঞ্জে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্পিকার
তিনি বলেন, ঘটনা, অপরাধের রহস্য উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে রহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তি নির্ভর তদন্ত কাজ চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও উসকানি রোধকল্পে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি রোধকল্পে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের সকল গোয়েন্দা সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
যে কোন বিভ্রান্তিকর তথ্য অথবা গুজব কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত বা উত্তেজিত না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য দেশের সকল নাগরিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন এআইজি।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গত ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে সাতটায় কুমিল্লার সদর থানাধীন নানুয়া দীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে চলে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় স্বার্থান্বেষী দুষ্কৃতিকারী উসকানিমূলক ও বিকৃত প্রচারণা চালায় এবং পরবর্তীতে আরও উচ্ছৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারী সংঘবদ্ধ হয়ে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের চেষ্টা ও পূজামণ্ডপে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া দুষ্কৃতিকারীরা শহরের কাপড়িয়া পট্টি কলোনির চানমনি পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রী রক্ষাকালী মন্দির, কালিতলাসহ আরও কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা চালায় এবং প্রতিমায় অগ্নিসংযোগ করে।
মোহাম্মদ শাহ জালাল জানান, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেজন্য সারাদেশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গত ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত সাড়ে আটটায় চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ পৌরসভাস্থ শ্রী ত্রিনয়নী সংঘ রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া, মোকিমাবাদ পূজামণ্ডপে ৫০০ থেকে ৬০০ দুষ্কৃতিকারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের উপর হামলা করে এবং পাঁচ থেকে ছয়টি পূজামণ্ডপ ভাংচুর করে। দুষ্কৃতিকারীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে ১৫ জন পুলিশ সদস্য মারাত্মক আহত হয়। জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় পাঁচজন প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ করা প্রয়োজন: জাতিসংঘ
কুমিল্লার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গত ১৪ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন ছয়ানী ইউনিয়নের সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা মন্দিরের কাছে ৮০০ থেকে ১০০০ উচ্ছৃঙ্খল লোক জড়ো হয়ে উসকানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা অসংখ্য ইট, লাঠিসোটা নিয়ে মন্দিরের সামনে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি'র টহল দলের ওপর হামলা চালায়, মন্দিরের মূর্তি ভাংচুর করে এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় একজন প্রাণ হারায় এবং পরবর্তীতে পুকুর থেকে অপর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত ১৭ অক্টোবর রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানাধীন বড় করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামের জনৈক পরিতোষ (১৯) তার ফেসবুক আইডিতে পবিত্র কাবা শরীফের অবমাননাকর ছবি আপলোড করে। পরবর্তীতে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে রাত প্রায় আটটার সময় এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ওই গ্রামের একটি মন্দিরসহ ১৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া ও চকরিয়া থানা, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানা, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ থানা, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানা এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কাশিমপুর থানাসহ দেশের আরও কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সকল ঘটনায় সারাদেশে সাত জন প্রাণ হারায়। তন্মধ্যে দু’জন হিন্দু সম্প্রদায়ের এবং পাঁচ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দায়িত্ব পালনকালে ৫০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক হামলা: ফখরুল
বিয়ানীবাজারে আনসার আল ইসলামের সদস্য গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
গ্রেপ্তার জিয়াউল হক (১৮) উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের গজুকাটা গ্রামের সমছুল হকের ছেলে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ‘সোমবার রাতে উপজেলার চারখাই বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠককালে তাকে র্যাব আটক করে। পরে তাকে বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জিয়াউল আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উগ্রবাদী পোস্ট ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার