বিএনপি
রাজশাহীতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিএনপির ৭ নেতাকর্মী আটক
রাজশাহীতে অবস্থান কর্মসূচি থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় কমপক্ষে ১০ জন আহতের দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার (০১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাগরপাড়া বটতলা মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আহতরা হলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও অরণ্য কুসুম, জেলা তাতীঁ দলের আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন বাদশা, বিএনপি নেতা জালালুদ্দিন, বাগমারা উপজেলা ছাত্রদল নেতা রাশেদুজ্জামান রাসেল ও গোদাগাড়ী উপজেলা যুবদল কর্মী মিল্টন হোসন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা কিশোরী আটক
আটকরা হলেন-রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সহকারী অধ্যাপক মোজাফফর হোসেন, চারঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মৃধা, শলুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমদাদুল হক ও বাঘা উপজেলার হরিরামপুর এলাকার স্বপন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহারয়ার্দী হোসেন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীর অবস্থান কর্মসূচির অনুমোদন ছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভুবন মোহন পার্কে। কিন্তু তারা অনুমোদিত স্থানের বাইরে গিয়ে কর্মসূচি পালন করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের নির্দেশনা অমান্য ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সাতজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে রাতে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অবস্থান কর্মসূচির পূর্বে খুলনায় ১৬ নেতাকর্মী আটক: বিএনপি
চাঁদপুরে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ১৫ সদস্য আটক
পিরোজপুরে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
পিরোজপুর জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের চারজন নেতা গুরুতর আহতের দাবি করেছে দলটি।
শনিবার দুপুরে পোস্টঅফিস সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন জানান, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পিরোজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর আগ মুহুর্তে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে যুবদল ও ছাত্রদলের চার জন নেতা গুরুতর আহত হয়।
এছাড়া ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সোহেল মঞ্জুর সুমনের ওপর হামলা চালিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করে।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল জানান, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি পালন শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরের প্রবেশের সময় পোস্টঅফিস সড়কে এলে বিএনপির-ছাত্রদলের লোকজন সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এ সময় সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যার কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কে বা কারা ইট ছুঁড়ে একটি গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
নাটোরে পূর্বঘোষিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলটির ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে শরীফ নামে এক যুবদল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৩
জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। কর্মসূচির প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বক্তব্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বিএনপি কর্মীদের হামলায় তাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেন।
অন্যদিকে, এ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু।
তিনি অভিযোগ করে জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম জানান, বিএনপি আলাইপুরে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। অন্যদিকে অনিমা অডিটোরিয়ামের সামনে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ। এক পর্যায়ের উভয়ের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ১৫ জন আহত
সিলেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ও প্রথম আলো পত্রিকা একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারকে হেয় করার জন্য বাংলা ভাষার এই সংবাদপত্রটি বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে হেয় করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আরেকটি পঁচাত্তর তৈরি করতে চায়। তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে কারচুপি করা এবং একটি অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর প্রকাশিত সংবাদটি এই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যৌথসভায় ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, প্রথম আলো যা করেছে তা শুধু দেশের স্বাধীনতার প্রতি প্রশ্ন তোলা নয়, ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি বলেন, দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য পত্রিকাটি হলুদ সাংবাদিকতা করেছে। সংবাদপত্রের সম্পাদক ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি বলেন, ভুল খবরের জন্য ক্ষমা না চেয়ে পত্রিকাটি চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
অবস্থান কর্মসূচির পূর্বে খুলনায় ১৬ নেতাকর্মী আটক: বিএনপি
খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে সামনে রেখে শুক্রবার রাতে দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিষয়টি জেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ খান বাদল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান শেখ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক নুরুল হক, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল খন্দকার, সিটি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন ও যুবদল নেতা নুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার বিনা পরোয়ানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা (সরকার) বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমনের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজনসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বাত্মক দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ জানানোর জন্যও এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
শনিবার সব মহানগর ও জেলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত সর্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর বিএনপি যৌথভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
একই সময়ে অন্যান্য মহানগরী ও জেলা শহরেও একই কর্মসূচি পালন করবেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ছাড়াও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবি গণতান্ত্রিক জোট, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং এলডিপিও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
তবে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে আসা গণতন্ত্র মঞ্চ শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে না।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জানান, রবিবার বিএনপির সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে এবং বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তারা পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
এ পর্যন্ত তারা ১০ দফা দাবি আদায়ে দেশের সব ইউনিয়ন, জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
গণমাধ্যমকে ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে ‘চূড়ান্ত’ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে: বিএনপি
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার গণমাধ্যমকে ঠেকাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো 'কালো'আইন ব্যবহার করে চরম দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ফখরুল বলেন,এদিন গভীর রাতেই পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিবেদক ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মাহবুব আলম লাভলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করেছেন এক যুবলীগ নেতা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর অধীনে একের পর এক মামলা করা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর মারাত্মক আঘাত।’
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা গণতন্ত্রকে চিরতরে কবর দিতে চায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-এর অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের কাছে একটি বার্তা দিতে চায়, তা হলো সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা যাবে না এবং স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা যাবে না।
বিএনপির জে্যষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে নির্বিচারে দমন ও পীড়ন করে দেশে তাদের ভয়াবহ দুঃশাসন চালু রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি নিঃসন্দেহে সরকারের নির্দেশেই করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়নে দেশবাসী ও গণমাধ্যম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার শামিল: মোশাররফ
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন,কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় না। বাংলাদেশে সেটি কখনো হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কারণ বিএনপি বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে তারা সিট পেয়েছিল ২৯টা। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেও মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল মাত্র ৭টি।
আর গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে এতে জনগণ তাকে যে আবার নির্বাচিত করবে।
তিনি আরও বলেন, এসব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই একজোট হয়ে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না।
এছাড়া আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে। সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
ইসির অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান বিএনপির প্রত্যাখান
রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষমতা না থাকায় নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
তবে বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি।
বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে তাদের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার তাদের দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আমন্ত্রণ জানিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক মনে করে যে-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মূল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইলেও সেই ক্ষমতা তাদের নেই।
ফখরুল বলেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব (অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য) গ্রহণ করতে পারছে না।কারণ কমিশনের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মূল রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই।
২৩ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ফখরুলকে একটি ডেমি-অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়ে বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ জানান।
বর্তমান ইসি গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করলেও বিএনপি ও জোটের শরিকরা কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইসিকে কোনো চিঠি পাঠাবেন না। তিনি আরও বলেন, আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে (সিইসি) আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি। আমি আশা করি তিনি আমাদের মতামত গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
ইসি ক্ষমতাহীন
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার দেশ ও জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এমন ইসির সঙ্গে বসে কোনও লাভ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, সিইসি কোনও ডাকঘর নন যে আমরা সরকারকে দেওয়ার জন্য তাকে চিঠি দেব। এটা একেবারেই সরকারের ব্যাপার। যেহেতু সংসদে সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এটা করতে পারে, অন্য কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
তিনি বরেন, নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে বসতে পারে বিএনপি। এছাড়া তারা বারবার বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন থাকায় ইসি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এবং সরকারকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়টি (নির্বাচনকালীন সরকার) ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনায় আমাদের আগ্রহ নেই।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সরকার আলোচনার কোনো প্রস্তাব দিলে তাদের দল বিবেচনা করবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যু ছাড়া আর কোনো আলোচনা হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চুয়াডাঙ্গার বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. জিয়া হায়দার জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
জেল হাজতে যাওয়া ১৭ জন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কসহ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মী রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দশমী গ্রামের ফুটবল মাঠে বেশ কয়েকজন মিলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য জড়ো হন। তারা বিস্ফোরক দ্রব্য বোমা ও সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্য অবস্থান করছিল। এ সময় দামুড়হুদা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও লাঠিসহ আটক করে।
পরে দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোয়াদ বিন মোবারক বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় ১৭ আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পায়।
এছাড়া সোমবার (২৭ মার্চ) জামিনের মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ নেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে