বিএনপি
শেখ হাসিনার দ্রুত পলায়নই তার পদত্যাগের প্রমাণ: বিএনপি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা ষড়যন্ত্রের নতুন মাত্রার আভাস দিচ্ছে। জনগণের ক্ষোভের মুখে তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সুস্পষ্ট প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ‘দিনের পর দিন অসংখ্য মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, এখন আবার শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বলে বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।’
সোমবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন যে তিনি শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোনো পদত্যাগপত্র পাননি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবও বলেছেন যে তার কাছে পদত্যাগপত্র নেই।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এটা তাদের ষড়যন্ত্রের নতুন মাত্রা। তিনি (শেখ হাসিনা) অবশ্যই পদত্যাগ করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ইউটিউবে শেখ হাসিনার সই করা পদত্যাগপত্র দেখেছি। তাছাড়া মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাই আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের প্রয়োজন নেই। এটাই তার পদত্যাগের শামিল।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন রাষ্ট্রপতি: আইন উপদেষ্টা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। তিনি একটি প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন যারা তাকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দিতে চায়। তারপরও তার পদত্যাগপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা এখনও বৈধ প্রধানমন্ত্রী এটা বিশ্বাস করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এ ধরনের সংবাদ প্রচার করছে। এর চেয়ে বড় মিথ্যা আর কী হতে পারে?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। তারা খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় হাফিজ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর জাতি একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার আশা করেছিল, যা জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেবে। আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে। আমরা এখন ক্রমবর্ধমান উদ্বিগ্ন কেন না আমরা এই সরকারের লক্ষ্য সম্পর্কে অনিশ্চিত রয়েছি। তারা কীভাবে সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে এবং তারা কী অর্জন করতে পারে। তারা তাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন কি না তা নিয়েও আমরা বিভ্রান্ত।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছরে যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারেক রহমান, খালেদা জিয়াসহ যাদের বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলাগুলো এখনও কেন প্রত্যাহার করা হয়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
তারেক রহমানসহ যারা আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা এবং স্বাধীনতা বিপন্ন করার চেষ্টায় ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হচ্ছে যাতে ভারত সহায়তা করছে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, 'প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। জনগণ যাদের বিতাড়িত করেছিল তারাই এখন ভারত থেকে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এসব চক্রান্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করতে দেশে ফেরানোর দাবি বিএনপির
১৬ ঘণ্টা আগে
উত্তর-ময়মনসিংহের বন্যার্ত কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা চেয়েছে বিএনপি
সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে কৃষকদের ত্রাণ সহায়তা, প্রণোদনা ও সুদমুক্ত ঋণসহ সার্বিক সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার এখনও দৃশ্যমান কোনো ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় গত মাসের শেষ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ভারী বন্যায় প্লাবিত হয়। লাখ লাখ মানুষ বন্যায় অসহায় হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে এই বিপর্যয়কর বন্যার জন্য মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং উজানের পাহাড়ি ঢলকে দায়ী করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় আমন ধান চাষি, সবজি চাষিদের পাশাপাশি মাছ ও পোল্ট্রি খামারের মালিকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যার সময় যে ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে তা বর্তমানে দৃশ্যমান নয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের পুনর্বাসনের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারকে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। বাজারে চাল, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস ও ডিমের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে অবশ্যই সক্রিয় হতে হবে। কৃষকদের সার, কীটনাশক এবং বীজের প্রাপ্যতা বাড়ানো বা প্রণোদনার মাধ্যমে সহায়তা পাওয়া উচিত।
বন্যায় যাদের ফসল ও জমির ক্ষতি হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ফসল কাটার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ত্রাণ সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তী ফসলের জন্য বিনা সুদে কৃষি ঋণ, বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা। পরবর্তী ক্রমবর্ধমান মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য তাদের রবি ফসল উৎপাদনের বীজও পাওয়া উচিত।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত মাছ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খামারের তালিকা তৈরি করে খামার পুনঃস্থাপনে সুদমুক্ত ঋণ ও অন্যান্য অতিরিক্ত সহায়তা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যোগ্য ইসির অধীনে জাতীয় ঐক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান গণফোরামের
১ দিন আগে
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রুখে দিতে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব যত দ্রুত সম্ভব পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা ও সাবেক এমপি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের স্মরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। পরে দলের জাতীয় কাউন্সিলও অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে যারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তারা অনুশোচনা প্রকাশ করেনি, অনুতাপ প্রকাশ করেনি এবং তারা দেশের ক্ষতির জন্য কাজ করেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অবিচল রেখে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলো- এত দমন-পীড়ন সহ্য করেও আমরা শিক্ষা নিইনি।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করতে দেশে ফেরানোর দাবি বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, শুধু সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে একটি গণতন্ত্রপন্থি দল আরেক দল সম্পর্কে কটূক্তি করছে, যা কোনো কাজে আসে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে গণঐক্য গড়ে তুলেছি তা দিয়ে আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করতে পারি। এই ঐক্যের সঙ্গে যদি কোনোভাবে আপস করা হয়, তাহলে সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আমাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। এজন্য আমাদের একতা বিপন্ন করা উচিত নয়।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশ গঠন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ডান, বাম, মধ্যপন্থি ও ইসলামি সব শক্তিকে নিয়ে কাজ করাই বিএনপির লক্ষ্য। ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশের মানুষ যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের শিকার না হয়। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষেও কথা বলি, কিন্তু এর অপব্যবহারের পক্ষে নই।’
স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দোসররা গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সব অশুভ প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সহায়তা করাই তাদের দলের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা। ফ্যাসিবাদ দূর হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা আশা করি, তারা এটি সঠিকভাবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকারকে একটি যৌক্তিক সময়সীমা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ‘তবে সরকারের লক্ষ্য জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি আমাদের বুঝতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। ‘তারা যেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাহিনীকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সাত শতাধিক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আর ফিরে আসেননি।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি না তারা বেঁচে আছেন কি না। তাদের সন্তান, বাবা-মা ও স্বজনরা এখনো প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অসংখ্য ছাত্র ও নাগরিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। ‘জনগণ যাতে আর এ ধরনের শাসনের মুখোমুখি না হয় তা নিশ্চিত করা এখন আমাদের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার তৃণমূল বিএনপি চেয়ারম্যান শমসের মবিন
২ দিন আগে
৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
চাকরিপ্রার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের নিয়োগ সম্পূর্ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএসের সব প্রক্রিয়াও বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি, যা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে একটি দলীয় কমিশনের অধীনে সম্পন্ন করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৭ সালে ২৭তম বিসিএসের ফলাফলের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, বিসিএস নিয়োগ বাতিলের নজির রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
তিনি উল্লেখ করেন, একই প্রেক্ষাপটে ২৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল করা হয়েছিল এবং তৎকালীন সরকার পরবর্তীতে ভাইভা পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল।
৪৩তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সরকার ২৭তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাত্র ২ মাসের মধ্যে যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুগতদের নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ দেওয়া বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, 'আমরা মনে করি, এই নিয়োগ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগের সঙ্গে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।’
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীকে বঞ্চিত করে দলীয় বিবেচনায় ও সুপারিশকৃত ৪৩তম বিসিএস বাতিল করতে দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের শ্বেতপত্রের দাবি ফারুকের
৪ দিন আগে
সিলেট নগরীর ওয়ার্ড বিএনপির দুই সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার
সিলেট মহানগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলেমান আহমদ সুমন ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানকে বহিষ্কার করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সই করা বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাইকালে বিএনপির দুই নেতা আটক
বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের কারণে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করায় এবং অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রাথমিক সদস্য পদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সব পদ থেকে তাদের দুইজনকে বহিষ্কার করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নির্যাতনের সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজার প্রথম দিনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আট দফার প্রতি বিএনপির সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আপনারা যে আট দফা উল্লেখ করেছেন, আমরা তা বিবেচনা করছি। আট দফার মূল ইস্যুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা আপনাদের বলতে পারি, অতীতে যেমন প্রতিটি সমস্যায় আপনাদের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণকর্তা বলে দাবি করা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অতীতে তাদের ওপর যেসব নিপীড়ন হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ও সম্পত্তি দখলের ঘটনার পেছনেও তারা (আওয়ামী লীগের লোকজন) ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের দল সরকার গঠন করলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বৈরশাসকের সহযোগীদের চিহ্নিত করুন: রিজভী
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা নিজ সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি তুলে ধরে সংখ্যালঘুদের অন্যায় ও নির্যাতনের শিকার হলে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, কিছু বিদেশি গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলকে খাটো করতে পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ‘আমি বলব না যে কিছুই হয়নি। যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক ঘটনা।’
বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ১৫ বছর ধরে কীভাবে দমন-পীড়ন, হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলায় কারাবাস সহ্য করেছেন তার বর্ণনাও দেন।
তিনি সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
১ সপ্তাহ আগে
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কবে হবে তার একটি রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানসহ বেশকিছু বিষয়ে তাদের উদ্বেগ নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত থেকে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে নতুন পর্যায়ের সংলাপ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথমে সংলাপে বসে বিএনপি।
বিএনপির ছয় সদস্যের দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংলাপে সংস্কার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিএনপি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান এবং সালাহউদ্দিন আহমদ।
ঘণ্টাখানেক বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিতর্কিত কেউ যেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যান। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের জাল ভোটে নির্বাচিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ভুয়া, ব্যর্থ ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের অভিযোগে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের সঙ্গে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’
ফখরুল আরও বলেন, 'তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজন করা তার এক নম্বর অগ্রাধিকার।’
বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তারা মনে করে আমাদের দাবি জনগণের দাবি, আমাদের দাবিও তাদের।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'এক-দু'জন' সদস্যকে অপসারণ করার দাবিও জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে দু-একজন ব্যক্তি আছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল চেতনা ও গণঅভ্যুত্থানকে বাধাগ্রস্ত করছেন। আমরা তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছি।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে 'নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল' করার পেছনে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
ফখরুল বলেন, কিছু আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তারা কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাহায্য করছে কারা- এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য ও নিরপেক্ষ প্রার্থী নিয়োগ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং পদবঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিএনপি।
হাইকোর্ট বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি উল্লেখ করে দলের বিচারকদের অপসারণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুটিও উত্থাপন করে এটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের খুঁজে বের করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগ বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের একটি সত্যানুসন্ধানী দল সাম্প্রতিক বিক্ষোভ থেকে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের দায়িত্ব হলো সত্য প্রতিষ্ঠা, দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলা ও এর পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সবাই নয়, কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং বিএনপি এটিকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মনে করে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছয়টি সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা ও তাদের পরামর্শ নেওয়া।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দুই দফা সংলাপ হয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রায় আড়াই মাস পর তা বিলুপ্ত করেছে বিএনপি।
শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেয় দলটি।
শিগগিরই এই শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য তিন মাসের সময় বেঁধে গত ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব ও সদস্য সচিব হিসেবে আমিনুল হক দায়িত্ব পালন করেন। নীরব এর আগে যুবদলের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আমিনুল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
৩ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, একনায়কতামুক্ত বাংলাদেশে হঠাৎ করে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিকল্প ছিল না। সঙ্গত কারণে, আমরা সেই সময় তাদের সমর্থন করেছি এবং এখনও তাদের সমর্থন করি। তাদের প্রতি আমাদের আস্থা যাতে অটুট থাকে তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ তাদের নিতে হবে।’
এক গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করতে হবে এবং কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের চাহিদানুযায়ী খাদ্য সহায়তার দেবে সরকার: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ‘তাদের পক্ষে সমস্ত পরিবর্তন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নাও হতে পারে, তবে তারা যে দায়িত্ব বহন করতে পারবেন না, তা তাদের পক্ষে কাঁধে নেওয়াও অযৌক্তিক হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, বিবৃতি ও প্রতিক্রিয়ায় ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, সরকার চালানো একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও জটিল কাজ।
এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এমনকি একটি ছোট বিচ্যুতিও একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে অসতর্কতা প্রয়োজনীয় বিশ্বাসকে দুর্বল করতে পারে এবং জাতির শক্তির মূলে থাকা ঐক্যকে ভেঙে দিতে পারে।
তারেক বলেন, ‘এর যে কোনো একটি ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মনে রাখা দরকার, দেড় দশক ধরে গড়ে ওঠা একনায়কতন্ত্রের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য অশুভ চেতনা এত সহজে এর বিষাক্ত নিঃশ্বাস থেকে আমাদের মুক্তি দেবে না।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ রাকিব ও সাবিরের বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পায়রা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, তারা প্রায়ই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অসহায়ত্ব ও বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছেন; এতে 'স্বৈরাচারী হাসিনা'র রেখে যাওয়া পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্র প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে স্বৈরাচারীর সহযোগীদের মাধ্যমে সৃষ্ট সীমাবদ্ধতার ফাঁদে আটকে যাবে সরকার। একের পর এক ছোট ছোট সংকটগুলো বড় বিপর্যয়ে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘তখন কার্যকর সমাধানের পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে যাবে।’
তারেক বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক আস্থা ও সম্পর্ক, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা, ব্যবসা সহজীকরণ, জননিরাপত্তা, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের দৈনন্দিন সেবা নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান জাতির জন্য আরেকটি স্বাধীনতা ও বিজয়ের বার্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা যদি তড়িঘড়ি করে এটাকে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করি, তাহলে আমরা আবারও ইতিহাস বিকৃতির ফাঁদে আটকে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ব।
স্বৈরাচারবিরোধী মহাযুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র, গৃহবধূ ও শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি গত সতেরো বছরে হত্যা, গুম, বিচারিক হয়রানি এবং অন্যান্য নিপীড়নের শিকার হওয়া লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক কর্মীর আত্মত্যাগের উপরও জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তা করতে ব্যর্থ হই, ইতিহাস আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
৩ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, বিএনপি নেতাসহ ৭ জনের নামে মামলা
গাজীপুরের শ্রীপুরে চোর সন্দেহে মো. ইসরাফিল নামে যুবককে পেটানোর পর মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কামরুল হাসান লিটনকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুল মণ্ডল, শফিকুল ইসলাম, জলিল, ইউসুফ, সোহাগ ও ছাত্তার। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
জানা যায়, শহিদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মারা যান তিনি।
নিহতের স্বজনরা জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর ব্যাটারী চুরির অপবাদে তাকে শৈলাট পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। কোমড়ের নিচে গরম পানি ঢেলে দেয়। ফলে যুবকের দুই পায়ের পাতা থেকে কোমর পর্যন্ত ফোসকা পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দেন ইসরাফিলের বাবা। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার পর মামলাটি ওই দিনই হত্যা মামলা হিসেবে থানায় নথিভুক্ত করা হয়।
মূল অভিযুক্ত কামরুল হাসান লিটন (৫০) গাজীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এদিকে মারা যাওয়ার পরপরই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে কামরুল হাসান লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
৩ সপ্তাহ আগে