সিলেট
সিলেটে এক বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭৫ প্রাণ
বিদায়ী বছরে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। ২০২৪ সালে এই বিভাগে মোট ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৫ জন নিহত হয়েছেন; সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৭০৯ জন।
নিহতদের মধ্যে ২৮৭ জন পুরুষ, ৫৮ জন নারী ও ৩০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় গত বছর সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে মোটরসাইকলের চালক ও আরোহীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার এসব তথ্য তুলে ধরেন নিসচা সিলেট বিভাগীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে সিলেট জেলায় ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৭ জন নিহত ও ৩১৪ জন আহত হয়েছেন; সুনামগঞ্জ জেলায় ৬৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও ১০৮ জন আহত হয়েছেন; মৌলভীবাজার জেলায় ৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৫ জন নিহত ও ২১৫ জন আহত হয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী মিলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৭ জন, সিএনজিচালক ও যাত্রী ৮৫জন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৬১ জন, পথচারী ৬৯ জন এবং বৈদ্যুতিক খুটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কায় আরও ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে সিলেট-তামাবিল সড়কে ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ২২টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৭ জন, দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কে ৮টি দুর্ঘটনায় ৮ জন এবং গোয়াইনঘাট সড়কে ৭টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ কলেজছাত্র নিহত
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সিলেট বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩-এ সিলেটে মোট ২৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬১ জন নিহত ও ৪৬৪ জন আহত হয়েছিলেন।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় ৫টি দৈনিক পত্রিকা, ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা এবং নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতি বছরের মতো এবারও সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে নিসচা।
৬ দিন আগে
অবশেষে শুরু হতে চলেছে সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কার কাজ
চার বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই সিলেট-ছাতক রেলপথের সংস্কার কাজ শুরু হচ্ছে। গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন শেষে এই তথ্য জানান।
এই রেলপথের সংস্কার কাজ শুরুর খবরে স্থানীয়দের মাঝে আশার আলো জেগেছে।
বিগত সরকারের সময় একনেকে সিলেট-ছাতক রেলপথ সংস্কার কাজের প্রস্তাবনা পাস হলেও তা শুরু করা যায়নি। এবার সেই কাজে গতি দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সেই সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের বিষয়ে সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও এরপর অজ্ঞাত কারণে সেই কাজে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: সংকটে জর্জরিত আলমডাঙ্গার রেলস্টেশন, নেই সংস্কারের উদ্যোগ
১৯৫৪ সালে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পশ্চিম-উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক বাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জেলার রেলপথের সর্বশেষ স্টেশন হিসেবে ছাতক বাজার রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করা হয়। তার আগে এটি আখাউড়া-কুলাউড়া-সিলেট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাথর, বালু, চুনাপাথর, কমলালেবু, তেজপাতাসহ বিভিন্ন মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্যই মূলত ছাতক-সিলেট রেলপথটি নির্মিত হয়। পরবর্তী সময়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল পরিবহনে ছাতক-দোয়ারাবাজার অঞ্চলসহ সুনামগঞ্জ জেলার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতিদিন এই রুটে সকাল-বিকাল যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত। সিলেট যাতায়াতে ট্রেনই ছিল এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা।
১৯৭৯ সালে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের রাজস্ব আয়ে ছাতক বাজার স্টেশন শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করে নেয়। এরপর নানা অজুহাতে কমিয়ে দেওয়া হয় এই রেলপথে ট্রেন ও বগির সংখ্যা।
ছাতক থেকে ট্রেনে যাতায়াতে প্রায় ৪৫ মিনিটে সিলেট পৌঁছানো যায়। পথিমধ্যে খাজাঞ্চীগাঁও, সৎপুর ও আফজালাবাদ স্টেশনে ট্রেনগুলো যাত্রা বিরতি করে। শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত ছাতক থেকে চুনাপাথর, সিমেন্ট, স্লিপার, বালু, বোল্ডার পাথরসহ বিভিন্ন মালপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে রেলপথে সড়ক পথের চেয়ে পরিবহন খরচ কয়েক গুণ কম হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যায় ছাতক বাজার স্টেশন থেকে সিলেট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১২ কিলোমিটার রেল রোড এমব্যাংকমেন্ট ও রেলপথ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই রেলপথটি পুনর্বাসন করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সিলেট থেকে ছাতক বাজার সেকশন (মিটার গেজ ট্র্যাক) পুনর্বাসন প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে সম্প্রতি অনুমোদনও দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের কাজে ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মীর আখতার হোসেন লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৩৬৯ টাকা।
প্রকল্পটি একনেক থেকে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকল্প-ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ডলার এবং ২০ শতাংশ বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করা হবে।
শুরুর দিকে সিলেট থেকে ছাতক হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে দুটি পথের বিষয়ে সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষায় বলা হয়, ৪৫ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার অ্যালাইনমেন্টে টপোগ্রাফিক (ভূমি) জরিপের কাজ করা হয়েছে। এই রুটে আছে ৬৬টি ছোটবড় জলাভূমি। দক্ষিণ খুরমা ও শান্তিগঞ্জে দুটি স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সরাতে হবে ১২৮টি বসতবাড়ি ও অবকাঠামো। এজন্য কাটতে হবে সাড়ে ১৩ হাজার গাছ। পাঁচটি স্টেশনের জন্য ৫০ একরসহ মোট ৬১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
এমন জটিল হিসাব-নিকাশের মুখে প্রকল্পটির কাজ আর সামনে এগোয়নি।
ছাতক বাজার ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আফসার উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ছাতক-সিলেট রেলপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন এই অঞ্চলের শত শত মানুষকে ভোগান্তি নিয়ে সিলেটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সুনামগঞ্জ রেলপথ স্থাপিত হলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
গুরুত্ব বিবেচনায় অতিদ্রুত রেলপথের কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে, ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কারের অনুমোদনের পর শুক্রবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে। তবে সুনামগঞ্জে রেলপথ স্থাপনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।
১ সপ্তাহ আগে
সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুসহ কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার তাদের ৪৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী বাংলাবাজার, বিছনাকান্দি, দমদমিয়া, সোনারহাট, তামাবিল, কালাইরাগ, কালাসাদেক, উৎমা এবং সংগ্রাম বিওপির সদস্যরা মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এসব পণ্য জব্দ করে।
জব্দ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে, বড় সংখ্যার ভারতীয় গরু, বিপুল পরিমাণ চিনি, গার্নিয়ার ক্রিম, সুপারি ও মদ। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ আটক করা হয়।
আটককৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ১৪ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ
১ সপ্তাহ আগে
১১ বছর পর খালাস পেলেন সিলেট বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী
দীর্ঘ ১১ বছর পর বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন সিলেট বিয়ানীবাজার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৬১ জন নেতাকর্মী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক এই মামলা থেকে তাদের খালাস ঘোষণা করে রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল, শিশুবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল খান, প্রচার সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, জেলা যুবদল নেতা আবুল কালাম, পৌর যুবদল নেতা জানে আলম ও ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিনসহ ৬১ জন নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, ২০১৫ সালে বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম খান। মামলার সকল আসামি কারাবরণ করেছেন বলেও জানান তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
বিপিএল: সিলেটকে ৮ উইকেটে হারাল রংপুর রাইডার্স
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পরাজয়ের মুখে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট। তাদের হয়ে রনি তালুকদার, জাকির হাসান ফিফটি করেন এবং জাকের আলী ও অ্যারন জোন্সের জ্বলে উঠে তাদের শক্তিশালী স্কোর এনে দেয়।
শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। শেষ ওভারে আকিফ জাভেদের বোলিংয়ে জোন্স ও জাকের ৪টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে বল করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিজের চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
অপর পক্ষে ব্যাটসম্যান আজিজুল হাকিমকে শূন্য রানে হারায় রাইডার্স। তবে অ্যালেক্স হেলস এবং সাইফ হাসান তাদের বড় অঙ্কের মোট রান তুলে মূল ভিত্তি গড়েন।
অ্যালেক্স ১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৫৬ বলে ১১৩ রান এবং সাইফ ৪৯ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৮০ রান করেন।
তাদের ব্যাটিং দক্ষতা পুরো রান সংগ্রহ করার সময় কাঙ্ক্ষিত হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ১৮তম ওভারে সাইফ আউট হলেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর দূরত্বে ছিল রংপুর রাইডার্স।
রাইডার্স ১৯ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২ উইকেটে ২১০ রান তুলে নেয়। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যালেক্স হেলস।
আরও পড়ুন: বিপিএল: রংপুরের বিপক্ষে বড় স্কোর সিলেটের
২ সপ্তাহ আগে
জকিগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজির যাত্রী নিহত
সিলেটের জকিগঞ্জে ট্রাকের চাপায় কাজী কমর উদ্দিন নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক বৃদ্ধ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের আটগ্রাম স্টেশনের পূর্ব পাশে কাশেম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় সিএনজিচালক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিক তার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয় সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
নিহত কাজী কমর উদ্দিন (কমই মিয়া) (৬০) উপজেলার ৮ নম্বর কসকনকপুর ইউনিয়নের বিয়াবাইল গ্রামের (নালুহারা) ফুলেরদিঘীর মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। এ ছাড়াও গাড়িদুটিও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ২১
২ সপ্তাহ আগে
সিলেটে কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
সিলেটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, চিনি, কম্বল, গরু, বিয়ার, টারগেট ট্যাবলেট এবং বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে রসুন, পাথর ও শিং মাছ জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে এসব চোরাচালানের মালামাল জব্দ করা হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকা মিনাটিলা, কালাইরাগ, বিছনাকান্দি, নোয়াকোট, দমদমিয়া, কালাসাদেক, শ্রীপুর, বাংলাবাজার, লাফার্জ, প্রতাপপুর, পান্থুমাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ী, চিনি, কম্বল, গরু, বিয়ার, টারগেট ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে রসুন, পাথর ও শিং মাছ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি চোরাচালানের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ও ট্রাক আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অভিযানে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন ৫ গাড়ি জব্দ
জব্দ হওয়া এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা চোরাচালানের মালামাল সমূহের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফেনী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ২৬ ড্রেজার মেশিন জব্দ
২ সপ্তাহ আগে
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সংগঠনটির নেতারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন।
জানা যায়, রবিবার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে সড়কের পাশের একটি স্থানে শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিল। বলটি হঠাৎ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ওপর চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ (১৪) নামের এক কিশোর দৌঁড় দেয়। এ সময় একটি চলন্ত বাসের নিচে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটকে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের মাঠে নিয়ে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, এটি ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি বাস সেদিন ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কেও ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।
আরও পড়ুন: টানা দুদিন ধরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
দুদিন ধরে চলা ভোগান্তির অবসানে আজ সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা হবে না। এছাড়া জনতার হাতে আটক বাসগুলো শিগরিরই শ্রমিক নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং আর কোনো বাসচালক বা শ্রমিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটবে না।
বৈঠকে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা, নিহত স্কুলছাত্র আবিরের পরিবারের সদস্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ সপ্তাহ আগে
মঙ্গলবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ ডাক
সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ ডাক দিয়েছে সিলেটের বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।
সিলেটের জকিগঞ্জে গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) একাধিক বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল করেনি। এছাড়া রবিবার রাতে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক বাদী হয়ে অজ্ঞাত অর্ধশত অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।
জানা যায়, রবিবার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে এক জায়গায় (সড়কের পাশে) শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিল। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ নামের এক কিশোর দৌঁড় দেয়। এসময় একটি চলন্ত বাসের নিচে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা সেই বাস আটকে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের মাঠে নিয়ে এতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ- এটি ছাড়াও আরও অন্তত ৩টি বাস ভাঙচুর করা হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার পরিবহন শ্রমিকরা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।
জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের বাসের চালক অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে বাস ভাঙচুর করা ও পুড়ানো সন্ত্রাসী কাজ। আমরা এর বিচার চাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের অন্তত ৪টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার অভাবে আমাদের চালকরা আজ (সোমবার) সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। আজ রাতের মধ্যে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পুরো সিলেট জেলায় কর্মবিরতি পালন করবেন বাস চালক ও শ্রমিকরা। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবে বাকি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোও।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল করছে না বলে জানতে পেরেছি। বাস ভাঙচুরের দাবি করে রবিবার রাতে হেলাল মিয়া নামের একজন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। উপজেলাজুড়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।
এদিকে, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে সোমবার সকাল থেকে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস বন্ধ থাকায় দিনভর চরম দুর্ভোগ পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিসগামীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তারা অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিকল্প যানবাহনে অফিসে যান এবং অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন।
পথচারীদের অভিযোগ-বাস শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে রাখায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে পারেনি। ফলে বেশি দুর্ভোগে পড়েন জরুরি প্রয়োজনে সড়কে চলাচলকারী লোকজন।
৩ সপ্তাহ আগে
সিলেটের আদালতে ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিলেটের বিশ্বনাথে আল হেরা শপিং সিটিতে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর দিকে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ তারা আত্মসমর্পণ করেন।
পরে ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর মধ্যে ১৬ জনকে জামিন ও ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম ইয়াহ-ইয়া চৌধুরী (সুহেল)। আসামি পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন, মিনহাজ গাজি ও মাহফজুর রহমান।
হাজতে পাঠানো ৬ জন হলেন- রাজন আহমেদ অপু, জাকির হোসেন, কায়েস আহমেদ, মাসুদ আহমেদ রিপন ও আবুল মিয়া, ইমন আহমদ।
আরও পড়ুন: মাদকসহ গ্রেপ্তার ববি ছাত্রলীগ নেতার কারাদণ্ড
গোলাম ইয়াহ-ইয়া চৌধুরী (সুহেল) জানান, এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বিশ্বনাথ ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মী জামিন চাইলে আদালত ১৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া এ মামলায় আগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও ৪ জন জামিনে রয়েছেন বলে জানান গোলাম ইয়াহ-ইয়া চৌধুরী (সুহেল)।
৩ সপ্তাহ আগে