সিলেট
বিশ্বনাথে হাওরে মিললো বৃদ্ধের লাশ
সিলেটের বিশ্বনাথে হাওরে মিললো এক বৃদ্ধের লাশ।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার চাউলধনী হাওরের চানপুর গ্রাম এলাকার সমস্যার খাল নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আশক আলী (৭২) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আশক আলী সোমবার সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেননি। তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর চাউলধনী হাওরের চানপুর গ্রাম এলাকার সমস্যার খাল নামক স্থানে তার লাশ পানিতে ভাসতে দেখলে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
বিশ্বনাথে সাঁকো থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সিলেটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, একটিতে আগুন লেগে হেলপারের মৃত্যু
সিলেটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটিতে আগুন ধরে হেলপার নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলপার সবুজ মিয়ার (২০) গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার সময় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে একটিতে আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ওই ট্রাকের হেলপার মারা যান।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আগুন নিয়ন্ত্রণে
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও মোগলাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, সকালে খুব বেশি কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর একটি ট্রাকে আগুন ধরে যায়। সেই হেলপার ট্রাকে হয়তো ঘুমিয়ে ছিলেন। যে কারণে দগ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে ট্রাক দুটি দমকল বাহিনীর সহায়তায় সড়ক থেকে সরানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ।
আরও পড়ুন: কালুখালীতে আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নতুন দুটি ইউনিট উদ্বোধন
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউ-৩ ও এনসিডিসি ইউনিট এবং ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ নামক কর্নার উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বৃহত্তর সিলেটের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-৩ ইউনিট এ অঞ্চলের মানুষের-বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে মূল্যবান অবদান রাখবে। অবদান রাখবে এনসিডিসি ইউনিটও।
এ সময় মন্ত্রী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখার কাজ শুরুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়ে বলেন, হাসপাতালটির ওপর চাপ কমাতে এবং সিলেটবাসীর স্বাস্থ্যসেবার বিস্তৃতি ঘটাতে ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখার কাজ দ্রুত শুরু করা জরুরি।
আরও পড়ুন: র্যাব কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে, তবে এখন অনেক ম্যাচিউরড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি এর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত শুরুর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এটি হয়ে গেলে সিলেটবাসীকে আর বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। এতে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে তেমনি মানুষের জীবনও অনেক সুরক্ষিত হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে আর একটিও রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সম্প্রতি যারা দেশে প্রবেশ করেছে তাদের বের করে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খেলা দেখতে সিলেট স্টেডিয়ামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মাঠে তখন চলছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ। বিকেল ৪টার দিকে সবার আকর্ষণ ভিআইপি লাউঞ্জের দিকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মাঠে এসেছেন খেলা দেখতে।
ঘটনা শুক্রবার বিকালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের।
বিকালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দেখতে তিনি মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিসিবি পরিচালক ও নারী উয়িংসের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিমানযোগে সিলেট এসে পৌঁছেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সিলেটে ৫ দিনে হোটেল থেকে এক নারীসহ ৩ লাশ উদ্ধার
সিলেটে পৃথক তিনটি আবাসিক হোটেল থেকে পাঁচ দিনে দুই ভিক্ষুক ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজারের হোটেল আল ফয়েজের একটি রুম থেকে রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নাজিম নামে এক ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ধারণা করছে, স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভিক্ষাবৃত্তিই ছিল যার পেশা।
প্রতিদিন সিলেট নগরীর আনাচে-কানাচে ভিক্ষা করেই চালাতেন জীবন সংসার।
তার পুরো নাম নাজিম উদ্দিন নাজির (৬০)। তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজলার হরিনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি ভিক্ষা শেষ করে শনিবার রাতে হোটেলে ঘুমিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিজ ঘর থেকে আরেক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
রবিবার সকালে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এর দুইদিন আগে গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) অপর একটি আবাসিক হোটেল থেকে শাহেদ মোশারফ (৩৫) নামে আরও একজন ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়াও তারও দু’দিন পূর্বে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) নগরীর শাপলা আবাসিক হোটেল থেকে হোটেলের পরিচালক জহির মিয়ার সাবেক স্ত্রী নিলীমা বেগম লিলি (১৯) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে সিলেট নগরী থেকে তিনটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নগরজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আর তিনটি লাশই আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করায় আলোচনার সুর আরও ঘনিভূত হচ্ছে। এ সুর এখন নগর পেরিয়ে পুরো জেলায়।
তবে তিনটি ঘটনার মধ্যে দুটি মৃত্যুই স্বাভাবিক বলে ধরে নিচ্ছে পুলিশ।
তবে সাবেক স্বামীর হোটেল থেকে নিলীমা বেগম লিলি (১৯) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য রয়েই গেছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তার সাবেক স্বামীকে খুঁজছে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বাইপাস রোডের মোমিনখলা এলাকায় শাপলা আবাসিক হোটেল থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হোটেল কর্মচারীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১০৫ নং কক্ষের দরজা ভেঙে লিলি নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নিলীমা বেগম লিলি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দুলিয়ারবন্দ গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে এবং ওই আবাসিক হোটেলের পরিচালক জহির মিয়ার সাবেক স্ত্রী।
লিলি অনেকদিন আগে ছাড়াছাড়ি হলেও জহিরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বা মেলামেশা ছিল।
এছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় তার শরীরে কোনা আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, এঘটনার পর থেকে হোটেল পরিচালক জহির পলাতক রয়েছে। তিনি সিলেটের বাইরে অবস্থান করছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এদিকে এ ঘটনায় নিলীমা বেগম লিলির বাবা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
অপরদিকে গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বন্দরবাজারের লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে অপর ভিক্ষুক শাহেদ মোশারফ (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোশারফ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
সে লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। শুক্রবার সকাল থেকে তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন। রুমের মধ্যেই বিশ্রামে ছিলেন। কিন্তু এইদিন দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলের ২৫ নম্বর কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে যক্ষা রোগের চিকিৎসার বিভিন্ন কাগজ পাওয়া যায়।
পুলিশ ধারণা করছে তিনি যক্ষা রোগী ছিলেন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার
৫ ঘণ্টা পর সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেটের পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট মাত্র ৫ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মঈনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রশাসনের আশ্বাসে এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের নির্দেশনায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে।
এছাড়া এখন থেকেই যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
এর আগে বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলা ও বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজনের মুক্তির দাবিতে রবিবার ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় ধর্মঘট।
আরও পড়ুন: সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
এছাড়া সোমবার সিলেট জেলায় এবং মঙ্গলবার থেকে গোটা বিভাগে এই ধর্মঘট শুরু হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, আলী আকবর রাজন শ্রমিক নেতা হলেও তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
গত ৭ ডিসেম্বর সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৮ সালের জ্বালাও-পোড়াওয়ের একটি মামলায় আলী আকবর রাজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা ছিল।
এছাড়া ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার জামিনের দাবিতে সোমবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সিলেট জেলা পরিবহন ঐক্য পরিষদ।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, দেড় মাস ধরে শ্রমিক নেতা রাজন কারাগারে বন্দি। তার জামিনের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও জামিন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এর আগে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
তবুও জামিন না হওয়ায় পরিবহন কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সারাদিন দুর্ভোগ শেষে সিলেটে রাতে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সিলেটের সুরমা নদীর খনন কাজ শুরু
সিলেট নগরবাসীকে বন্যামুক্ত করার লক্ষ্যে এবং সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে খনন কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় সুরমা নদীতে খনন কাজের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, প্রথম দফায় সিলেটে সুরমা নদীতে ১৮ কিলোমিটার খনন করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সুরমা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
শীত মৌসুমে সুরমা নদী শুকিয়ে নালায় পরিণত হয়, আর বর্ষায় দেখা যায় ভয়াবহ রূপ। গভীরতা কমে যাওয়ায় নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে সিলেট শহরে। এতে পানিতে তলিয়ে যায় শহর। পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ছড়া-খালগুলো দিয়ে উল্টো শহরে প্রবেশ করে সুরমার পানি। গত বছর দুই দফা বন্যায় নাকাল হতে হয়েছে সিলেট নগরবাসীকে। অবশেষে নগরবাসীকে এ সমস্যা থেকে মুক্ত করতে সুরমা খননের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পাউবো সিলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মে ও জুন মাসে সিলেট নগরীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সুরমা নদী খনন, শহররক্ষা বাঁধ এবং নদী ও ছড়া-খালের উৎসমুখে স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি তোলা হয়।
ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ নদী খননে জোর দেন। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা নদী খননে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে।
বোর্ড সূত্র জানায়, এর আগে কানাইঘাট থেকে ছাতক পর্যন্ত সুরমা নদী খননের জন্য একটি ডিপিপি জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি। গেল বছর বন্যার পর কুশিঘাট থেকে ছাতকের লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার খননে আরও একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া নদী খনন করছে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, প্রথম দফার খনন শেষ হওয়ার পর কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত খনন হলে সুরমার নাব্যতা বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে পানি প্রবাহ। এতে বর্ষায় সিলেট মহানগরে বন্যার আশঙ্কা কমবে। এছাড়া আগামী জুন মাসের মধ্যেই খনন সম্পন্ন হওয়ার কথা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম জানান, লামাকাজি পর্যন্ত কোথাও ২০ ফুট আবার কোথাও ১৫ ফুট খননের ডিজাইনসহ কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুরমা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
সুরমা নদী থেকে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক ‘পলো বাওয়া উৎসব’- শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে এই উৎসব শুরু হয়। এতে অংশ নেন গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ।
এই উৎসব আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। কেননা গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই ১৫দিন বিলে মাছ ধরায় আটল (নিষেধাজ্ঞা) নেই।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। পানি ও কচুরিপানা বেশি না থাকায় মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছেন গ্রামবাসী।
শিকারকৃত মাছের মধ্যে ছিল- বোয়াল, শোল, মিরকা, কার্পু, বাউশ ও ঘনিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
গোয়াহরি গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছরের মাঘ মাসের পহেলা তারিখ এই পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু এবার বিলে মাছ বেশি থাকায় এলাকাবাসী মিলে এসময় পলো বাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে পলো বাওয়া হবে। এই পনের দিনের ভিতরে বিলে হাত দিয়ে মাছ ধরা হবে এবং কেউ চাইলে পেলান জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে গোয়াহরি গ্রামের সৌখিন মানুষ বিলের পারে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের পারে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে বিলে নেমে শুরু করেন পলো বাওয়া। শুরু হয় ঝপঝপ পলো বাওয়া।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ উৎসবে গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ অংশ নেন।
সরেজমিনে গোয়াহরি বিলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। যাদের পলো নেই তারা মাছ ধরার ছোট ছোট বিভিন্ন জাল নিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান।
এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ করতে বিলের পাড়ে ছোট ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের পুরুষ-মহিলা, দূর থেকে আসা অনেকের আত্মীয়- স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ছেলে-বুড়ো মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বিল থেকে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি মাছ শিকার হয়েছে।
গোয়াহরি গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমার কাছে পলো বাওয়া উৎসব খুব মজার বিষয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এ উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমাদের গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।
মাদরাসা শিক্ষক গোয়াহরি মাওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, আমি একটি মাদরাসার শিক্ষক। এই মাছ ধরায় অংশ নিতে পেরেছি তাই আমার খুব আনন্দ লাগছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশরাফুজামান বলেন, আমি পলো বাওয়ায় অনেক বছর দেখিনি। আমার ভাগ্য ভাল এবার এ উৎসব দেখতে পারলাম। আমার খুবই ভাল লাগছে। পলো দিয়ে মাছ শিকার একটি মজার বিষয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে পৌঁছেছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার সুলতানপুর-গহরপুর সড়কের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার সুলতানপুর-গহরপুর সড়কের বটতলা এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, সকাল ৮টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. রেজাউলের মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রোজিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোরীর মৃত্যু
শেরপুরে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে আহত আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল তিনজনে। এর আগে এ দুর্ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ ২ জন মারা যান।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দক্ষিণ সুরমার সুলতানপুর-গহরপুর সড়কে একটি অটোরিকশা সিলেট থেকে গহরপুর যাওয়ার পথে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ এক যাত্রী নিহত হন। পরে রাত ৮টার দিকে রেজোয়ান নামের আরেকজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকসহ নিহত ২
ঘটনাস্থলে নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম বাবুল মিয়া। তিনি ওই অটোরিকশার চালক। তার বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার চরলাপুর গ্রামে। অপর নিহত ব্যক্তি হচ্ছেন- মো. আনহার, একই উপজেলার গহরপুর এলাকার আজমল আলীর ছেলে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- সোনা মিয়া, তার চাচাতো বোন সুজিনা ও মামাতো ভাই আলাউদ্দিন। তাদের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর মাদরাসাবাজার এলাকায়। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন বলে।
নিহত তিনজনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বন্দরবাজারের লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাহেদ মোশারফ (৩৫) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু
সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল করিম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শাহেদ মোশাররফ লাভলী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করে বেড়াতেন। তার যক্ষা রোগ ছিল এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন মোশারফ। সুরতহাল শেষে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল থেকেই তিনি অসুস্থ ছিল। দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে হোটেলের ২৫ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে সিলেটের আরেকটি আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু