সিলেট
শনিবার সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
জরুরি মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছের ডালপালা কাটার জন্য শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ–১-এর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরাফাত ও বিভাগ-২–এর প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি আম্বরখানা উপকেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই উপকেন্দ্রের অধীন এলাকাগুলো হলো: ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, আম্বরখানা পয়েন্ট, রায়হুসেন গলি, মজুমদারী, সৈয়দমুগনী, লেচুবাগান, পীর মহল্লা (পূর্ব–পশ্চিম), হাউজিং এস্টেট, জালালাবাদ আবাসিক এলাকা, দরগাহ গেট, চন্দনটুলা, ঘূর্ণি আবাসিক এলাকা, দরগাহ মহল্লা, গৌরগোবিন্দ টিলা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, পুরান লেন, লালবাজার, জল্লারপাড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিয়া ফাজিলচিস্ত, পিটিআই, সুবিদবাজার, বনকলপাড়া, কলবাখানী, চাষনীপীর মাজার রোড, গোয়াইপাড়া, শাহী ঈদগাহ, হাজারীবাগ, টিবি গেট, উঁচা সড়ক, কাহের মিয়ার গলি, মক্তব গলি, কাজীটুলা, মীরবক্সটুলা, তাঁতীপাড়া ও আশপাশের এলাকা।
এ ছাড়াও সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুচর, সেনপাড়া ও শিবগঞ্জ ফিডার এলাকার অধীন শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস, জোনাকী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, আলুরতল, সেনপাড়া, শিবগঞ্জ, ভাটাটিকর, সাদিপুর, টিলাগড়, গোপালটিলা, এমসি কলেজ এলাকা, সবুজবাগ, বোরহানবাগ, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তারা আরও জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন এই প্রকৌশলীরা।
২০ ঘণ্টা আগে
সিলেটে মশার উপদ্রব, নগরবাসীকে ‘পরিচ্ছন্ন’ থাকতে বলছে কর্তৃপক্ষ
সিলেটে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। ঘরের ভেতরেও মিলছে না স্বস্তি। মশা কমাতে নগর কর্তৃপক্ষ বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও বাস্তবে তার কোনো প্রভাব নেই। ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া ছড়ানো ছাড়া কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে নগরবাসীর দাবি, মশার কামড়ে নগরজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু-আতঙ্ক। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলার্জি-জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। অপরদিকে, আর্থিক সঙ্কটের কারণে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দিতে পারছে না বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ‘নগরবাসী সচেতন হলে ও নগরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে পারলে বছরে এক-দুইবার অভিযানই যথেষ্ট।’
চলতি অর্থবছরে মশা নিধনে ২ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গত অর্থবছরেও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এত ব্যয়ের পরও সেই একই অবস্থা। মশার কামড় সহ্য করা নগরবাসীর নিত্যদিনের ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
মশার উপদ্রব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নগরজুড়ে ডেঙ্গুর আতঙ্কও বাড়ছে। সিলেটে প্রতি দিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। থেমে নেই মৃত্যুও; চলতি বছরে সিলেটে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য সিসিকের দাবি, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দাদের সংখ্যা কম। বেশিরভাগ রোগীই বিভিন্ন উপজেলার।
জানা গেছে, মশক নিধনে সিসিকের স্থায়ী কোনো কর্মী নেই। প্রতি বছর দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কিছু সংখ্যক কর্মীকে দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করানো হয়।
সিসিক জানায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে মশা দমনে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে ২ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৪ হাজার লিটার লার্ভিসাইড (টেমেপস ৫০ ইসি) এবং ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড (ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি) কেনা হয়েছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও সমপরিমাণ ওষুধ কিনেছিল কর্তৃপক্ষ।
বছরে কোটি কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় করলেও সে তুলনায় সেবা মিলছে না। যদিও সিসিকের দাবি, ৩০-৪০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন, কিন্তু বাস্তবে এসব কর্মীদের নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে দেখা যায় বছরে মাত্র এক-দুইবার।
নগরীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাশে বসা কলেজছাত্র সুমন শাওন জানান, বিকেল বেলাও বন্ধুদের সঙ্গে বসে গল্প করা যায় না। মশা এমনভাবে কামড়ায় যে দাঁড়িয়ে থাকাও দায় হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আধা ঘণ্টাও হয়নি বন্ধুদের সঙ্গে শহিদ মিনারে এসেছি, কিন্তু মশার তাণ্ডবে না পারছি দাঁড়িয়ে থাকতে, না পারছি বসে গল্প করতে।’ কিছুক্ষণ পর একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই বন্ধুদের নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যে হারে মশার উপদ্রব বাড়ছে, খুব দ্রুত ড্রেন, নালায় সিসিকের কীটনাশক ব্যবহার করা জরুরি।’
নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপু বলেন, ‘এমনিতেই চারদিকে জ্বর-সর্দি ছড়িয়ে পড়ছে। কোনটা ডেঙ্গু আর কোনটা সাধারণ জ্বর, তা বোঝা যাচ্ছে না। ফলে মশার কারণে সাধারণ জ্বর হলেও অনেকে ডেঙ্গুর আশঙ্কায় আতঙ্কিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মশার কামড়ে শরীরের হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানে এলার্জি-জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মাঝে মাঝে সিটি করপোরেশনের লোকেরা এসে ড্রেন, খোলা জায়গা ও বাসার আঙিনায় ধোঁয়া স্প্রে করে যান। এতে সাময়িকভাবে মশার আক্রমণ থেকে কিছুটা রেহাই মিলেলেও স্থায়ী কোনো সুফল মিলছে না।’
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীতে মশা নিধনের জন্য প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৪৫ জন মশক নিধনকর্মী ও ৭ জন সুপারভাইজার দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছেন, যা যথেষ্ট নয়। ওয়ার্ডভিত্তিক কমপক্ষে ৪-৫ জন কর্মী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দিতে হবে। এ হিসেবে সিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে দুইশতাধিক কর্মী প্রয়োজন। এসব কর্মীদের বেতন-ভাতা সিসিকের পক্ষে একা বহন করা সম্ভব নয়। তাই আর্থিক সংকটের কারণে স্থায়ীভাবে কোনো কর্মী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে কর্মী নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছি, কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। মশা নিধনের জন্য নগরীতে বছরে ২-৩ বার বিভিন্ন স্থানে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। নিয়ম হচ্ছে প্রতি মাসে কীটনাশক ব্যবহার করা। তাই বাস্তবিকভাবে স্থায়ী সুফল পাওয়া সম্ভব হয় না। সীমিত সামর্থ্য থেকে সিসিক যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত নগরবাসী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন না করবে এবং সচেতন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। নগরবাসী সচেতন হলে ও নগরকে আবর্জনামুক্ত রাখতে পারলে বছরে এক-দুইবার অভিযানই যথেষ্ট। অতিরিক্ত ওষুধ কিনে পরিকল্পনামতো কাজ করতে না পারলে এটি অপচয় হবে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।’
২ দিন আগে
৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর এলাকায় তেলবাহী মালগাড়ি ৯৫২-এর একটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার চার ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াগনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে কুলাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটি উদ্ধার করার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে শনিবার ভোরে সিলেটে পৌঁছে তেল আনলোড করা বিশেষ ট্যাংক ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফিরছিল। রাত সাড়ে ৯টায় মল্লিকপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ওয়াগনের চাকা লাইনের বাইরে চলে যায়।
৫ দিন আগে
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা স্টেশনের কাছে সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে করে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নোয়াপাড়া স্টেশনের মাস্টার মো. মনির হোসেন জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি নোয়াপড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ইটাখোলা স্টেশনের অদূরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে অন্য কোনো ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।
আখাউড়া থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এনে বেলা দেড়টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান তিনি।
৭ দিন আগে
সিলেটে ‘ডেভিল হান্টে’ সাত মাসে গ্রেপ্তার ৭১০
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় এখন পর্যন্ত মোট ৭১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক সহিংসতা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে শুরু হয় অপারেশন ডেভিল হান্ট।
সিলেট মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রায় সাত মাসে বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৭১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে ৩৪১ জন এবং ৩৬৯ জনকে অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্ট: খুলনায় আটক ১৮
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া অনেকে আগেই বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি ছিলেন। আবার কেউ কেউ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা, আগুন-সন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধে যুক্ত যেকোনো ব্যক্তিকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
অভিযান অব্যাহত রয়েছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৯১ দিন আগে
সাদাপাথর লুটকাণ্ডে একযোগে ২২ পুলিশ সদস্যকে বদলি
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে পাথর লুটপাটের পর একযোগে পুলিশের ২২ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার আলোচিত ১১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ২২ সদস্যকে রদবদল করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানানো গেছে। বদলি হওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন এসআই, ৭ জন এএসআই এবং ২ জন কনস্টেবল।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলার ২২ পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে। বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার তিনজন এসআই ও একজন এএসআই এবং গোয়াইনঘাট থানার চারজন এসআই ও তিনজন এএসআইকে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া অন্যরা বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার থানা এবং গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সিলেটের মোটরযান শাখার কর্মরত পুলিশ সদস্য।
কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানা থেকে ১১ জনকে অন্যত্র বদলি করার পাশাপাশি জেলার অন্য থানা থেকে এ দুটি থানায় নয়জনকে বদলি করা হয়েছে । এর মধ্যে তিনজনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এবং ছয়জনকে গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৩ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের পর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় পাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগের ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। এ ছাড়া প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্যের অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বদলি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হলেও সাম্প্রতিক পাথর লুটকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার ১১ পুলিশ সদস্যকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই দুটি থানার আরও কিছু কর্মকর্তার বদলি হতে পারে বলেও জানা গেছে।
১০০ দিন আগে
সিলেটে সাদাপাথর পরিদর্শনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি
সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন স্পট পরিদর্শন করেছে পাথর লুটের ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যদের দলটি সাদাপাথর এলাকায় যান।
এসময় তারা সাদাপপাথর এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয় লোকজন, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা লুট হওয়া সাদাপাথরের বেশ কয়েকটি স্থান সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
এর আগে প্রথমে রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। এসময় সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমের কাছে কোনো বক্তব্য দেননি তদন্ত কমিটির সদস্যরা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির প্রধান জাহেদা পারভীন জানান, আমরা আরও একদিন সিলেটে থাকব। আজ সারাদিন আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলব, আগামীকাল (বুধবার) আমরা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব।
গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
কমিটিতে সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব জাহেদা পারভীনের নেতৃত্বে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত আছেন। কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে।
এদিকে, পাথর ফেরত দিতে জেলা প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে সোমবার।
প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের জন্য ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ৭ লাখ ঘনফুট পাথর।
পর্যায়ক্রমে উদ্ধারকৃত পাথরগুলো সাদাপাথর পর্যটন স্পটে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয়। চলতি আগস্টে পাথরহীন সাদাপাথরের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সাদাপাথর ফেরত দিতে প্রশাসনের ৩ দিনের আল্টিমেটাম
গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদাপাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল।
সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে।
সাদাপাথর লুট নিয়ে গত ১৭ আগস্ট পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এখানে যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে, এর বিপরীতে প্রশাসনের হয় যোগসাজশ করেছে, নতুবা নীরব থেকেছে অথবা দুটোই ঘটেছে। এজন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং দ্রুতই নেব।’
১০০ দিন আগে
মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ: সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হলেও ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নামের ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার-সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল। গত ২৬ জুলাই ওই রেস্তোরাঁ থেকে নিখোঁজ হয় সে। এরপর গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।
সে সময় রবিউলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছেন।
লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু লাশ দাফন করা হলেও গেল শুক্রবার (২২ আগস্ট) সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, নিখোঁজের ১৭ দিন পর রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানাপুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠায়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সে আত্মগোপনে ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের মরদেহ নিয়ে মহাসড়কে মায়ের বিচার দাবি
এদিকে, কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে সেটি রবিউলের বলে করে দাফন করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন, কিংবা দাবি করেন, তাহলে আগের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার লাশ পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক কওমি বলেছেন, রবিউলের পরিবার থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে তা হয়তো নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। যেহেতু এটি হত্যা মামলা ছিল এবং এখন রবিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১০৩ দিন আগে
সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আইএলটিএস পরীক্ষার্থী তাহমিদুর সোহাগ (২০) নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) ভোরে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহাগ জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই–বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বড় ভাই যুক্তরাজ্যে থাকেন এবং ছোট বোন সিলেটে পড়াশোনা করছেন।
আরও পড়ুন: ১০ মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল দুই বন্ধুর
২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করা সোহাগ আগামী ৩০ আগস্ট আইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
প্রতিবেশী ও চাচা মো. নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগ এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে উমনপুর টার্নিং এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দিলে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোহাগকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সাফির হাত ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সোহাগের মৃত্যুর এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
১০৬ দিন আগে
সিলেটে মাইক্রোবাস চাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় মাইক্রোবাসের চাপায় এহিয়া (৩০) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাওনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এহিয়া সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত জাহিদ মিয়ার ছেলে।
পুশিল জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশা ও বিশ্বনাথ থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাসটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাওনপুর এলাকায় পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশা-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে অটোচালকের মাথায় একটি বড় রড ঢুকে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি; আহত হন আরও তিন জন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ।
এই দুর্ঘটনায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাওনপুর নামক স্থানে সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
১০৮ দিন আগে