চুক্তি
কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
কোনো অবস্থাতেই হজ চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে সকল চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘চুক্তি সম্পন্ন করতে মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর চুক্তি এখনও সম্পন্ন করা হয়নি। যদি কারও চুক্তি সম্পন্ন না হয়; তার দায় সৌদি সরকার নেবে না, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও নেবে না। দায় এজেন্সিকে নিতে হবে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ তথ্য জানান খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘হজের জন্য ৮৭ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন নিবন্ধন করেছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীদের সকল চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকারীদের ক্ষেত্রে অনেক এজেন্সি চুক্তি সম্পন্ন করতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৫ হাজার হজযাত্রীর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসরকারি এজেন্সিগুলোও তাদের অধীনে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেকের কার্যক্রম বেশ সন্তোষজনক, আবার অনেকে ধীর গতিতে চলছেন।’
আরও পড়ুন: আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ও এই ডেডলাইনের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে সব চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন বলে জানান আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হতে গতকালও (রবিবার) আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে চুক্তি সম্পাদনের গতি খুবই কম ও অনেকক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ডেডলাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি ও এটা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। বাংলাদেশ হতে হজের জন্য নিবন্ধিত কোনো ভাই বা বোন যাতে হজব্রত পালন করা হতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন।
খালিদ হোসেন বলেন, হজ সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার পত্র মারফত আমাদেরকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে ও সে মোতাবেক আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আমরা গতকালই এজেন্সিদেরকে তাগিদপত্র দিয়েছি। সোমবার সকালেও সংশ্লিষ্ট এজেন্সি মালিক/পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেছি। তাদেরকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল চুক্তি সম্পাদনের জন্য বলা হয়েছে।
সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কি কি চুক্তি করতে হবে সে তথ্য জানান উপদেষ্টা। এর মধ্যে রয়েছে— মিনায় ও আরাফায় তাঁবু ও ক্যাটারিংয়ের জন্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি। বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি। পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি। ক্যাটারিং নিতে আগ্রহী হলে ক্যটারিং সেবাদানকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি।
আরও পড়ুন: নাশকতাকারী কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা
এজেন্সির অবহেলায় কোনো হজযাত্রী হজ করতে না পারলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল তো হবেই। আর্থিক জরিমানা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হজ ও উমরাহ বিধিমালা ২০২২-এ সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া করার লক্ষ্যে ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এ কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারে। এ বছর এই কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ২ জন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের ২ জন প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা হয়। এদের মধ্যে সৌদি দূতাবাসের ডিফেন্স এটাশে ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিও ছিলেন।’
৪১ দিন আগে
প্যারিস চুক্তি প্রত্যাহার, জাতিসংঘকে জানাল যুক্তরাষ্ট্র
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত হয়েছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নিউ ইয়র্কের সদরদপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘অর্থদাতা হিসেবে প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের কথা ২৭ জানুয়ারি মহাসচিবকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তির ২৮ ধারার অনুচ্ছেদ ২ অনুসারে, ২০২৬ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি। এ সময়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ ও প্যারিস চুক্তির প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গীকারের পুনর্ব্যক্ত করেন মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: শুল্ক এড়াতে ইইউকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল গ্যাস কিনতে হবে: ট্রাম্প
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার প্রথম দিনেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের জন্য যা বড় একটি ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এরআগে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে এই চুক্তি থেকে সরে আসার উদ্যোগ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রথম দিনেই চুক্তি পুনর্বহাল করেন জো বাইডেন।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত যত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে এই চুক্তিকে। ২০২৪ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। যা প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে বেশি। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের
বিবিসির খবরে বলা হয়, ‘জাতীয় জ্বালানি জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থেকে সরে এসে তেল ও গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে এই রূপরেখা প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে দেশগুলোর প্রতি আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণতার উৎসগুলোকে সীমিত করতে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয় এটিকে।
৫৩ দিন আগে
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
বিদ্যুৎ ক্রয় নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত সংশোধন করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নতুন চুক্তি করার প্রস্তাবে রাজি না হলে তা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এম এ কাইয়ুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনটির ওপর আগামী রবিবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি।
নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আদানিকে এই ঘটনায় চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ৩ তিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নোটিশের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।
১৩০ দিন আগে
অবসরে যাওয়া ৫ অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তিতে সচিব নিয়োগ
অবসরে যাওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তিভিত্তিতে সচিব হিসেবে নিযোগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (১৭ আগস্ট) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক অবসরে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলম
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মো. এহছানুল হককে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, ড. নাসিমুল গনিকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব এবং এম এ আকমল হোসেন আজাদকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি এসব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল এবং কাউকে অন্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের মধ্যে সিনিয়র সচিব মোকাব্বিরকে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বদলি
শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
২১৮ দিন আগে
নগদ অর্থ সংকটের মধ্যেই আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনার আহ্বান
বর্তমান নগদ অর্থ সংকটের মধ্যেই বিদ্যুৎ খাতের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বেশিরভাগ কর্মকর্তা মনে করেন, ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে সরকারকে প্রতি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপিডিবির এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘যদি আদানির চুক্তি পুনর্বিবেচনা এবং শুল্ক হ্রাস করা হয়, তবে সরকার এখন আদানিকে যে অর্থ দেয় তার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সই করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের এপ্রিলে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ।
আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। যার প্রায় অর্ধেক ভারতের বেসরকারি খাত থেকে এবং বাকি অর্ধেক সরকারি কেন্দ্র থেকে। তবে এর সবগুলোই কয়লাভিত্তিক বা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ।
বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট-ঘণ্টা) আমদানিতে প্রায় সাড়ে ৫ টাকা, ভারতের বেসরকারি খাত থেকে প্রতি ইউনিট সাড়ে ৮ টাকা এবং আদানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ টাকা পড়ছে।
বিপিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, 'এর অর্থ হচ্ছে ভারত সরকারের ব্যবস্থাপনায় আমদানির গড় ব্যয়ের তুলনায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে খরচ করতে হয় প্রায় দ্বিগুণ অর্থ।’
সরকার যদি চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চায় তবে এখনই তা করার উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পুনর্বিবেচনা বাংলাদেশের বিশাল পরিমাণ অর্থের সাশ্রয় করবে।
আরও পড়ুন: নিম্নমানের বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটারের বিষয়ে তদন্তে মন্ত্রণালয়কে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
বাংলাদেশের অনেক জ্বালানি বিশেষজ্ঞও আদানির চুক্তির সমালোচনা করছেন। তারা বলেন, বর্তমানে বিপিডিবিকে বছরে ১২০ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হয় এবং ২৫ বছরে পরিশোধ হবে ৩০ বিলিয়ন ডলার।
চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হলে এবং শুল্ক অর্ধেক করা গেলে ২৫ বছরে বিপিডিবি সাশ্রয় করতে পারবে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় এবং ভারত থেকে উচ্চমূল্যে আমদানির কারণে বিপিডিবির বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিপিডিবি) সহসভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, সরকারের উচিত অবিলম্বে আদানিসহ সব অযাচিত চুক্তি পুনর্বিবেচনার ব্যবস্থা নেওয়া।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে ব্যাপক সমালোচনার পর গত বছর আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ রপ্তানিতে বিদ্যুতের দাম কমাতে রাজি হয়। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে এ ব্যবস্থা করা হয় এবং প্রতি মাসেই বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের জন্য ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হয় বিপিডিবিকে।
বিপিডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'তবে আমাদের পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে এই চুক্তির স্থায়ী সমাধান দরকার।আরও পড়ুন: নিরবচ্ছিন্ন বিল পরিশোধে বিদ্যুৎ বিভাগকে নিজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বললেন নসরুল
২২২ দিন আগে
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে এক ধরণের প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণ থাকছে।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া এ বিষয়গুলো আরও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে জানান তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতার দপ্তর-সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সইয়ের পর প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়গুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করে আমরা বাইরে নিয়ে আসতে চাই।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে দেশ-জনগণের স্বার্থে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুশাসনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো জনসাধারণকে আরও বেশি জানানো দরকার। তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হবে। সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এ প্রক্রিয়াগুলো শুরু করেছে।’
২৭০ দিন আগে
রাশিয়া-উ. কোরিয়ার মধ্যে সই হওয়া চুক্তির জানা-অজানা তথ্য
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে সম্প্রতি সই হওয়া চুক্তি নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানা যাচ্ছে। এ নিয়ে বেশ কৌতূহল রয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মহলেও।
পিয়ংইয়ংয়ে তাদের শীর্ষ পর্যায়ের এই বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, বৈঠকে তারা যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করেছেন তা একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। তবে এ চুক্তির মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের গতিপথ কোন দিতে মোড় নেবে তা এখনও অনিশ্চিত।
এই চুক্তি স্নায়ুযুদ্ধের পর সই করা দেশগুলোর সবচেয়ে শক্তিশালী চুক্তি হতে পারে, তবে উত্তর কোরিয়ার প্রতি রাশিয়া কতটা দৃঢ় নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা নিয়ে মতপার্থক্যও রয়েছে।
কিম দাবি করেছেন এই চুক্তি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি জোটের স্তরে উন্নীত করেছে, যদিও পুতিন এটিকে আরও কিছুটা কমিয়ে বলেছেন। তিনি এটিকে জোট হিসেবে উল্লেখ করেননি।
পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ বৈঠকে চুক্তিটি সইয়ের পরদিন বুধবার(১৯ জুন) বিকালে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চুক্তির বিষয়গুলো প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় সামরিক, বৈদেশিক নীতি ও বাণিজ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহায়তা এবং বৃহত্তর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই চুক্তির বিষয়ে এখনো কিছু প্রকাশ করেনি রাশিয়া।
আরও পড়ুন: নতুন মেয়াদের তৃতীয় বৈদেশিক সফরে উজবেকিস্তানে পুতিন
প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া আক্রান্ত হলে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সেসব বিষয়সহ এই চুক্তির অর্থ কী হতে পারে তা তারা এখনও মূল্যায়নের চেষ্টা করছেন।
ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং সমস্ত অভ্যন্তরীণ বিরোধীদের দমন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান তিক্ততার মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই পারমাণবিক ক্ষমতার অধিকারী রাশিয়া এবং ছোট ও বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে।
নতুন এই চুক্তি তাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি করতে পারে।
কিম ও পুতিনের এই নতুন অংশীদারিত্ব চুক্তিতে কী রয়েছে:
কী প্রতিশ্রুতি দিল রাশিয়া?
পুতিন ও কিমের সমন্বিত অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে বেশিরভাগ বিতর্ক আর্টিকেল-৪ ঘিরে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, চুক্তির অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যদি কোনো একটি দেশ আক্রমণ করে এবং তাকে যুদ্ধাবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তবে ‘দেরি না করে’ অন্যটিকে অবশ্যই ‘সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা’মোতায়েন করতে হবে।
তবে এতে এটাও বলা হয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ অবশ্যই উভয় দেশের আইন এবং জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হতে হবে। যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া আক্রমণের শিকার হলে মস্কো হস্তক্ষেপ করবে- এটি প্রতিশ্রুতির মতো শোনাচ্ছে। এটি উত্তর কোরিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ১৯৬১ সালের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুতির নবায়ন। এই চুক্তি ইউএসএসআরের পতনের পরে বাতিল করা হয় এবং ২০০০ সালে দুর্বল সুরক্ষা আশ্বাস দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেজং ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক চেয়ং সিয়ং চ্যাং বলেন, চুক্তিটি ১৯৬১ সালের চুক্তির ভাষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির বিধানের সঙ্গে এটির মিল রয়েছে। অর্থাৎ যদি কোনো একটি দেশ আগ্রাসনের হুমকির মুখোমুখি হয়, তবে সমন্বয় করার জন্য চ্যানেলগুলো সক্রিয় করার বিষয়ে মূলত এই চুক্তি।
আরও পড়ুন: দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতিশ্রুতি নড়বড়ে হওয়া উচিৎ নয়: শি
চেয়ং বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া তাদের স্নায়ুযুদ্ধকালীন সামরিক জোট পুরোপুরি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।’
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডা বলেন, স্বয়ংক্রিয় হস্তক্ষেপ এড়াতে আর্টিকেল-৪ সতর্কতার সঙ্গে লেখা হয়েছে। অনুচ্ছেদে কেন জাতিসংঘ সনদের কথা বলা হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
পান্ডা বলেন, বিশদভাবে দেখার বিষয় হলো ‘উভয় পক্ষই লিখিতভাবে এবং বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা করেছে, তারা তাদের সহযোগিতার পরিধি কতটা বিস্তৃত করতে চায়।’
সামরিক সহযোগিতা কতদূর গড়াবে?
পুতিন মূলত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতাকে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। এতে অত্যন্ত নির্ভুল অস্ত্র ব্যবস্থা, যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া ফেডারেশনের সঙ্গে আজ সই করা নথি অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিকাশকে বাদ দেয় না।’
এই বিবৃতিটি কার্যত এমন কিছু বিষয়কে আনুষ্ঠানিক করে তোলে যা পশ্চিমা দেশগুলোতে ইতোমধ্যে ঘটছে বলে দাবি করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররা অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ পেয়েছে। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সাফল্য কমেছে। আর রাশিয়া পিয়ংইয়ংয়ের কাছে প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে, যা কিমের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ফলে সৃষ্ট হুমকি আরও বাড়তে পারে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চুক্তিতে দেশগুলোকে তাদের যৌথ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে, তবে এই পদক্ষেপগুলো কী হবে বা এতে সম্মিলিত সামরিক প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না- তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নর্থ কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, চুক্তিতে 'ন্যায় ও বহুমুখী নতুন বিশ্বব্যবস্থা' প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মুখে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
পান্ডা বলেন, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার বিষয়ে যৌথ পদক্ষেপের বিষয়ে চুক্তির ভাষা ‘বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্যোগে অব্যাহত সহযোগিতার বিস্তৃত ইঙ্গিত।’
চুক্তির অর্থনৈতিক দিক কী?
এই অংশীদারিত্বের ফলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। যা উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় ভুগছে। উত্তর কোরিয়ার পণ্য ও উপাদান প্রয়োজন এবং এর পরিবর্তে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত রাশিয়ায় শ্রমিক সরবরাহ করতে পারে। এই শ্রমিকরা রুবলের মজুরিকে ডলার বা ইউরোতে রূপান্তর করতে পারে এবং হার্ড-কারেন্সি করে দেশে পাঠাতে পারে।
পুতিন বলেন, গত এক বছরে রুশ-উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্য ৯ গুণ বেড়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন এই পরিমাণ ‘কমই’ রয়েছে।
শীর্ষ বৈঠকের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্লেষকরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বৈদেশিক মুদ্রা পেতে রাশিয়ায় শ্রম রপ্তানি এবং অন্যান্য কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। যদিও কিম ও পুতিনের মধ্যে চুক্তির সংবেদনশীল বিবরণ প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।
উত্তর কোরিয়ার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পর্যটনসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মদ খেয়ে তামিলনাড়ুতে অন্তত ২৯ জন নিহত
২৭৬ দিন আগে
দ. কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তির কথা ভাবছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) মতো দ্বিপক্ষীয় উপকরণকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার(২০ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।
এ বৈঠকে দুটি দেশের অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়াদি প্রাধান্য পায়। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, কোরিয়া পরিচালিত প্রকল্প, চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিময়সহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের 'এলডিসি' থেকে উত্তরণের পর সহযোগিতার ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্ণনা করে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করেন এবং হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কোইকাকে ধন্যবাদ জানান ও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশি পণ্যকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশে অনুমতি ও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশকে ৭টি বিলাসবহুল গাড়ি দেওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়াও কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) স্কিমের অধীনে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য কোটা বাড়ানোর জন্য কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান ড. হাছান।
এ সময় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ভাষা শেখার সমস্যার কারণে বাংলাদেশ গত বছর ১০ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ করতে পারেনি।
তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধান করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মনোনীত করেছে। যেখানে কোরিয়ার প্রশিক্ষকরা ভাষা ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত বৈঠকে ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) এবং দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন, উচ্চ-পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর এবং সরাসরি ও যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৬৮ দিন আগে
একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
পদ্মা ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ দুই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এটিই প্রথম দেশে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করা হলো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আগামীকাল থেকে পদ্মা ব্যাংকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। একীভূতকরণের ফলে নতুন করে এক্সিম ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সোমবার একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, একীভূতকরণের কারণে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি পরামর্শ ছিল। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা এটা করেছি।’
একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে- অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ। আমরা অধিগ্রহণ করিনি, আমরা একীভূতকরণ করেছি।’
সূত্র জানায়, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় ১২০০ কর্মী এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকে অধীনে কাজ করবে।
পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং পদ্মার কাছে সরকারি ব্যাংকগুলোর দায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'পদ্মা একীভূত হয়ে যাওয়ায় পদ্মা ব্যাংকের সব দায় এখন এক্সিম ব্যাংকের।’
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও যেহেতু আমরা (এক্সিম) একীভূত করেছি, তারাও শরিয়াহভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করি আরও ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
৩৭০ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির আওতায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটি) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) মধ্যে একটি কনসেশন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ’র উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এবং আরএসজিটির সিইও জিন্স ও. ফোলি চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানের আগে সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ২ দিনের সফরে ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
এটিই হবে প্রথম বিদেশি কোম্পানি যারা বন্দর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করছে।
আরএসজিটি একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর, যা সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল এবং মালয়েশিয়ান মাইনিং কোম্পানির (এমএমসি) মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছর পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে।
চলতি বছরের মে মাসে দোহায় সৌদি আরব বাংলাদেশের স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম সম্প্রতি দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে যৌথভাবে সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটি
৪৭৩ দিন আগে