চুক্তি
দ. কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তির কথা ভাবছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) মতো দ্বিপক্ষীয় উপকরণকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার(২০ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।
এ বৈঠকে দুটি দেশের অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়াদি প্রাধান্য পায়। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, কোরিয়া পরিচালিত প্রকল্প, চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিময়সহ দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের 'এলডিসি' থেকে উত্তরণের পর সহযোগিতার ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্ণনা করে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করেন এবং হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস, অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান।
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কোইকাকে ধন্যবাদ জানান ও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশি পণ্যকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশে অনুমতি ও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশকে ৭টি বিলাসবহুল গাড়ি দেওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়াও কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) স্কিমের অধীনে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য কোটা বাড়ানোর জন্য কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান ড. হাছান।
এ সময় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ভাষা শেখার সমস্যার কারণে বাংলাদেশ গত বছর ১০ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ করতে পারেনি।
তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধান করতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মনোনীত করেছে। যেখানে কোরিয়ার প্রশিক্ষকরা ভাষা ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন।
পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত বৈঠকে ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) এবং দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন, উচ্চ-পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর এবং সরাসরি ও যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
পদ্মা ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক এক্সিম ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এই একীভূতকরণ সম্পন্ন হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারসহ দুই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর এটিই প্রথম দেশে দুই ব্যাংকের একীভূতকরণ বাস্তবায়ন করা হলো।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আগামীকাল থেকে পদ্মা ব্যাংকের আর অস্তিত্ব থাকবে না। একীভূতকরণের ফলে নতুন করে এক্সিম ব্যাংক নামে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: সোমবার একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করবে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, একীভূতকরণের কারণে কোনো কর্মী চাকরি হারাবেন না। তবে পদ্মা ব্যাংকের পরিচালকরা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে এটি একটি পরামর্শ ছিল। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে আমরা এটা করেছি।’
একীভূতকরণের ফলে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের দুটি পদ্ধতি রয়েছে- অধিগ্রহণ ও একীভূতকরণ। আমরা অধিগ্রহণ করিনি, আমরা একীভূতকরণ করেছি।’
সূত্র জানায়, পদ্মা ব্যাংকের প্রায় ১২০০ কর্মী এখন থেকে এক্সিম ব্যাংকে অধীনে কাজ করবে।
পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং পদ্মার কাছে সরকারি ব্যাংকগুলোর দায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, 'পদ্মা একীভূত হয়ে যাওয়ায় পদ্মা ব্যাংকের সব দায় এখন এক্সিম ব্যাংকের।’
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক। পদ্মা ব্যাংক সাধারণ হলেও যেহেতু আমরা (এক্সিম) একীভূত করেছি, তারাও শরিয়াহভিত্তিক হবে। এক্সিম ব্যাংকের প্রতিটি সূচক ভালো অবস্থানে আছে, আশা করি আরও ভালো করবে।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির আওতায় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে সৌদি কোম্পানি
পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটি) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) মধ্যে একটি কনসেশন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সফররত সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ’র উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এবং আরএসজিটির সিইও জিন্স ও. ফোলি চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানের আগে সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সৌদি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ ২ দিনের সফরে ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
এটিই হবে প্রথম বিদেশি কোম্পানি যারা বন্দর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করছে।
আরএসজিটি একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর, যা সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল এবং মালয়েশিয়ান মাইনিং কোম্পানির (এমএমসি) মধ্যে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে।
আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছর পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে।
চলতি বছরের মে মাসে দোহায় সৌদি আরব বাংলাদেশের স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম সম্প্রতি দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে যৌথভাবে সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে ঢাকায় সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ-সৌদি পার্লামেন্ট ফ্রেন্ডশিপ কমিটি
করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
‘ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস’- সেবার মাধ্যমে ব্র্যাক আইটি’র কর্মীদের খাবার ও গ্রোসারি অর্ডার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডার সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে ব্র্যাক আইটি।
এই অংশীদারিত্বের ফলে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট সেবার মাধ্যমে খাবার, গ্রোসারি ও অন্যান্য পণ্য অর্ডারে আকর্ষণীয় ডিলস এবং করপোরেট সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন ব্র্যাক আইটির কর্মীরা।
চুক্তিটির ফলে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডারে বিশেষ ছাড় পাবেন ব্র্যাক আইটির কর্মীরা। ফুডপ্যান্ডা অ্যাপের মাধ্যমেই কর্মীদের জন্য সুবিধা অনুযায়ী অ্যালাওয়েন্স নির্ধারণ করতে পারবে ব্র্যাক আইটি। পরে তাদের কর্মীরা এসব অ্যালাওয়েন্স ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে ই-ভাউচার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়াও ব্র্যাক আইটির অনুষ্ঠান, সভা বা বিশেষ আয়োজনে প্যান্ট্রি সল্যুউশন দেবে ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস নামের সেবাটি। এসব অর্ডার প্রক্রিয়া যাতে সহজ ও নির্বিঘ্ন হয় তাই ব্র্যাক আইটি’র জন্য একজন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার থাকবেন। একটি অ্যাডমিন প্যানেলের মাধ্যমে এসব অর্ডার তাৎক্ষণিক ট্র্যাক করতে পারবে ব্র্যাক আইটি।
এই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ব্র্যাক আইটি লিমিটেডের সিইও শাহরিয়ার হক; ব্র্যাক আইটি’র হেড অব এইচআর আহমেদ জাকারিয়া আমিন; ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের করপোরেট বিজনেস ডেভলপমেন্ট এর সিনিয়র ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান খান; ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের করপোরেট বিজনেস ডেভলপমেন্ট এর অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার হাবিব উর রহমান এবং ব্র্যাক আইটি’র এইচআর বিজনেস পার্টনার তাজুল ইসলাম দোলন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ পেল ফুডপ্যান্ডা
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব বি-টু-বি অ্যান্ড শেয়ারড কিচেন এইচএম নাফিস বলেন, ‘আমাদের করপোরেট সেবার মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠান এবং তার কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের সংযোগ তৈরি করতে চাই। তাদের নির্ঞ্ঝাট সুবিধা উপভোগের সুযোগ দিয়ে আমরা আমাদের সেবা যথাযথভাবে নিশ্চিত করি। আমাদের এই বি-টু-বি সেবার মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরও সহজ করতে কাজ করি। যেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রাধান্য পেয়ে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্র্যাক আইটি’র কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্বে আমি উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুবিধাজনক উপায়ে সেবা দিয়ে তাদের কার্যক্রমকে সহজ করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব।’
ব্র্যাক আইটি লিমিটেডের সিইও শাহরিয়ার হক বলেন, ‘ফুডপ্যান্ডার সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও সহজে আমাদের খাবার ও গ্রোসারি চাহিদা পূরণে এবং ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে। আমাদের কর্মীদের জন্য এখন নির্বিঘ্নে খাবার প্রাপ্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি কর্মস্থলের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঝামেলাহীনভাবে পেতে ‘ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস’ নামের সেবাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এর ফলে আমাদের প্রতিদিনকার জীবন আরও সহজ হবে।’
ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস একটি বি-টু-বি সেবা। যার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আকর্ষণীয় ছাড়সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের কোনো বিশেষ আয়োজন, সভা বা অনুষ্ঠানের জন্য প্রি-অর্ডার অপশন ব্যবহার করে করপোরেট ক্যাটেরিং সেবাও পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবারহ, কর্মীদের জন্য গিফট ভাউচার ও গিফট প্যাকেজ সুবিধাও পাওয়া যায় ফুডপ্যান্ডা ফর বিজনেস এর মাধ্যমে। মাসভিত্তিক বিল সুবিধা ব্যবহারের ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও সহজে তাদের ব্যয় শনাক্ত ও ব্যবস্থাপনা করতে পারে।
আরও পড়ুন: রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির পর্যালোচনা করতে প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮১ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা রযেছে।
বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম পর্যালোচনা শেষ করে আইএমএফ এই বিবৃতি জারি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মকর্তা পর্যায়ের সমঝোতাটি আইএমএফ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে। এটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশি অংশীজন এবং আইএমএফের প্রতিনিধি দল ২০২৩ সালের আর্টিকেল ৪ বিষয়ে আলোচনা করেছে। একই সঙ্গে ইসিএফ/ইএফএফ/আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে প্রথম পর্যালোচনা সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগুলোর বিষয়ে কমৃকর্তা পর্যায়ের সমঝোতায় পৌঁছেছেন তারা।
অবশেষে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বলেছে, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির অধীনে কাঠামোগত সংস্কারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে বাংলাদেশ। তবে সংকটগুলো রয়ে গেছে। অব্যাহত বৈশ্বিক আর্থিক কঠোরতা এবং বিদ্যমান দুর্বলতা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এটি টাকা ও বৈদেশিক রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
এতে বলা হয়েছে, শিগগিরিই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ রাজস্ব নীতি দ্বারা সমর্থিত আরও আর্থিক কঠোরতা এবং বৃহত্তর বিনিময় হারের নমনীয়তা প্রয়োজন।
সামাজিক ও উন্নয়নমূলক ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক খাত তৈরি করতে বিদ্যমান নীতি সংস্কার; নীতি কাঠামো আধুনিকীকরণ; নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা জোরদারের উপর আলোকপাত করে আর্টিকেল ৪।
বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের আতিথেয়তা ও খোলামেলা আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে আই্মএফের প্রতিনিধি দল।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সরকারি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।
দলটি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, দ্বিপক্ষীয় দাতা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
ইসলামী ব্যাংক-মেডিক্স স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চুক্তি সই
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা মেডিক্স একটি কর্পোরেট চুক্তি সই করেছে।
এই চুক্তির আওতায় ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মচারীরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় পাবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নথি বিনিময় করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার এএফএম কামালউদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল আমরান, ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ডা. মো. ফজলারাব্বী খান, সেন্টার অপারেশন অ্যান্ড কর্পোরেট মার্কেটিং এর প্রধান তারেক সামি রহমান এবং মেডিক্সের কর্পোরেট অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম খান ইউসুফজাইসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহের জন্য পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক
`কমনওয়েলথ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’পেল ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংক যুব উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উৎসাহিত করতে পারে : ড. সালেহউদ্দিন
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সভায় অংশ নেওয়া উভয় দেশের প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য, শ্রম, মেধাসম্পদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ঠিকানা: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
টিকফা কাউন্সিল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে; বিশেষ করে শ্রম সংস্কার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগ পরিবেশ ও ডিজিটাল বাণিজ্যকে প্রভাবিত করে এমন নীতি, মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও আইনের প্রয়োগ এবং কৃষিখাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইন (ডিপিএ) নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বছরজুড়ে সংলাপ ও আলাপ আলোচনার প্রশংসা করেছে। উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে আস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নতুন খসড়ায় পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর উন্নতিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি দণ্ড অপসারণ, ব্যক্তিগত উপাত্তের ক্ষেত্রে ডিপিএ প্রয়োগ সীমিত করা এবং আইনের প্রয়োগ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত সংস্থাগুলোতে সীমিত রাখা।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলার ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার বাধ্যবাধকতা বাতিলের সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারবিষয়ক সংলাপে পরস্পরকে সহযোগিতা করেছে এবং এই বছরে এ খাতে আরও গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে।
উভয় দেশই অর্থনীতিতে উদ্ভাবনমূলক মেধাস্বত্ত (আইপি) সুরক্ষা ও আইন প্রয়োগের গুরুত্ব স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কপিরাইট আইন সংশোধন, শিল্প নকশা আইন, পেটেন্ট বিল এবং প্রবিধান ও আইপিআর প্রয়োগ (আমদানি ও রপ্তানি) বিধিসহ মেধাস্বত্ত্ব সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা সংশোধনের চলমান প্রক্রিয়াগুলোতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর ইউএসটিআর এর ২০২৩ এর স্পেশাল ৩০১ রিপোর্টে বিশ্বব্যাপী নকল তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ পাঁচটি উৎসের তালিকায় বাংলাদেশের থাকা নিয়ে উদ্বেগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।
উভয় দেশের প্রতিনিধিদল ২০২৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসি- তে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী টিকফা কাউন্সিল মিটিংয়ের আগে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যবিষয়ক সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
ভারত-বাংলাদেশ ‘ভেরি স্পেশাল পার্টনার’: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণে ডব্লিউএফপি'র সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি
দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও উন্নত করতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করে এবং বর্তমানে ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী বিনামূল্যে খাবার পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএফপি’র সহায়তা হ্রাসে রোহিঙ্গা শিবিরে বাড়তে পারে অপরাধ, উগ্রপন্থা: এআরএসপিএইচ
নতুন চুক্তির আওতায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে ১৫০টিরও বেশি উপজেলায় সম্প্রসারিত করা হবে, যার ফলে বিনামূল্যে খাবার পাবে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ লাখে উন্নীত হবে। এছাড়া ফর্টিফাইড বিস্কুটের পরিবর্তে ফল, দুধ, রুটি, ডিমসহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হবে।
মোমেন বলেন, ফিডিং কর্মসূচির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়ার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভর্তির হার ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া সোমবার এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কুল মিলস কোয়ালিশনের ৮৫তম সদস্য হয়েছে।
এ সময় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
Crickex.in লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩: গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি সই
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্ল্যাটফর্ম Crickex.in গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে।
এ চুক্তি অনুযায়ী, আসন্ন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩- এ গ্যালে টাইটানসের মূল স্পন্সর হিসেবে থাকবে Crickex.in।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত কলম্বো ও ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩।
আরও পড়ুন: ব্যাট নিয়েছে আফগানিস্তান, ৩ পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ
ক্রিকেটের প্রচারণা ও ক্রিকেটের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে Crickex.in ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ।
ক্রিকেট ফ্যানদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Crickex.in এর লক্ষ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩- এ গ্যালে টাইটাইনসকে সমর্থন দিয়ে তাদের পাশে থাকা।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়ার ও ফ্যানদের অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ক্রিকেট বিষয়ক এ ওয়েবসাইট।
নিজেদের সহজে ব্যবহার-বান্ধব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে Crickex.in এর সমর্থকদের পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই রিয়েল-টাইম আপডেট দিবে।
এ অংশীদারিত্ব নিয়ে Crickex.in এর মুখপাত্র কারান শর্মা বলেন, গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দলটির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং তারা তাদের সফল পারফরমেন্সের জন্য সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা দলটিকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে এবং ফ্যানদের অনন্য ক্রিকেট অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
এছাড়া গ্যালে টাইটাইনসের মুখপাত্র এ অংশীদারিত্ব নিয়ে দলের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মূল স্পন্সর হিসেবে Crickex.in কে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব ক্রিকেট বিশ্বে দলের সাফল্য এবং স্বীকৃতিরই প্রমাণ।
আমরা আমাদের ফ্যান ও সমর্থকদের জন্য রোমাঞ্চপূর্ণ ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদানে Crickex.in এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রত্যাশী।
আসন্ন এ টুর্নামেন্টের মিডিয়াসত্ত্ব থাকছে শুধুমাত্র শীর্ষস্থানীয় স্পোর্টস নেটয়ার্ক স্টার স্পোর্টসের কাছে।
শুধুমাত্র স্টার স্পোর্টসই ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এমইএনএ অঞ্চলে এ টুর্নামেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জোরালো তাগিদ বাংলাদেশের
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ ‘বিএসজিআই’ -এর মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর নবায়ন না করলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হবে। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো এই পরিস্থিতিতে অনেকটা ‘উদ্বিগ্ন’৷
এবতাবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ সরকারকে বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জোরালোভাবে তাগিদ দিচ্ছে। কারণ, এটি বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ৩০৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই
মঙ্গলবার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি, মো. সমীর সাত্তার, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম,সিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এই আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকে বিএসজিআই আজ অবধি তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে তিনটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। যার অনুপাত কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফল এটি। সেইসঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিবেদন করেছে যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আবারও ইউক্রেন থেকে ২০২১ সালের মতো একই পরিমাণে গম সংগ্রহ করছে। আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টন গম ক্রয় করছে।
তারা বলেছে, ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা এইভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিতকরণের মাধ্যমে, বিএসজিআই-এর যে কোনও ত্রুটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতি যা সত্যিকার অর্থে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক পরিণতিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক