বাংলাদেশে
বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক
নিউজিল্যান্ডের মতো দল যতবারই বাংলাদেশ সফর করে, ততবারই স্থানীয় পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ঢাকায় এসেছেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াররা। তারা নিজ দেশে যেভাবে অভ্যস্ত তার থেকে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করছেন।
তবে, ব্ল্যাকক্যাপসের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লকি ফার্গুসন পরিস্থিতি নিয়ে সামান্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে চ্যালেঞ্জটি সামনে এসেছে, তা গ্রহণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন তিনি।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক আজ ঢাকার মিরপুরে প্রথম গণমাধ্যমে কথা বলেন।
ফার্গুসন মনে করেন, এর আগে বাংলাদেশে খেলেছেন এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সূক্ষ্ম বিষয়ে মূল্যবান ধারণা দেবেন। নিউজিল্যান্ডের কোচিং স্টাফের অংশ এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ শেন জার্গেনসেন তাদের সঙ্গে থাকায় সুবিধা রয়েছে।
ফার্গুসন জোর দিয়ে বলেন, ‘পিচ কীভাবে কাজ করে তা বোঝার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই জার্গেনসেন এবং আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করব, যারা কয়েক বছর আগে এখানে ছিল।’ ‘ইংল্যান্ডে (তাদের শেষ সিরিজে) যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। আমি উপমহাদেশে খেলা উপভোগ করি।’
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ ফাইনাল: শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ী ভারত
একইভাবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের বেশ কয়েকজন সদস্য।
বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ এই সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। এটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নতুনদের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী। আশা করি, বৃষ্টি থামবে। আগামীকালের পাশাপাশি সিরিজ জুড়ে পিচের পরিস্থিতি কেমন হয় তা দেখতে আমি আগ্রহী।’
তার মতে, এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের উইকেট শিকারীর ভূমিকা নিতে হতে পারে। তবে, তিনি পেসারদের সম্ভাব্য অবদানকে উড়িয়ে দেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ড সফরের সময় আমি এখান থেকে কিছু হাইলাইট দেখেছি এবং পেসারদের জন্য কিছু অনুকূল পরিস্থিতি ছিল। তখনই পরিবর্তনগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’ ‘অত্যন্ত আর্দ্রতার কারণে বলের সুইং করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আমাদের সুইং বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আগামীকাল এটিকে কাজে লাগাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ‘আমার মা-ই তো একজন নারী, আমি নারীবিদ্বেষী হতে পারি না’
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড উভয়ের জন্য এই সিরিজ চলতি বছরের শেষের দিকে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে তাদের স্কোয়াডগুলোকে সুন্দর করার একটি চূড়ান্ত সুযোগ এনে দেয়। নিউজিল্যান্ড দলের কিছু খেলোয়াড় বিশ্বকাপ দলে নেই। তবুও, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সিরিজটিকে সেটআপের মধ্যে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে দেখেন।
কিউইদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট আবর্তন হয়েছে, তাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করেছে। নিঃসন্দেহে, এই সপ্তাহের সুযোগটি আন্তরিকভাবে কাজে লাগাবে তারা।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড সিরিজের অনলাইন টিকিট কিভাবে কিনবেন
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকল ভারত
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত। বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে 'তৃতীয় পক্ষ' বা সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়কে অনুমাননির্ভর দাবি করে এ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে দেশটি।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তৃতীয় পক্ষ বা সামরিক হস্তক্ষেপের মতো অনুমাননির্ভর বিষয়ে কথা বলতে চাই না। অবশ্যই এগুলো অনুমাননির্ভর।’
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্নটি দ্য হিন্দুর কল্লোল ভট্টাচার্য করেছিলেন। তিনি শুক্রবার ঢাকায় বিরোধী দলের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভারতের অবস্থান এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেশটির গণমাধ্যমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যদি তাদের মতভেদ নিরসন না করে তাহলে সম্ভাব্য 'সেনাবাহিনীসহ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ' সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করার সময় বাগচী তার নোটবুক থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে প্রশ্নকর্তার দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়েছিলেন।
তিনি পরে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এটিকে অনুমাননির্ভর দাবি করে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। বাগচি জানান, তিনি সপ্তাহের শুরুতে যা বলেছিলেন তার সঙ্গে তার নতুন কিছু যোগ করার ছিল না, তবে তারা আশা করে যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বাগচি আরও বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চলমান বিষয় নিয়ে মন্তব্য করবেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের কথা উল্লেখ করেন। ‘আমরা সত্যিই এটি সম্পর্কে মন্তব্য করিনি। ’সপ্তাহের শুরুতে বাগচী বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে: ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারে তবে ভারত করবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে তা ভারতকে প্রভাবিত করে।’
ঢাকায় তাদের একটি হাই কমিশন আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভারত ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ভারতের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আশা করি শান্তি থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না এবং নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে আসছে এবং বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকারও বলছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে আরও দুটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল আসবে বাংলাদেশে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী ২৮ জুলাই ও ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আরও দুটি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ফোরাম (ইএমএফ) জানায়, তাদের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ সফর করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল বাংলাদেশ সফরসহ ইএমএফের ধারাবাহিক কার্যক্রম বিষয়ে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনে করা হয় বলে জানায় আয়োজক সংস্থাটি।
তারা জানান, ২৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম, তবে অনিয়মের অভিযোগ নেই: পর্যবেক্ষক দল
সফরে আসা দ্বিতীয় দলে রয়েছেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পল, দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকারকর্মী মি. পার্ক চুং চাং, জাপান থেকে সমাজকর্মী মি. ইউসুকী সুগু, যুক্তরাজ্যের লেখক ও গবেষক মি. মাইকেল জন শেরিফ এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. এন্ডি লিন।
এরপর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তৃতীয় টিম বাংলাদেশে সফর করবেন।
ওই টিমে থাকবেন মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশের প্রতিনিধিরা।
আগামী ২৮ জুলাই পর্যবেক্ষকদের দলের নেতৃত্ব দেবেন আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনীতিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পউল।
সফরকালে প্রতিনিধিরা আগামী ২৯ জুলাই সকালে নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন শীর্ষক নাগরিক সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন।
৩০ ও ৩১ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়াও আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (জাপা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, জাসদ, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কর্মসূচি রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে জার্মান, নেপাল, ভারত ও ভুটানসহ চার দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রথম টিম বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
তারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনসহ দেশের বেশকিছু রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল বাহার, মনির হোসেন ও সুলতানা রাজিয়া শিলা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
স্পিকারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সোমবার (২৬ জুন) তার কার্যালয়েসৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
সাক্ষাৎকালে তারা স্পিকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক জাপান সফর, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
স্পিকার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭৩ সালে জাপান সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক জাপান সফরটি ছিল খুবই ফলপ্রসূ।
জাপানের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ও হাউজ অব কাউন্সিলরসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
জাপানে সংসদের অধিবেশন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয়েছে।
জাপানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম ফর ইমার্জিং সাইন্স এন্ড ইনোভেশন এবং ওসাকাস্থ একুরিয়াম পরিদর্শন স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক জাপান সফর জাপানের জন্য অত্যন্ত গৌরবের উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ জাপানের অনেক পুরনো বন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধিদলের জাপান সফর জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের মাইলফলক।
জাপান বাংলাদেশের বিনিয়োগ সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সফর বিনিময় দুদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান স্পিকার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের
স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) সেবার উন্নয়ন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ ব্যবস্থা প্রচারের লক্ষ্যে এবার কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।
সাভার ও সুনামগঞ্জে পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য ‘প্রোমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’- শিরোনামের একটি প্রকল্পে কাজ করবে তারা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৮ মাস পর্যন্ত চলাকালীন প্রকল্পটি চলবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
সোমবার (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় টেকসই পানির নিরাপত্তার জন্য সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-র ক্যাম্পাসে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
এছাড়া, পান করা ছাড়া অন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করার জন্য কার্যকর রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা হবে। সাভারের সিআরপি-তে কাজের পাশাপাশি জুলাই ২০২২-এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ জেলায়ও সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হবে।
কার্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুইটি স্কুল ও পাঁচটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের কাছে নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানির সহলভ্যতা বাড়াতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কাজে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।
এই প্রকল্পটি সুনামগঞ্জে বসবাসকারী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা তৈরি করবে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার পুনর্বাসন সহায়তার পাশাপাশি এর লক্ষ্য থাকবে বিশেষত যেকোনো দুর্যোগের সময় ওয়াশ সংস্থানগুলোর পরিচালনা বিষয়ে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দক্ষতার উন্নয়ন করা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
প্রকল্পটি ৬০ হাজার এর বেশি প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যাদের ৬০ শতাংশ-এর বেশি কিশোর-কিশোরী এবং/অথবা তরুণী।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশের মতো দেশকে নানা ধরনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর অন্যতম হলো জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের জন্য পানির নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি যে, টেকসই বাংলাদেশ এবং সংরক্ষণ ও সহনশীলতার মডেল গড়ে তোলার জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াটারএইড এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশের এই যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য একটি বাস্তব পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
একইসঙ্গে পানির নিরাপত্তার জন্য বৃহৎ আকারের অভিযোজন সমাধান প্রদর্শন ও জনগোষ্ঠীর মাঝে ওয়াশ সহজলভ্য করে তোলাও সহজ হবে।
২০১৭ সালে সংস্থা দুইটি মিলিতভাবে একটি ওয়াশ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল স্কুল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জলবায়ু-সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন সুবিধার বিকাশ করা, জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ওয়াশ অভিযোজন সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য পানি প্রযুক্তি (ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ সিস্টেম এবং রিভার্স অসমোসিস প্ল্যান্ট) স্থাপন করে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পানযোগ্য পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭টি বিদ্যালয় ও ৪০০টি পরিবারকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে ১৯ হাজারের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পেয়েছে উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা।
সেই সঙ্গে ৭ হাজারের বেশি নারী ও মেয়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হয়েছে।
এছাড়া জনগোষ্ঠীর ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা উন্নত করেছে প্রকল্পটি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ: শেয়ারড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলএনজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন, বৈদ্যুতিক যানবাহন অবকাঠামো, উপকূলীয় এবং অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের মতো বিভিন্ন খাত এবং উপ-খাতে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের অবকাঠামো উন্নীতকরণ, পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প স্থাপন, জিএইচজি নির্গমন কমানো, স্মার্ট গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছে এমন খাতগুলোর মধ্যে যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে পারে এবং সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভিশন বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বরেন, বিনিয়োগ শুধুমাত্র বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা থেকে নয়, সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকেও আসা উচিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, শেভরনের বাংলাদেশ অফিসের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকার এবং এক্সন মবিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জন আরডিল।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা
জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার বিকালে টোকিওতে পৌঁছালে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়।
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজপ্রাসাদে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুই পাশে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ-বাংলাদেশ ও জাপানের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) টোকিওর উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের ত্রিদেশীয় সরকারি সফরের প্রথম ধাপে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টোকিওতে অবস্থান করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, তার সফরের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ক্রয় ছাড়াই প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ আটটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) বা চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই সপ্তাহের সরকারি সফরের প্রথম ধাপে টোকিওর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
২৬ এপ্রিল বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর দুই প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা ও কিশিদা ফুমিও) মধ্যে বৈঠকে এমওসি বা চুক্তি সই হবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কৃষি, মেট্রো-রেল, শিল্প আপগ্রেডেশন, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, শুল্ক বিষয়ক, মেধা সম্পত্তি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি খাতে দুই দেশের মধ্যে দুই নেতার উপস্থিতিতে প্রায় আটটি এমওসি বা চুক্তি সই হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন।
সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি সম্প্রদায়ভিত্তিক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি কয়েকজন জাপানি নাগরিকের হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও পরে যুক্তরাজ্য সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের সরকারি সফরে টোকিও পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
বাংলাদেশ প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানি পাওয়ারের গোড্ডা ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম৭ এপ্রিল শুরু হয়েছে। তবে শুল্ক সমস্যার বিরোধ নিষ্পতি করা হয়নি এখনও।
প্রাথমিকভাবে, আদানি গত ৯ মার্চ পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে বাংলাদেশে তার বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করে।
সরকারি সূত্র অনুসারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (এনার্জি অডিট) এর নেতৃত্বে 3 সদস্যের একটি কারিগরি দল পরিদর্শনের পরে একটি বাণিজ্যিক অপারেশন তারিখ (সিওডি) অনুমোদন করেছে।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে সূত্রটির একজন ইউএনবিকে জানিয়েছেন,‘প্রযুক্তিগত দলটি মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে গিয়েছিল এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টে প্রায় ১০ দিন কাটিয়ে দেশে ফিরে আসে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ট্যারিফের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপত্তির পরে, আদানি পাওয়ার কয়লার দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়, তবুও এটি বাংলাদেশের অবস্থান মেনে চলছে না।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আদানি আইসিআই-৫০০ কয়লার জ্বিএআর ব্যবহার করে, যা নিম্নমানের কয়লা, কিন্তু আইসিআই-৬৫০০ -এর জিএআর মূল্য উদ্ধৃত করতে চায়।
তিনি বলেছেন, ‘উদাহরণস্বরূপ একটি আইসিআই-৬৫০০ -এর দাম হলো ১৭৯ দশমিক ৮৪, যেখানে আইআইসিআই-৯৫ দশমিক ৫০। এই ক্ষেত্রে, আদানি কয়লার দাম ১৭৯ দশমিক ৮৪ ডলার উদ্ধৃত করতে চাইছে যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশে আদানি এবং বিপিডিবির মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনার পরে, আদানি দাম কমাতে সম্মত হয়েছে এবং এটি পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শুল্কের মধ্যে রাখতে চায়।
বিপিডিবির সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা কয়লার মূল্য নির্ধারণের একটি নির্দিষ্ট সূত্রে আটকে থাকে না যা বাংলাদেশের জন্য সমস্যাযুক্ত কারণ প্রতি মাসে বিপিডিবিকে শুল্ক ইস্যুতে আদানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে যা বাংলাদেশের জন্য কাম্য নয়।’
এর আগে, আদানি গ্রুপের একটি উচ্চপর্যায়ের দল ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসে এবং ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) কয়লা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি’ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করে।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
উভয় পক্ষ একে অপরের কথা শুনেন এবং তারা ইস্যুতে নিজ নিজ পক্ষের পক্ষে তাদের পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। আদানির প্রতিনিধি তাদের জানিয়েছিলেন যে তারা পিপিএ-এর কয়লা মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিতে বিপিডিবি’র অবস্থান তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনার কাছে জানাবে এবং তারা আরও ফলো-আপ মিটিংয়ে বসবে।
বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে ভারতের ঝাড়খন্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সই করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) সংশোধন চেয়েছিল। মনে হচ্ছে প্রকল্পের জ্বালানি হিসেবে কেনা কয়লার দাম বিতর্কের প্রধান হাড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বিপিডিবি’র একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন। বিপিডিবি ঝাড়খন্ডের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের জন্য জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত কয়লা আমদানির জন্য এলসি (ভারতে) খোলার বিষয়ে প্রাপ্ত একটি অনুরোধের পরে আদানি গ্রুপকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।’
যেহেতু কার্যত ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত প্ল্যান্টের উৎপাদিত সমস্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে। আদানি পাওয়ারের জন্য বিপিডিবি থেকে একটি ডিমান্ড নোট প্রয়োজন যা কয়লা আমদানির বিপরীতে এলসি খোলার আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে পারে।
বন্দর থেকে প্ল্যান্ট পর্যন্ত পরিবহন সহ কয়লা আমদানির খরচ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বহন করবে, যার মূল্য পিপিএ- এর শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত।
সেই সময়ে যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একটি বিশাল অস্থিরতা বিরাজ করছিল, তখন আদানি পাওয়ার সম্প্রতি বিপিডিবিকে চাহিদা নোট ইস্যু করার জন্য একটি অনুরোধ পাঠিয়েছে, যেখানে কয়লার দাম প্রতি মেট্রিক টন (এমটি)৪০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মূল্যকে বিপিডিবি কর্মকর্তারা অনেক বেশি মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় এটি দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে, তারা যে কয়লার মূল্য উদ্ধৃত করেছে প্রতি মেট্রিকটন ৪০০ মার্কিন ডলার তা অত্যধিক। বরং এটি প্রতি মেট্রিকটন ২৫০ মার্কিন ডলারের কম হওয়া উচিত, যা আমরা আমাদের অন্যান্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমদানি করা কয়লার জন্য পরিশোধ করছি।’
বিপিডিবি কর্মকর্তা রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কয়লা সংগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে সরবরাহকারী বসুন্ধরা গ্রুপ জেটিতে পণ্য পৌঁছানোর জন্য প্রতি টন ২৩২ দশমিক ৩৩ ডলারে কয়লা সরবরাহের চুক্তি জিতেছিল। যদিও পরে কয়লার দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
একই সূত্রে আরও বলা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইট পরিদর্শনের সময় আদানি পাওয়ারের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যেসব দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা স্বীকার করছে তাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই এই দেশগুলোর কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করব।
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রিকগনিশন অব বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১’- শীর্ষক সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জাতিসংঘে ইতোমধ্যে একটি গণহত্যা দিবস রয়েছে, তাই দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বসম্প্রদায় ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘের গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
বিষয়টিকে জটিল আখ্যায়িত করে শাহরিয়ার আশা প্রকাশ করেন, সরকারিভাবে সেসব দেশের স্বীকৃতি না পেলেও বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জনগণের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাবে।
সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে, যা বিশ্বের অন্যতম জঘন্য অপরাধ।
আওয়ামী লীগ সরকার ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
২০১৭ সালের ২০ মার্চ প্রস্তাবটি করা হয়েছিল।
এর আগে একই বছরের ১১ মার্চ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে দিবসটি পালনের প্রস্তাব পাস হয়।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার হিসেবে ছিল।
সরকারের প্রচেষ্টা জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কারণ জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার অপরাধের শিকার এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক স্মরণ ও মর্যাদা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সরকার সর্বোচ্চ সংখ্যক দেশের কাছ থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি চায়।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল, কিন্তু দ্রুতই গণহত্যার বিষয়টি বিস্মৃত হয়ে যায়।
২৫শে মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য জাতির চিরন্তন স্মারক এবং এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৫ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে যান।
সেই রাত থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী পরবর্তী ৯ মাসে সারা দেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাই কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার(২৭ জানুয়ারি) মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে’বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত যুক্তরাজ্যের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে বেশি রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর সুযোগ’শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
হাইকমিশনার তাসনীম বৈদেশিক আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সবসময় বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ দেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বৈধ্য পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাই কমিশন এবছর পূর্ব লন্ডনে একটি রেমিট্যান্স মেলা করবে।
এছাড়া পূর্ব লন্ডনে হাই কমিশনের কন্সুলার সার্জারি সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে সহজে ও কম খরচে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো যায় সে বিষয়ে সবাইকে অবহিত করবেন।
কমিউনিটি টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
সভায় মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সমস্যা ও এসব সমাধানের জন্য কতিপয় প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
হাইকমিশনার তাদের সমস্যাগুলো ও প্রস্তাবসমূহ মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং এ ব্যাপারে হাই কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৪৯ বিলিয়ন ডলার
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরকদের পুরস্কৃত করলো রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস