আফ্রিকা
সোমালিয়ার রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৭
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ছয়জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মোগাদিশুর একটি ব্যস্ত মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ অ্যাকাডেমির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব। মোগাদিশুর হামার জাজাব জেলার পুলিশ অ্যাকাডেমিতে হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে বলে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
৪ দিন আগে
নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৯০
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় জিগাওয়া রাজ্যে মঙ্গলবার রাতে একটি পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।
জিগাওয়া পুলিশের মুখপাত্র শিয়া লাওয়ান অ্যাডাম জানিয়েছেন, তাউরা অঞ্চলের মাজিয়া শহরে ট্যাংকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাওয়ার পর নিহতদের বেশিরভাগই পেট্রল সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর বিস্ফারণ হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে নিহতদের গণদাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৬ দিন আগে
নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬, আহত ৫
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়ো রাজ্যে বেশ কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ওয়োর ফেডারেল রোড সেফটি কর্পসের মুখপাত্র মায়োওয়া ওদেও সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাজ্যের আমুলোকো এলাকায় দুটি ভারী জিনিস পরিবহনের ট্রাক, দুটি ট্রাইসাইকেল এবং একটি মিনিবাসের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ওদেও আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য গাড়িগুলোকে ধাক্কা দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পথচারীরা আহত পাঁচজনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহতদের মরদেহ একটি মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ভাঙাচোরা সড়ক ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে নাইজেরিয়ায় প্রায়ই এমন মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
১ সপ্তাহ আগে
৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে প্রথম বন্যার বিরল দৃশ্য
বৃষ্টিপাতের ফলে সাহারা মরুভূমিতে খেজুর গাছ এবং বালির টিলাগুলোর মাঝ দিয়ে নীল পানির উপহ্রদ তৈরি হওয়ার বিরল ঘটনা ঘটেছে। এটি এই শুষ্কতম অঞ্চলগুলোকে কয়েক দশকের তুলনায় বেশি পরিমাণে পানি দিয়ে পুষ্ট করেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব মরক্কোর মরুভূমি বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক স্থানগুলোর মধ্যে একটি এবং গ্রীষ্মের শেষের দিকে খুব কমই বৃষ্টিপাত হয়।
মরক্কোর সরকার জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে দু'দিনের বৃষ্টিপাত বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি হয়েছে। টাটা এলাকাসহ এই অঞ্চলে বার্ষিক ২৫০ মিলিমিটারের (১০ ইঞ্চি) কম বৃষ্টিপাত হয়। রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মাইল) দক্ষিণে তাগোউনিত গ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের (৩.৯ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঝড়গুলো দুর্গ এবং মরুভূমির উদ্ভিদের মধ্যে সাহারান বালির মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার আকর্ষণীয় চিত্র রেখে গেছে। নাসার উপগ্রহের ছবিতে দেখা গেছে, ৫০ বছর ধরে শুকনো থাকা জাগোরা ও টাটার মধ্যবর্তী বিখ্যাত হ্রদ ইরিকুই হ্রদে পানি ঢুকছে।
মরক্কোর জেনারেল ডিরেক্টরেট অব মেটিওরোলজির হোউসিন ইউয়াবেব বলেন, '৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
টানা ৬ বছর ধরে চলা খরা মরোক্কোর বেশিরভাগ অংশের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এর ফলে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ না করে ফেলে রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং শহর ও গ্রাম থেকে পানি সরবরাহ করতে বাধ্য হয়েছে।
মরুভূমির সম্প্রদায়গুলোতে পানি সরবরাহের জন্য নির্ভরশীল মরুভূমির নীচে বিশাল ভূগর্ভস্থ পানির স্তরগুলো পুনরায় পূরণ করতে এই বৃষ্টিপাত সম্ভবত সহায়তা করবে। অঞ্চলটির বাঁধযুক্ত জলাধারগুলো সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পরিমাণে পুনরায় ভরাটের খবর দিয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরের এই বৃষ্টিপাত খরা দূর করতে কতদূর সহায়তা করবে তা স্পষ্ট নয়।আরও পড়ুন: কঙ্গোতে নৌদুর্ঘটনায় ৮৭ জনের মৃত্যু
১ সপ্তাহ আগে
কঙ্গোতে নৌদুর্ঘটনায় ৮৭ জনের মৃত্যু
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিভু হ্রদে নৌকা ডুবে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কিভু প্রদেশের মিনোভা শহর থেকে আসা নৌকাটি উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমার উপকণ্ঠে কিতুকু বন্দরের কাছে ডুবে যায়।
প্রাদেশিক সরকার জানায়, এখনও ৭৮ জন নিখোঁজ রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ৮৭টি মৃতদেহ গোমার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও নয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
নৌকাটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করছিল এটি।
কিতুকু বন্দরের কর্মীরা জানান, অনেক বেশি ঢেউ থাকায় বন্দর থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে ডুবে যায় ফেরিটি।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত স্বজনদের পাওয়ার আশায় কিতুকু বন্দরে অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং ডিআরসি সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের কারণে গোমা ও মিনোভার সংযোগ সড়কগুলো কয়েক মাস ধরে বিচ্ছিন্ন। এ কারণে নৌপথের ওপর বেশি চাপ পড়তে থাকে। তীব্র বাতাস ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে কিভু হ্রদে প্রায়ই নৌদুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
২ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১৭
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।
শনিবার ভোরে লুসিকিসিকি শহরে এ ‘বিপর্যয়কর’ ঘটনা ঘটে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইস্টার্ন কেপ প্রাদেশিক সরকার।
পৃথক এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সার্ভিসের (এসএপিএস) জাতীয় মুখপাত্র অ্যাথলেন্ডা ম্যাথে বলেছেন, একটি বাড়িতে ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১২ জন নারী ও একজন পুরুষ। অপর একটি বাড়ি থেকে চারজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ১১
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মোট ১৫ জন নারী এবং দুজন পুরুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
‘দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ সার্ভিস এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মুখপাত্র বলেন, ‘পুলিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও গোয়েন্দাদের একটি দলকে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য মোতায়েন করেছে, যারা মামলাটির সমাধানে সহায়তা করবে।’
প্রাদেশিক সরকারের বিবৃতিতে ইস্টার্ন কেপের প্রিমিয়ার অস্কার মাবুয়েনে এ ঘটনায় ‘কঠোরতম ভাষায় অর্থহীন সহিংসতার’ নিন্দা জানিয়েছেন।
‘এই মাত্রায় প্রাণহানি আমাদের প্রদেশের জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত। আমরা এই নির্দোষ প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। নিরীহ মানুষের নৃশংস ও কাণ্ডজ্ঞানহীন হত্যাকাণ্ড একটি জঘন্য কাজ, আমাদের সমাজে যার কোনো স্থান নেই।’
৩ সপ্তাহ আগে
ইথিওপিয়ায় বাস উল্টে ২৮ জনের মৃত্যু
ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার বিকালে ওলাইতা সোডো থেকে দাওরো জোনগামী একটি বাস উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইথিওপিয়ায় মাথাপিছু গাড়ির মালিকানার হার কম হওয়া সত্ত্বেও খারাপ রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কারণে এবং সুরক্ষা বিধিমালার প্রয়োগ ঠিকমতো না হওয়ায় মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
৩ সপ্তাহ আগে
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ১১
সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে তিন শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে।
বেসরকারি সুদানিজ ডক্টরস নেটওয়ার্ক একটি বিবৃতিতে ঘোষণা সতর্ক করে বলেছে, ১০ মে থেকে চলা ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে অব্যাহত ও ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের সংগঠন অবিলম্বে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ বন্ধ এবং শহরটিতে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
ওই অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাস করে, যাদের বেশিরভাগই অন্য রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: সুদানে মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত এবং সহিংসতা বন্ধে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, এল ফাশেরে আরএসএফের পূর্ণ মাত্রায় হামলার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
এক বিবৃতিতে দুজারিক বলেন, মহাসচিব আধাসামরিক বাহিনীকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনা আরও বাড়লে দারফুরজুড়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক লাইনে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: সুদানে আরএসএফের হামলায় ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদান এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে সহিংস সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
১ মাস আগে
সুদানে মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
সুদানে পাঁচ বছরের কম বয়সী অন্তত ৩৪ লাখ শিশু মারাত্মক মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সুদানে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে কলেরা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু জ্বর, হাম ও রুবেলার মতো রোগ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আক্রান্ত রাজ্য ও এর বাইরে শিশুদের অবস্থা মারাত্মকভাবে খারাপ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে টিকাদানের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে। সুদানের অনেক শিশুর পুষ্টির অবস্থার অবনতি তাদের আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ গত ৯ সেপ্টেম্বর সুদানে ৪ লাখ ৪ হাজার ডোজ ওরাল কলেরা টিকা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সুদানে টিকা দেওয়া ৮৫ শতাংশ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।
এতে বলা হয়, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর ৭০ শতাংশের বেশি হাসপাতালেই কার্যকম বন্ধ রাখতে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে বেতনও পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত সুদানের ৭ লাখ মানুষ
গত বছরের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন মারা গেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এসময় কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব রোগের কারণেও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেন সুদানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইথাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কলেরা ছড়িয়ে পড়ার জন্য সংঘাতের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অবনতি এবং অপরিষ্কার পানির ব্যবহারকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৫ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৩২৮ জনের মৃত্যুসহ ১০ হাজার ২২ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত সাড়ে ৯ হাজার, মৃত্যু ৩১৫
১ মাস আগে
সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত সাড়ে ৯ হাজার, মৃত্যু ৩১৫
দুর্যোগ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে এবার নতুন করে দেখা দিয়েছে কলেরার প্রাদুর্ভাব। পানিবাহিত এই রোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৯ হাজার ৫৩৩ নাগরিক।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৩৩ জনে পৌঁছেছে।
গত ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেন সুদানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইথাম মোহাম্মদ ইব্রাহিম। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অবনতি এবং অপরিষ্কার পানির ব্যবহারকে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী করেছে মন্ত্রণালয়।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে কলেরা, ম্যালেরিয়া, হাম ও ডেঙ্গুজ্বরের মতো মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোগে ইতোমধ্যে শত শত লোক মারা গেছে।
সংঘর্ষের দেশটির অন্তত ১৬ হাজার ৬৫০ জন নিহত এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত
১ মাস আগে