প্রযুক্তির-খবর
এয়ার পিউরিফায়ার: প্রয়োজনীয়তা, দাম, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ও নতুন মডেল
বাতাসের নিম্ন মানের জন্য জনবহুল ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় প্রায় সময়ই র্যাঙ্কিয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর এই বাতাসের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উপক্রম ঘটে বিভিন্ন রোগব্যাধির। এই বায়ু দূষণ থেকে ঘরকে নিরাপদে রাখতে প্রযুক্তির সব থেকে সময়োপযোগী অনুদানটি হচ্ছে এয়ার পিউরিফায়ার। নতুন বছরে ইলেক্ট্রনিক বাজারে এগুলোর চলমান কিছু ব্র্যান্ড ও তাদের ফিচার নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, তার পূর্বে এই আধুনিক ডিভাইসের উপকারিতা এবং কেনার ক্ষেত্রে যাচাইয়ের কয়েকটি মানদণ্ডের বিশ্লেষণ দিয়ে শুরু করা যাক।
এয়ার পিউরিফায়ারের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা
শহরের বাতাস যেভাবে ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে, সেখানে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ঘর নিতান্ত অবধারিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় বাসা-বাড়ির বাতাস পরিশোধনের সবচেয়ে অপরিহার্য কাজটি করে এয়ার পিউরিফায়ার। ডিভাইসটির প্রধানত বাতাসে থাকা বিভিন্ন ধরণের দূষিত পদার্থকে ধ্বংস করে। আর এরই সূত্র ধরে পরবর্তীতে আসে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতাগুলো।
উদ্বায়ী জৈব যৌগ, ধোঁয়া এবং রাসায়নিক ধোঁয়ার মতো নানা ধরণের ক্ষতিকারক পদার্থ ঘরের ভেতরে থাকতে পারে। এয়ার পিউরিফায়ারের অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার এই দূষকগুলোকে নির্মূল করে। কোনো কোনো ডিভাইসে ইউভি (আল্ট্রাভায়োলেট)-সি লাইট বা আয়োনাইজার এর মতো উন্নত প্রযুক্তি থাকে। এটি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য পুরো ঘরকে রীতিমত দূর্গে পরিণত করে।
বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশ করা বাতাসে প্রায়ই ধুলো, পরাগ এবং পশুপাখির পশমের মতো অ্যালার্জেন থাকে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
অনেক পিউরিফায়ারে এইচইপিএ (হাই এফিশিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার) বা হেপা ফিল্টার থাকে। এই ফিল্টারে যাবতীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা ধরা পড়ে বিধায় অ্যালার্জি এবং হাঁপানির আক্রমণের ঝুঁকি থাকে না। এভাবে ডিভাইসটি পরিষ্কার বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে।
এয়ার পিউরিফায়ার কেনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
কারিগরি দিক থেকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসটির বৈশিষ্ট্যগত বিষয় রয়েছে, যেগুলো উপরোক্ত সুবিধাগুলোর শতভাগ নিশ্চিত করে। ক্রয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পূর্বে সেই দিকগুলো সুক্ষ্মভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। এই নিরীক্ষণটি সম্পন্ন করা যেতে পারে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিতকরণের মাধ্যমেঃ
কভারেজ এলাকা এবং সিএডিআর
এয়ার পিউরিফায়ার কেনার পূর্বপরিকল্পনায় প্রথমেই বিবেচনায় আনতে হবে ঘরের পরিসর। ডিভাইসটি পুরো ঘরের বাতাস কার্যকরভাবে পরিষ্কার করতে পারবে কিনা তার জন্য এই স্থিতিমাপটি প্রয়োজন। আর এখানেই আসে সিএডিআর বা ক্লিন এয়ার ডেলিভারি দরের অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট আবদ্ধ স্থানে ডিভাইসের বাতাস পরিষ্কার করার ক্ষমতাকে বোঝানো হয়। কক্ষের আকার এবং সিএডিআর-এর মধ্যে অসামঞ্জস্যতা মানেই বায়ু পরিশোধনে অকার্যকারিতা, সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও অর্থ দুটোরই অপচয়।
ফিল্টার প্রযুক্তি
পিউরিফায়ারের ফিল্টার সিস্টেম বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন হেপা, অ্যাক্টিভেটেড কার্বন, এবং আয়োনাইজার। প্রতিটিরই রয়েছে পৃথক উদ্দেশ্য এবং বাতাসের দূষক দূরীকরণের নিজস্ব পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
হেপা ফিল্টার ব্যাপনের মাধ্যমে অ্যালার্জেন ও ছোট কণাগুলো আটকায়, আর সক্রিয় কার্বন গন্ধ ও ক্ষতিকারক গ্যাস দূর করে। আয়োনাইজার জমাকৃত বিদ্যুতের চার্জ দিয়ে পশুপাখির পশম ও উদ্ভিজ্জ পরাগকে আটকে ফেলে।
আওয়াজের মাত্রা এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের কার্যকারিতা
অপারেশন মুডে থাকার সময় ডিভাইসের আওয়াজ প্রায়শই দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এর সঙ্গে মাস শেষে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের চাপ বিড়ম্বনার কারণ হয়। আর পুরো বিনিয়োগটাই বৃথা হয় যখন দেখা যায় যে, এত বিল জমার পরেও বায়ু দূষণমুক্ত হচ্ছে না। তাই কম ডেসিবেল রেটিং এবং এনার্জি-এফিশিয়েন্ট ডিজাইনের মডেলের দিকে নজর দেওয়া উচিত। এগুলো একই সাথে নয়েজ ফ্রি এবং সাশ্রয়ী হয়ে থাকে।
উন্নত প্রযুক্তি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিউরিফায়ারগুলো নিত্য নতুন গ্যাজেটে সজ্জিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল অ্যাপ সংযোগ, রিয়েল-টাইম এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং এবং পরিবর্তনযোগ্য মুড। এই উদ্ভাবনাগুলো ডিভাইসের সাধারণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে আরও উপযোগী করে তোলে। বিশেষত বাতাসের মান যত কমে এই প্রযুক্তিগুলোরও প্রয়োজনীয়তা ততটাই টের পাওয়া যায়। তাছাড়া এর সঙ্গে গ্রাহক কত সহজে ডিভাইসটি চালাতে পারছেন সে বিষয়টিও জড়িত। বলাই বাহুল্য যে, এরকম অতিরিক্ত সংযুক্তির ধারাবাহিকতায় ডিভাইসের দামটাও বাড়তে থাকে।
রক্ষণাবেক্ষণ এবং ফিল্টার প্রতিস্থাপন খরচ
কেনার সময় এককালীন মূল্য থেকে পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণে বেশি খরচ চলে যাচ্ছে কিনা তার হিসাব করাটা জরুরি। বিভিন্ন সময়ে ডিভাইসের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিশেষ করে ফিল্টার প্রতিস্থাপনের দরকার পড়ে। অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ও এইচইপিএ ফিল্টার ঘন ঘন প্রতিস্থাপন করতে হয়, অপরদিকে প্রি-ফিল্টার ও আয়োনাইজার ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এই পর্যালোচনা সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি যৌক্তিক ও বাজেট উপযোগী সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
বর্তমান বাজারের সেরা ১০টি এয়ার পিউরিফায়ার
অনলাইনে ইলেক্ট্রনিক পণ্যের বিপণীগুলো উপরোল্লিখিত সুবিধা ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলনা করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক। তড়িৎ পর্যালোচনার নিমিত্তে নতুন বছরের জন্য বাজারের প্রসিদ্ধ ১০টি ব্র্যান্ডের ডিভাইসের দামসহ ফিচার দেওয়া হলো-
মোমেক্স এপি১০ | ৯ হাজার ৫০০ টাকা
আকার ও ডিজাইনের দিক থেকে বেশ কমপ্যাক্ট অথচ যথেষ্ট শক্তিশালী মোমেক্সের এই ডিভাইস। এর বিল্ট-ইন ইউভি-সি ৯৯ শতাংশ বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। ফিল্টারের হেপা অংশটি এইচ১৩ গ্রেডের, তাই এটি পিএম (পার্টিকুলেট ম্যাটার)-২ দশমিক ৫ কণাগুলোকে ধরাশায়ী করতে পারে ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। এই পিএমগুলো হচ্ছে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের অণুজীব যা ধোয়া বা বাতাসের মধ্যে থাকে।
ফিল্টারের সক্রিয় কার্বনের অংশটি উদ্বায়ী জৈব যৌগগুলোকে আকৃষ্ট করে। এভাবে পিউরিফায়ারটি কার্যকরভাবে ১০ বর্গ মিটার পর্যন্ত জায়গার বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এছাড়াও বায়ু দূষণ হ্রাসে অংশ নেয় ডিভাইস থেকে নির্গত ৮০ লক্ষ ঋণাত্মক আধান। এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, বাতাসের গতি, আয়ন স্থিতি এবং বায়ুর গুণমান সম্পর্কে রিয়েল-টাইম আপডেট দেওয়া হয়। ব্যাটারি ১০ হাজার এমএএইচ (মিলি-অ্যাম্পিয়ার-আওয়ার)-এর, যেটি ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অপারেশন দিতে সক্ষম।
বেকো পি৬ এটিপি৬১০০আই | ৯ হাজার ৯০০ টাকা
এই এয়ার পিউরিফায়ারটিতে ৩৬০-ডিগ্রি বাতাস প্রবাহের জন্য রয়েছে চারটি ভিন্ন স্পিড সেটিংস। আকারে ছোট হলেও মডেলটিতে ৩-পর্যায়ের ফিল্টার ব্যবস্থার স্থান সঙ্কুলান হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রি-ফিল্টার, ১৩ গ্রেডের হেপা ফিল্টার, এবং অ্যাক্টিভেটেড কার্বন ফিল্টার। তাই রয়েছে ক্ষুদ্র থেকে বড় কণাসহ গন্ধ এবং উদ্বায়ী জৈব যৌগ সবই দূরীভূত হয়। ডাস্ট সেন্সর ও আয়োনাইজারের সমন্বয় যথেষ্ট পরিমাণে অ্যালার্জেন হ্রাস করতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
প্রতি ঘণ্টায় ২০৪ কিউবিক মিটার সিএডিআর সম্পন্ন ডিভাইসটির ১০ বর্গ মিটারের জায়গা কভার করতে ৮ মিনিট এবং ৩০ বর্গ মিটারের জন্য ২৭ মিনিট লাগে। অপারেশনের সময় এর সর্বোচ্চ নয়েজ লেভেল উঠতে পারে সর্বোচ্চ ৫৫ ডিবিএ (ডেসিবল এ্যাডজাস্টেড)। বেকো থেকে পিউরিফায়ারটির জন্য ১২-মাসের ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি রয়েছে।
গ্রী জিসিএফ-৩৫০এএসএনএ | ১৬ হাজার ৫০০ টাকা
এই অত্যাধুনিক ডিভাইসের বিশেষত্ব হচ্ছে পিএম-২ দশমিক ৫-এর মতো আণুবীক্ষণিক কণা এবং ফর্মালডিহাইডের মতো গ্যাসীয় দূষক অপসারণ করা। এই অপারেশনের নেপথ্যে রয়েছে ঈগল উইং বায়োনিক প্রযুক্তি এবং একটি টার্বো ইনভার্টার মোটর। ফলে সমপর্যায়ের যেকোনো পিউরিফায়ার থেকে এর কার্যকারিতা বেশি থাকে। এই অপরসারণ কার্যক্রমকে দৃষ্টিগোচর করার জন্য রয়েছে একটি সেন্সর ও রিয়েল-টাইম ডিসপ্লে। অন-অফ টাচ লাইট বোতাম, তিন রঙের লাইটের মাধ্যমে বাতাসের গুণমান নির্দেশক এবং চাইল্ড লক ফাংশন ব্যবহারকারীদের কাছে এটিকে সাবলীল করে তুলেছে। পাঁচটি পরিবর্তনযোগ্য বায়ুপ্রবাহের স্পিড লেভেলের সঙ্গে আছে অতিরিক্ত তিনটি মুড- অটো, স্লিপিং এবং টার্বো।
রক্ষণাবেক্ষণের দিক থেকে এর বড় সুবিধা হচ্ছে যৌগিক ব্যারেল-টাইপ ফিল্টার। এ ধরণের ফিল্টার প্রতিস্থাপনের জন্য যথেষ্ট সহজ। খুচরা যন্ত্রাংশ এবং বিক্রয়োত্তর পরিষেবার জন্য ১ বছরের ওয়ারেন্টি আছে।
আরও পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শাওমি স্মার্ট এয়ার পিউরিফায়ার ৪ লাইট | ২২ হাজার ৫০০ টাকা
স্মার্ট ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য বিশেষ করে স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেমের জন্য সুপরিচিতি রয়েছে শাওমির। এই লাইট ভার্সনের পিউরিফায়ারটিতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই সাথে বায়ু পরিশোধনে উচ্চ-দক্ষতায়ও কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।
ঘণ্টা প্রতি ৩৬০ কিউবিক মিটার সিএডিআরের ডিভাইসটি প্রতি মিনিটে ৬ হাজার লিটার পরিষ্কার বাতাস সরবরাহ করে। থ্রি-ইন-ওয়ান ফিল্টারেশন সিস্টেমটি ০ দশমিক ৩ মাইক্রোমিটারের মতো ছোট ছোট কণাকে ৯৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ অপসারণ করে। এই কম্বো সিস্টেমের পরিচালনায় রয়েছে উচ্চ-মানের সক্রিয় কার্বন স্তর। পর্যাপ্ত জায়গা কভার করা এই ফিল্টার কমপক্ষে ১২ মাসের নিশ্চিন্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে। পারফরম্যান্সের অতিরিক্ত নিশ্চয়তা হিসেবে রয়েছে ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
প্যানাসনিক এফ-পিএক্সজে৩০এ | ২২ হাজার ৫০০ টাকা
থ্রিডি সার্কুলেশন এয়ারফ্লো দিয়ে সজ্জিত এই এয়ার পিউরিফায়ারের কভারেজ ক্ষমতা হলো সর্বোচ্চ ২১৫ বর্গফুট। মাঝারি কাঠামোতে জায়গা পেয়েছে একটি কম্পোজিট ফিল্টার, হাউস ডাস্ট ক্যাচার, এবং একটি ডিওডোরাইজিং ফিল্টার।
এর সুপার ন্যানো-টেকনোলজি ডিওডোরাইজিং ফিল্টার এবং গ্রিন টি ক্যাটিচিন সহ অ্যালার্জি-বাস্টার গন্ধ এবং অ্যালার্জেন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ার নেপথ্যে কাজ করে গন্ধ সেন্সর এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এনজাইম। অপারেশনে সুবিধার জন্য এতে আছে অটো মুড এবং ৮-ঘণ্টা স্লিপিং মুড।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
বিভিন্ন সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার্তে দেওয়া হয়েছে একটি ক্লিন সাইন ইন্ডিকেটর। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডিভাইসটির জন্য রয়েছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি।
শার্প এফপি-জেএম৪০ই-বি | ২৫ হাজার ৯০০ টাকা
বাতাস বিশুদ্ধকরণের পাশাপাশি শার্পের এই মডেলটিতে রয়েছে মশা নিধনের ক্ষমতা। এর রাসায়নিক-মুক্ত পাঁচ-পর্যায় বিশিষ্ট ব্যবস্থা অন্যান্য পরাগের পাশাপাশি মশাকেও আকৃষ্ট করে। এই ব্যবস্থার মূল চালিকা শক্তি ইউভি লাইট এবং কালো বহিরাবরণ। এছাড়া, ডিভাইসের শক্তিশালী এয়ার সাকশনের কাছে মশা নিমেষেই ধরাশায়ী হয় এবং একটি আঠালো শীটে আটকা পড়ে।
আবদ্ধ স্থানে ৩০ বর্গ মিটার জুড়ে এই দ্বৈত কার্যক্রম চালাতে পারে ডিভাইসটি। এর হেপা ফিল্টারটি ০ দশমিক ০৩ মাইক্রনের মতো আণবীক্ষণিক অণুজীবগুলোকেও ধরতে পারে। এছাড়াও বায়ুবাহিত অ্যালার্জেন, ভাইরাস, ও ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয়করণের জন্য এর রয়েছে পরিপূরক প্লাজমাক্লাস্টার আয়ন প্রযুক্তি। এটি যেকোনো ফিল্টারের পরিপূরক এবং গন্ধহীন পরিবেশ তৈরিতেও সক্ষম।
সব মিলিয়ে ডুয়াল-ফাংশনের এই ডিভাইস ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য একটি আদর্শ উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
স্মার্ট এয়ার এসএ৬০০ | ৩২ হাজার ৫০০ টাকা
সুপ্রশস্ত জায়গাগুলোকে উদ্দেশ্য করে ডিজাইনকৃত এই পিউরিফায়ার মাত্র ১৬ মিনিটে ৬০০ বর্গফুট এলাকার বাতাস পরিষ্কার করে। স্মার্ট এয়ার মডেলটির বিশেষত্ব হিসেবে রয়েছে এইচ১৩ গ্রেডের হেপা, প্রি-ফিল্টার, এবং সক্রিয় কার্বন ফিল্টার। তাই ক্ষুদ্র কণা, ক্ষতিকারক গ্যাস, অপ্রীতিকর গন্ধ, এবং পশুপাখির পশম কোনও কিছুই এর দুর্ভেদ্য বেষ্টনী অতিক্রম করতে পারে না। অপারেশনকালে আওয়াজের মাত্রা সর্বোচ্চ ৫২ দশমিক ৫ ডেসিবল-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। বাতাস বিশোধনের পুরো প্রক্রিয়াতে স্ট্যান্ডার্ড বক্স ফ্যানের তুলনায় ৮৫ শতাংশ কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ হয়। তাই প্রথমে খরচের ধাক্কা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে এই মডেলটি খরচ বাঁচানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
স্যামসাং এএক্স৯০আর৭০৮০ডব্লিউডি/ইইউ | ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা
উন্নতমানের এই এয়ার ক্লিনারটির প্রধান ফিচারগুলো হচ্ছে হেপা এবং ডিওডোরাইজিং ফিল্টার সহ বহু-স্তর বিশিষ্ট পরিশোধন ব্যবস্থা। অনাকাঙ্ক্ষিত ধুলো এবং গন্ধকে শনাক্তের জন্য রয়েছে স্মার্ট সেন্সর। ৩-ওয়ে এয়ারফ্লো বায়ু সঞ্চালন বাড়াতে অংশ নেয়। এভাবে বাতাসে থাকা যাবতীয় দূষক দূরীকরণ অব্যাহত থাকে ৯০ বর্গমিটার পর্যন্ত।
ওয়াইফাইয়ের সংযুক্তি থাকায় বিরামহীন রিমোট কন্ট্রোলের সুবিধা রয়েছে, যেখানে কাজ করে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের ‘স্মার্টথিংস’ অ্যাপ। এছাড়াও ডিভাইসে বিভিন্ন সময় রিয়েল-টাইম আপডেটগুলো প্রদর্শন করা হয়।
নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে অফ-টাইম সেটিং এবং চাইল্ড-কেয়ার লক। ৫৪ ডিবিএ সর্বোচ্চ নয়েজ লেভেল বিশিষ্ট পিউরিফায়ারটি দীর্ঘক্ষণ যাবৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে কর্মক্ষমতা অটুট রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
হিটাচি ইপি-এনজেজি৭০জে | ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা
নজরকাড়া ডিজাইনের এই ডিভাইসের বিশেষত্ব হচ্ছে প্রশস্ত এবং দ্রুত ধুলো সংগ্রহের ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে ডিভাইসের বিপরীত দুই পাশে ১৩ বর্গ মিটার পর্যন্ত স্থানকে বায়ু দূষণমুক্ত হয়। অত্যাধুনিক পিউরিফায়ারটি ধুলো, ছাঁচ এবং সিডারের পরাগের মতো সূক্ষ্ম কণা আটকাতে পারদর্শী। তালিকার অন্যান্য পিউরিফায়ারগুলোর মতো এটিতেও আছে হেপা পরিস্রাবণ ব্যবস্থা।
১৫ ডিবিএ-এর নিচে নয়েজ লেভেল রাতের বেলা ডিভাইসের শান্ত অপারেশন নিশ্চিত করে। গ্রাহকদের কাছে নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে হিটাচির পক্ষ থেকে ১২-মাসের পরিষেবা এবং যন্ত্রাংশের ওয়ারেন্টি আছে।
ফিলিপস এসি২৮৮৭ | ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা
উচ্চ-পার্ফরম্যান্স এবং মাত্র ২০ দশমিক ৫ ডিবিএ নয়েজ লেভেলের স্লিপ মুডের এক অনন্য সংমিশ্রণ রয়েছে ফিলিপ্সের এই মডেলটিতে। এরাসেন্স প্রযুক্তির দৌলতে মডেলটি কার্যকরভাবে বাতাসে ভেসে বেড়ানো দূষক পরিমাপ এবং নির্মূল করতে পারে। একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণেও অংশ নেয়। এর ভিটাশিল্ড প্রযুক্তি প্রাকৃতিকভাবে ০ দশমিক ০২ মাইক্রনের কণার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। এই ফিল্টার ব্যবস্থা নিয়ে ডিভাইসটি ৮৫১ বর্গফুট পর্যন্ত জায়গা কভার করতে পারে। এ সময় প্রতি ঘণ্টায় ৩৩৩ কিউবিক মিটার সিএডিআর-এ বিরামহীন বায়ুপ্রবাহ অব্যাহত রাখা হয়।
স্মার্ট প্রিসেটিং ডিসপ্লেতে পিএম ২ দশমিক ৫ সহ বিভিন্ন বায়ুবাহিত দূষণকারীর রিয়েল-টাইম পরিমাপ পাওয়া যায়। ওজোন গ্যাসমুক্ত রাখার মাধ্যমে বায়ু বিশোধনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াসহ ডিভাইসটি নিজের সরঞ্জামাদির নিরাপত্তা ধরে রাখে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
শেষাংশ
এই ১০টি এয়ার পিউরিফায়ারের যেকোনোটি ঘরের বাতাসকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। তন্মধ্যে মশা ও কীটপতঙ্গ ধ্বংসের অতিরিক্ত সুবিধা দিবে শার্পের মডেলটি। বরাবরের মতো স্মার্ট কন্ট্রোলের দিক থেকে এগিয়ে থাকা শাওমিতে পাওয়া যাবে সেরা ফিল্ট্রেশন। একই ক্যাটাগরিতে থাকবে বেকো, কারণ এর আছে আধুনিক ফিল্টার ক্ষমতার আয়োনাইজার। স্যাম্সাং-এর বিশেষত্ব মাল্টি-লেয়ার সিস্টেমে এবং গ্রী ও মোমেক্স-এর নৈপুণ্য অ্যালার্জেন-মুক্তকরণে। বাতাসের উন্নত সঞ্চালনের জন্য প্যানাসনিক আর দুর্দান্ত সেন্সিং ক্ষমতা পেতে ফিলিপ্সের মডেলগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। যারা নয়েজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা অগ্রাধিকার দিতে পারেন ফিলিপ্স ও স্মার্ট এয়ার’কে।
আরও পড়ুন:শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
১ সপ্তাহ আগে
২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
উত্তরোত্তর ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তি খাতে এক বিপুল সমৃদ্ধির বছর হতে চলেছে ২০২৫। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে চাকরির বাজারে। অধিকাংশ নিয়োগের কর্মযজ্ঞগুলোতে আধিপত্য থাকবে আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তিগত দক্ষতার। এআই থেকে শুরু করে সাইবার নিরাপত্তার ব্যবহারিক জ্ঞান ২০২৫-এর পরেও সর্বোচ্চ চাহিদার স্থানটি ধরে রাখবে। চলুন, নতুন বছরের কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন আইটি দক্ষতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে চাহিদার শীর্ষে থাকা ১২টি প্রযুক্তিগত দক্ষতা
ফুল-টাইম চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং নির্বিশেষে যেকোনো ধরনের কর্মক্ষেত্রে উচ্চ-চাহিদাসম্পন্ন আইটি দক্ষতাগুলো নিম্নরূপ:
ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটালকরণের ধারাবাহিকতায় ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশাসনের মতো সেক্টরগুলোতে প্রয়োজন হচ্ছে অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার।
বিভিন্ন ধরনের ডেস্কটপ সফ্টওয়্যারের পাশাপাশি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অপরিহার্য দক্ষতা হলো ফ্রন্ট-অ্যান্ড ও ব্যাক- অ্যান্ড সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। সঙ্গত কারণেই চাহিদা বাড়ছে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারদের, যা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ক্লাউড কম্পিউটিং
বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে অনলাইন বা ক্লাউড অবকাঠামো। এই অনলাইন কাঠামো গঠন ও তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন পড়ছে ক্লাউড আর্কিটেক্ট বা ইঞ্জিনিয়ার। ফলে নিয়োগের সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিউএস), মাইক্রোসফট আজুরে এবং গুগল ক্লাউডের মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাস্তব অভিজ্ঞতাকে। এই দক্ষতাকে কেন্দ্র করে এক অভাবনীয় সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের রূপরেখা তৈরি হয়েছে, যা নিকট ভবিষ্যতে চাকরির বাজারকে নেতৃত্ব দেবে।
ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন
একটি সফ্টওয়্যার বা অ্যাপের ইন্টারফেস, নকশা এবং অপারেশন সহজবোধ্য এবং সার্বজনীন না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়ে। অপরদিকে, একটি সার্বজনীন নকশার কারণে অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারটিকে ঘিরে ব্যবহারকারীর ইতিবাচক অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়। আর এখানেই আসে ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন শেখার প্রসঙ্গ। এই দক্ষতার মাধ্যমে আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্মে ফুল-টাইম চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জনের পথ সুগম হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা
বিভিন্ন ছোট-বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইন হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। শুধু তাই নয়, একজন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টও এই ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপদ নয়।ঘনঘন এই সাইবার অপরাধের বৃদ্ধির কারণে, সংস্থা ও মানুষ উভয়েরই অনলাইন ডেটা রক্ষার জন্য দরকার হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা, ইথিকাল হ্যাকিং এবং ঝুঁকি যাচাইয়ের দক্ষতা ২০২৫-এ কতটা মূল্যবান হতে যাচ্ছে!
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ডেটা অ্যানালাইসিস এবং বিগ ডেটা
বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বিপুল পরিমাণ ডেটার চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরি। এখানে বিশেষত্ব পায় এসকিউএল, পাইথন এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুলগুলোর ব্যবহারিক দক্ষতা। ব্যবসা, বিপণন, ব্যাংকিং, ফিন্যান্স ও একাডেমিক গবেষণাসহ বিভিন্ন খাতে আজকাল নিয়োগ হচ্ছে ডেটা অ্যানালিস্ট এবং ডেটা সায়েন্টিস্ট। নতুন বছরে এই ধারা আরও বেগবান হবে।
পেশাদার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি পরিসংখ্যানবিদ, গণিতবিদসহ অন্যান্য সেক্টরের কর্মকর্তারাও এখন ঝুঁকে পড়ছেন এই দক্ষতাগুলো শেখার দিকে।
ডেভঅপ্স এবং অটোমেশন
খাবারের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় কল-কারখানায় কম সময়ে উৎপাদন বাড়াতে অটোমেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেকটি ইন্ডাস্ট্রির ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলো কাজের ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। এগুলোর চালনার ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে হলে ডেভঅপ্স অনুশীলন এবং অটোমেশন সরঞ্জামগুলোতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাক্টরি নির্ভর কর্মসংস্থানগুলোতে ইতোমধ্যে এর এক বিশাল অবস্থান তৈরি হয়েছে, যা সামনের বছরগুলোতে আরও প্রসারিত হবে।
এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এআর/ভিআর)
গেমিং, ই-স্পোর্টস এবং বিনোদন ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা এবং ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন খাতে বিস্তৃতি পাচ্ছে অগমেন্টেড এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি। তাই গ্রাহকদের সেবা প্রদানে বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরিতে ভিআর প্রযুক্তির দক্ষতা আগামী দিনে ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি)
পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ডিভাইসের মাধ্যমে স্মার্ট অবকাঠামো ও পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত আইওটি ডেভেলপমেন্ট ও সেন্সর প্রযুক্তির দক্ষতা। আগামী বছরগুলোতে স্মার্ট শহর, কারখানা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং, স্মার্ট হোম্স, স্মার্ট গ্রিড, পরিধানযোগ্য জিনিসপত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ব বাড়বে আইওটি-দক্ষ পেশাদারদের।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এমএল)
প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এআই ও এমএল-এর সন্নিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় অনপেক্ষণীয় হয়ে পড়েছে দক্ষ পেশাদারদের উপস্থিতি। এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের দক্ষতা বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে প্রয়োগ করা হবে। ব্যবসা, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও ফিন্যান্সের পাশাপাশি আরও নানা খাত এআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে বিশ্বব্যাপি চাকরির বাজারে আরও পেশাদারদের প্রয়োজন হচ্ছে।
রোবটিক্স এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশল, উৎপাদন ও পরিবহনে অভূতপূর্বভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয়করণ ব্যবস্থা। সেই বিবেচনায় বলা যেতে পারে যে, আগামী বছরটি হতে যাচ্ছে রোবটিক্স ও অটোমেশনের বছর। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুরো সিস্টেম ডিজাইন, নিয়ন্ত্রণ, এবং স্বয়ংক্রিয়তা বজায় রাখার জন্য রোবটিক্স ও অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
আরো পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও
ব্যবসা, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদির ডিজিটালকরণের জন্য সবচেয়ে তাৎপর্যবহুল দুটি বিষয় হচ্ছে এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা এখন নির্ভর করে কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট টিম ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারনেট পাঠকদের পছন্দ-অপছন্দ নিরীক্ষণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গ্রাহক ধরে রাখার উপর। এগুলোর প্রতিটি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদারের বিশেষত্বের জায়গা। সুতরাং, আসছে বছর নতুন মাত্রায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশার।
লো-কোড ও নো-কোড ডেভেলপমেন্ট
একটা সময় ছিল, যখন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি বা ব্যবহারের জন্য আবশ্যিকভাবে একজন আইটি বিশেষজ্ঞেরই দরকার হতো। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ন্যূনতম কোডিং দক্ষতাতেই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের সুযোগ থাকে। এই কার্যক্রম দ্রুত সমাধান প্রদানের তাগিদে অনলাইন টুলস ব্যবহারে দক্ষ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
পরিশিষ্ট
পেশাগত ক্ষেত্রে যেখানে সর্বত্র ডিজিটাল রূপান্তর ঘটছে, সেখানে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপযুক্ত হাতিয়ার হলো এই চাহিদাসম্পন্ন প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলো। পরিবর্তনের সঙ্গে এই আলিঙ্গন কেবল ২০২৫-এ নয়, তার পরেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য সুদীর্ঘ মাইলফলক স্থাপন করবে।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
২ সপ্তাহ আগে
স্তন ক্যান্সার শনাক্তে ভুমিকা রাখতে পারে এআই: গবেষণা
স্তন ক্যান্সার শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা- এআই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে একটি মার্কিন গবেষণায় উঠে এসেছে।
স্তন-স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম ম্যামোগ্রাফি স্ক্রিনিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে দারুণ ফল পেয়েছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, এআই দিয়ে স্ক্যান করা হলে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি।
সোমবার প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের একটি প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়।
রেডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার (আরএসএনএ) বার্ষিক সভায় এই ফল উপস্থাপন করে রেডিওলজি জায়ান্ট র্যাডনেটের মালিকানাধীন এআই ফার্ম ডিপহেলথ।
১২ মাসে ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬০৪ জন নারীর ওপর ম্যামোগ্রাফি স্ক্রিনিংয়ের পর এই ফলাফল উপস্থাপন করে র্যাডনেট।
আরও পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়: অস্ট্রেলিয়ায় গবেষণা
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গবেষণার আওতাধীন নারীদের অনেকে ম্যামোগ্রাফিতে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের এআই সফটওয়্যার বেছে নেন। চিকিৎসকের চোখ এড়িয়ে গেলেও ওই সফটওয়্যার ক্যান্সারের জীবাণু শনাক্তে সহযোগিতা করায় ম্যামোগ্রাফিতে এটি ‘দ্বিতীয় চোখ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই প্রকল্পে যেসব নারী অংশগ্রহণ করেন বাকিদের চেয়ে তাদের মধ্যে ক্যান্সার শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশ বেশি ছিল বলে জানানো হয়।
তবে স্তন ক্যান্সারের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা নারীদের ওপরই শুধু এআইয়ের পরীক্ষা চালানো হয়। ফলে ৪৩ শতাংশ বেশি শনাক্ত হারকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। পরে সার্বিকভাবে এই হার ২২ শতাংশ বলে জানানো হয় এবং শেষ পর্যন্ত তা ২১ শতাংশের কম নয় বলে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, তারা এখন এআই থেকে আরও বেশি সুবিধা কীভাবে নেওয়া যায়, তার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে গাজীপুর: গবেষণা
১ মাস আগে
রোগ ছড়ানো মশা নির্মূলে অস্ট্রেলিয়ার নতুন উদ্যোগ
রোগ ছড়ানো মশা নির্মূলে একটি নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জিন সম্পাদনার মাধ্যমে পুরুষ মশাদের মধ্যে এমন এক ধরনের জিন প্রবেশ করানো হবে যা রোগবাহী স্ত্রী মশার সংখ্যা কমাতে কার্যকর।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও) ও যুক্তরাজ্যের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি অক্সিটেকের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে অক্সিটেক অস্ট্রেলিয়া।
ডেঙ্গু জ্বর, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস ও হলুদ জ্বরের বিস্তার রোধে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভাইরাস বহনকারী সবচেয়ে মারাত্মক দুটি প্রজাতির মশা- এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাসকে লক্ষ্য করে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অক্সিটেক অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষায় দেখা গেছে, ল্যাবে এডিস ইজিপ্টি মশার জিন সম্পাদনার পর সেগুলোকে বনে ছেড়ে দেওয়ার পর বিশেষ ওই পুরুষ মশাগুলো বনের স্ত্রী মশাদের সঙ্গে মিলনের ফলে যে বাচ্চার জন্ম দেয়, সেগুলোও টিটিএভি (tTAV) নামক প্রোটিনযুক্ত বিশেষ ওই জিন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।
ওই প্রোটিন স্ত্রী বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলে, তবে পুরুষগুলোর ক্ষতি করে না।
এই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডে একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধের উদ্দেশে এশিয়ান টাইগার মশা, এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার বিস্তার রোধেও কাজ শুরু করেছে অক্সিটেক অস্ট্রেলিয়া।
১ মাস আগে
পরীক্ষামূলক টেলিটক অনলাইন সিমসেবা চালু
পরীক্ষামূলকভাবে টেলিটক অনলাইন সিম সেবা চালু করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল থেকে কমার্শিয়াল পাইলটিং হিসেবে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১১টি পোস্ট অফিসে এই সেবা শুরু করা হয়েছে। পরে বাংলাদেশের সব জেলার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সেবাটি পাওয়া যাবে।
বুধবার ঢাকার হেয়ার রোডে উপদেষ্টার কার্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে টেলিটক অনলাইন সিম সেবা চালু করা হয়। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড সিম গ্রাহকের দরজায় পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্ট অফিস এবং তাদের বিলি বণ্টন সেবাকে একীভূত করেছে। এর ফলে অনলাইনে গ্রাহক তার সিম নম্বর পছন্দ ও অর্ডার করে তার সুবিধাজনক ডাকঘর থেকে অথবা বাসায় বসেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
এখন থেকে গ্রাহক তার টেলিটকের পছন্দের সিমটি নিতে নির্দিষ্ট ডাকঘর থেকে ২৫০ টাকা এবং ঘরে বসে ৩০০ টাকায় সিম সংগ্রহ করতে পারবেন।
১ মাস আগে
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
তথ্য ও প্রযুক্তির বিরামহীন বিকাশের যুগান্তকারী ফলাফল হচ্ছে স্মার্টফোন। উদ্ভাবনের পর থেকে কেবল দুটো মানুষের মধ্যে যোগাযোগের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই ছোট্ট ডিভাইসটি। চার দেয়ালের ভেতরে ও বাইরে স্থির বা চলমান প্রতিটি অবস্থায় এই মুঠোফোন মানুষের ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী। প্রসঙ্গ যখন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে তখন স্বভাবতই সেখানে চলে আসে সঠিকভাবে তা ব্যবহারের বিষয়টি। কেননা অসাবধানতা বা অপব্যবহারে সময়ের এই আশীর্বাদটিই পরিণত হতে পারে মৃত্যুঝুঁকিতে। বিশেষ করে স্মার্টফোন বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। চলুন, মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের বিভিন্ন কারণ এবং এ থেকে বাচঁতে করণীয়গুলো সম্পর্ক জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কারণসমূহ
দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া। নথি, হিসাব রক্ষণ, ই-মেইল বা ফাইল ব্যবস্থাপনার মতো হাল্কা অ্যাপগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে নেতিবাচক প্রভাবটা বেশ হাল্কা থাকে। তবে ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেমের মতো ভারী অ্যাপগুলো অল্প সময় চালালেই ডিভাইস গরম হয়ে ওঠে। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অ্যাপগুলোতে ডুবে থাকলে ফোনের প্রসেসরের ওপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। এতে করে ফোনের অভ্যন্তরে তাপ বাড়তে থাকে।
এই উত্তাপের সবচেয়ে বড় শিকার হয় ফোনের ব্যাটারি। তাপের পরিমাণ ধারণ ক্ষমতার বেশি হয়ে গেলে ব্যাটারি ফুলে গিয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে পড়ে।
উন্নত প্রযুক্তির ফোন মানেই তাতে হাই-এন্ড প্রসেসরের উপস্থিতি। আর অবিরাম ফোন ব্যবহারের ফলে এই প্রসেসরগুলো মুহুর্তে উত্তপ্ত হয়ে যায়। প্রসেসরের একদম সংস্পর্শে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ব্যাটারির।
আরও পড়ুন: অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ওভারচার্জিং
ফোনের চার্জ ১০০ শতাংশের কোঠায় পৌঁছানোর পরেও দীর্ঘক্ষণ প্লাগ-ইন থাকলে ব্যাটারিতে লোড বাড়তে থাকে। অবশ্য বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ স্মার্টফোনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যেন একবার পূর্ণচার্জ হয়ে গেলে চার্জ হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও ক্রমাগত চার্জ গ্রহণেরও একটা লিমিট আছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্লাগ-ইন অবস্থায় থাকলে সেই লিমিট অতিক্রান্ত হয়। আর তখনি ব্যাটারির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে।
‘ব্যাটারি স্ট্রেস’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশগুলো একটু একটু করে তাপ জমা হতে শুরু করে। চক্রাকারে এই ঘটনা ঘটতে থাকলে এক সময় সেগুলো অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়।
অনেকেরই মধ্যে রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া ব্যাগের মধ্যে পোর্টেবল চার্জারে ফোন সংযুক্ত রেখে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
উত্তপ্ত বা উচ্চ আর্দ্রতার পরিবেশে রাখা
সরাসরি সূর্যের আলোতে, বদ্ধ স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ অথবা প্রচন্ড আঁটসাঁট চাপযুক্ত জায়গা ফোনের ব্যাটারির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিবেশের উচ্চ তাপ ফোনের কেসিং হয়ে ব্যাটারিতে প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে ব্যাটারি তাপ ধারণ করার জন্য প্রসারিত হওয়ার চেষ্টা করে। এভাবে এটি ক্রমশ নিরাপদ সীমার বাইরে পরিচালিত হয়ে বিস্ফোরণের দিকে ধাবিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
উচ্চ আর্দ্রতা যুক্ত পরিবেশ ব্যাটারির জন্য যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে ফোন বহনের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন-
- গরমের দিনে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা
- বালিশ বা কম্বলের নিচে ফোন রেখে ঘুমানো
- ফোন টেবিলের কোণে বইয়ের স্তুপ বা জঞ্জালের মাঝে রাখা
- ফোন একসঙ্গে কয়েকটি হাই-ভোল্টেজের যন্ত্রপাতির সঙ্গে রাখা
- গাড়ির ইঞ্জিন বা গিয়ারের কাছাকাছি প্রচন্ড ভিড়ের মাঝে আঁটসাঁট কোনও ব্যাগে ফোন বহন করা
নকল বা নিম্নমানের চার্জার বা কেবল ব্যবহার করা
সস্তা ও অনিবন্ধিত অধিকাংশ ফোনেই চার্জার বা কেবলগুলোতে কোনও নিরাপত্তার মান থাকে না। এক্ষেত্রে চার্জার বা তার ক্যাবল ফোনের রেটিংকৃত বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য উপযুক্ত থাকে না। ফলে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে ক্যাবল বা চার্জারটি থাকে একদমি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে করে প্রয়োজনের তুলনায় কম অথবা বেশি পরিমাণে ফোনে বিদ্যুৎ ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
কম হলে ফোনের আভ্যন্তরীণ সরঞ্জামাদি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এতে আর তেমন কোনো ভয় থাকে না। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিবহন বেশি হলে তাপ বৃদ্ধির মাধ্যমে আগুন ধরে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
বাহ্যিক আঘাত থেকে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া
ব্যাটারি যদি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় তাহলে শর্ট সার্কিটের মতো বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বড় রকমের দুর্ঘটনার জন্য একটি শর্ট সার্কিট-ই যথেষ্ট।
একটি দুর্বল মানের ফোন হাত থেকে পড়ে যাওয়া কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় এর ব্যাটারি। খুব ভালো বিল্ট কোয়ালিটির ফোনও দুই-তিনবার ধাক্কা লাগার ফলে এর আভ্যন্তরীণ কাঠামো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবার আঘাতে একটি-দুটি করে চিড় বা কাঠামো-বিকৃতি দীর্ঘ মেয়াদে ফোনের স্থায়িত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রচন্ড সংঘর্ষ বা আঘাতে অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপকরণগুলো নষ্ট হতে থাকলে সার্কিট পূরণ সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয়। এরপরেও এমন ক্ষতিগ্রস্ত ফোন নিয়ে চলাফেরা করা মানেই যে কোনো সময় আকস্মিক বিপদের সম্মুখীন হওয়া।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
৩ মাস আগে
রবিবার ৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ধীরগতির থাকবে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা স্টেশনে সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বাংলাদেশে রবিবার চার ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ধীরগতির থাকবে।
এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (এসসিপিএলসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) সাইদুর রহমান জানান, রবিবার রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমে লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করবে সি-মি-উই-৫ (এসএমডব্লিউ৫) কনসোর্টিয়াম।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার উপদেষ্টা নাহিদের
এ সময়ের মধ্যে এসএমডব্লিউ৫ ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত সব সার্কিটে প্রভাব পড়বে।
তবে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে সি-মি-উই-৪ (এসএমডব্লিউ৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত সার্কিটগুলো চালু থাকবে।
রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে ব্যবহারকারীরা ধীর সংযোগ বা অস্থায়ী বিঘ্নের সম্মুখীন হতে পারেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
৩ মাস আগে
অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজ উদ্বোধন: নতুন ফিচার ও মূল্য তালিকা
প্রযুক্তি উৎসাহীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর অ্যাপল সাম্রাজ্যে শুরু হলো আইফোন ১৬-এর যুগ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বেসিকের পাশাপাশি এবারও উন্মোচিত হয়েছে প্লাস, প্রো ও প্রো ম্যাক্স ব্র্যান্ড বিভাজনগুলো। তন্মধ্যে প্রো ও প্রো ম্যাক্সের সজ্জায় দেখা গেছে কালো, সাদা, গোলাপি ও আল্ট্রামেরিন রঙ। বাকি দুটোতে ফুটে রয়েছে কালো, ন্যাচারাল, সাদা ও ডেজার্ট টাইটেনিয়াম। নতুন কি কি ফিচার থাকছে, আর কেমনই বা দাম হতে চলেছে অ্যাপলের আইফোন ১৬ সিরিজের এই নতুন ফোন গুলোর, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন ১৬ সিরিজের ফিচারগুলো
ডিসপ্লে
নতুন আইফোনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো এর অতিকায় লম্বা স্ক্রিন। এর প্রো ম্যাক্সের স্ক্রিনটি ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চির, যা পূর্ববর্তী ১৫ সিরিজের সবচেয়ে বড় স্ক্রিনের (৬ দশমিক ৭-ইঞ্চি) মডেল প্রো ম্যাক্স থেকেও বড়। অবশ্য উভয় সিরিজের স্ক্রিনেই রয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর প্যানেল, যা ১২০ হার্ট্জ রিফ্রেশ রেট এবং ২ হাজার নিট্সের সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা দিতে সক্ষম। অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থে ডিসপ্লে প্রযুক্তি মূলত একই, নতুনটাতে শুধু আকারটা বেড়েছে।
ক্যামেরা
এবারের প্রো ম্যাক্স ভ্যারিয়েন্টের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা আগের সিরিজগুলো থেকে অনেকটা এগিয়ে। ল্যান্ডস্কেপ ও ম্যাক্রো শট নেওয়ার ক্ষেত্রে এখানে ক্যামেরার গুণগত মানকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিগত প্রো ম্যাক্সের ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্সের জায়গায় এবার যুক্ত হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স। অ্যাপলের ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির কারণে এর নতুন সেন্সরটি অল্প আলোয় ফটোগ্রাফির জন্য যথেষ্ট উপযোগী।
আরো পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন ছবিটি এআই দিয়ে বানানো কিনা
আগের বছরের প্রো ম্যাক্স-এ ফোর কে রেজুলেশনের ভিডিও নেওয়া যেত সর্বোচ্চ ৬০ এফপিএস (ফ্রেম-পার-সেকেন্ড)-এ। সেখানে এ বছরে উন্মোচিত একই ভ্যারিয়েন্টটি স্ট্যান্ডার্ড ও স্লো-মোশন দুই মোডে ১২০ এফপিএস-এ ফোর কে ভিডিও করতে সক্ষম। এছাড়া অতিরিক্ত যুক্ত হয়েছে ফুটেজ ক্যাপচার করার পর প্লেব্যাকের গতি সামঞ্জস্য করার অপশন।
প্রসেসর
১৫ সিরিজের মতো এবারের ফোনগুলোতেও মূল শক্তি হিসেবে থাকছে ২য় প্রজন্মের ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি। তবে অ্যাপল চিপসেট এ১৭ থেকে উন্নীত করা হয়েছে এ১৮-এ। স্পষ্টত বেসিক মডেলে এ১৮ বেসিক, প্লাস-এ এ১৮ বায়োনিক এবং প্রো ও প্রো ম্যাক্সে দেওয়া হয়েছে এ১৮ প্রো। এগুলোর মধ্যে এ১৮ প্রো ফোনের সিপিইউর (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট)-এর কার্যক্ষমতাকে ১৫ শতাংশ এবং জিপিইউকে (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) ২০ শতাংশ দ্রুততর করতে পারে।
নতুন চিপসেটে একটি ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিনও রয়েছে, যেটি ফোনের বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে আগের তুলনায় আরও দক্ষ করে তোলে।
অবশ্য স্মার্টফোনের দৈনন্দিন সাধারণ কাজকর্মে এ১৭ এবং এ১৮-এর সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো তেমন দৃষ্টিগোচর হবে না।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
গেমিং
প্রসেসরের দুই প্রজন্মের মধ্যকার সুক্ষ্ম তারতম্যগুলো খুব ভালোভাবে বোঝা যাবে এএএ তথা হাই প্রোফাইল গেমগুলো খেলার সময়। ‘ডেথ স্ট্র্যান্ডিং’ ও ‘অনার অফ কিংস: ওয়ার্ল্ড’ গেমগুলোর ব্যাপারে নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে নতুন প্রো ম্যাক্সে। কেননা পারফরমেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন এ১৮ চিপের আরও একটি বিশেষত্ব হচ্ছে অতিরিক্ত ব্যাটারি লাইফ।
তাছাড়া হার্ডওয়্যারভিত্তিক রে ট্রেসিংয়ের দৌলতে গতানুগতিক সফ্টওয়্যারভিত্তিক রে ট্রেসিংয়ের তুলনায় ৫ গুণ পর্যন্ত ফ্রেম রেট পাওয়া যাবে। এর ফলে গেমের ভিজুয়ালে আলোর কারসাজিগুলো আরও নিখুঁতভাবে বোঝা যাবে।
ব্যাটারি
প্লাস ভ্যারিয়েন্ট বাদে বাকি সবগুলোর ব্যাটারি ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো (প্রায় ৬ শতাংশ) হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ব্যাটারিতে। যেখানে আগে ছিলো ৩ হাজার ৩৪৯ এমএএইচ (মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ার), সেখানে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬১ এমএএইচের ব্যাটারি। সবচেয়ে কম (২ দশমিক ৫ শতাংশ) প্রো-তে; ৩ হাজার ২৭৪ থেকে ৩ হাজার ৩৫৫ এমএএইচ। আর প্রো ম্যাক্সে ৪ হাজার ৪২২ এমএএইচ থেকে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে যুক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৭৬ এমএএইচের ব্যাটারি।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
১৫ সিরিজের ফোনগুলো যেখানে সারাদিন ব্যবহারে ২০ ঘণ্টা চলতো, সেখানে ১৬ সিরিজের ভ্যারিয়েন্টগুলো প্রায় ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। ব্যাটারিগুলো কেবল দীর্ঘায়ুর দিক থেকে নয়, দ্রুত চার্জিংয়ের ক্ষেত্রেও বিগত বছরের থেকে অনেকটা এগিয়ে। ঐতিহ্যবাহী ইউএসবি-সি টাইপসমৃদ্ধ নতুন সেটগুলোতে তারযুক্ত চার্জিং ক্ষমতা ২৭ ওয়াট এবং তারবিহীন ১৫ ওয়াট।
সফটওয়্যার ও এআই
আইফোন ১৬-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। এর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চ্যাটজিপিটির সাহায্যে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করতে সক্ষম। অবশ্য এই সুবিধা শুধুমাত্র প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের জন্য সংরক্ষিত।
আইওএস (আইফোন অপারেটিং সিস্টেম)-১৮-এর আপডেটসহ এখানে বিভিন্ন ধরনের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার রয়েছে। যেমন গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশনগুলো ফিডের শীর্ষে রাখা বা বড় নোটিফিকেশনগুলোর সারাংশ দেখানো এবং ছোট নোট বা ই-মেইল লেখা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে এআই ছবি তৈরি এবং অডিও থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে টেক্সট লেখা। এছাড়া অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারকারীদের জন্য থাকবে নিজস্ব প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউট, যা তাদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্যাবলি সুরক্ষিত রাখবে।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
৪ মাস আগে
বন্যাকবলিত ১১ জেলায় ৪১৬টি মোবাইল টাওয়ার এখনও অকেজো
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি জেলার ১৪ হাজার ৫৫১টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ৪১৬টি মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
জেলাগুলো হলো- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কক্সবাজার ও সিলেট।
এরইমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোবাইল অপারেটর ও টাওয়ার অপারেটরদের সরঞ্জাম, জ্বালানি ও জেনারেটর বহনের জন্য নৌযান, ট্রাক ও স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে।
৪ মাস আগে
অ্যাপল আইফোন ১৬ সিরিজে নতুন কি থাকছে
ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বাজারে নিজেদের নতুন ফোন আনতে যাচ্ছে অভিজাত ইলেক্ট্রনিক্স ও সফ্টওয়্যার কোম্পানি অ্যাপল। সে অনুযায়ী আইফোনের নতুন সংস্করণ নিয়ে ইতোমধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে নিয়মিত গ্রাহক ও প্রযুক্তি উৎসাহীদের মধ্যে। পুরনো ঐতিহ্য অনুসারে এবারও বেসিকের পাশাপাশি আকর্ষণের খোরাক যোগাবে প্লাস, প্রো এবং প্রো ম্যাক্স ব্র্যান্ড বিভাজনগুলো। আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ বাজারে আসার কথা থাকলেও এর আগেই প্রকাশ পেয়ে গেছে ফোনটির বেশ কিছু নতুন ফিচার। চলুন, ব্যাপকভাবে আলোচিত আইফোন ১৬ সিরিজের সেই নতুন ফিচারগুলোর সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাপল আইফোন ১৬-এর নতুন ফিচারগুলো
ফোনের আকৃতি, ওজন ও ডিসপ্লে
নতুন আইফোনের প্রো ও প্রো ম্যাক্স দুটোরই স্ক্রিন আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় বেশ বড় হবে। আইফোন ১৫ প্রো-এর ডিসপ্লে যেখানে ছিল ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি, সেখানে এবারের প্রো-তে ডিসপ্লে থাকবে ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চির। আর প্রো ম্যাক্স-এও আগের ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে বদলে করা হবে ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চি।
২০২০ সালে আইফোন ১২ প্রো ও প্রো ম্যাক্স-এর পর থেকে এই প্রথমবারের মতো আইফোনের স্ক্রিনের আকারে পরিবর্তন আনা হলো। সেই সূত্রে, আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স হতে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বড় আইফোন।
আরো পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
এই বড় স্ক্রিনের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটবে সামগ্রিক ফর্ম ফ্যাক্টরগুলোতে। আকার-আকৃতিগত দিক থেকে আইফোনের প্রো আর প্রো ম্যাক্সের সাথে এর ঠিক আগের সংস্করণের প্রো ও প্রো ম্যাক্সের তুলনা করলে তা স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। উভয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র সাদৃশ্য হলো পুরুত্ব, যেটি ৮ দশমিক ২৫ মিলিমিটার।
টেবিলঃ আইফোন ১৫ ও ১৬ সিরিজের প্রো এবং প্রো ম্যাক্স-এর ফর্ম ফ্যাক্টরগত পরিবর্তন
ফর্ম ফ্যাক্টর
আইফোন ১৬ প্রো
আইফোন ১৫ প্রো
আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স
আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স
উচ্চতা (মিলিমিটার)
১৪৯ দশমিক ৬
১৪৬ দশমিক ৬
১৬৩
১৫৯ দশমিক ৯
প্রস্থ (মিলিমিটার)
৭১ দশমিক ৪৫
৭০ দশমিক ৬০
৭৭ দশমিক ৫৮
৭৬ দশমিক ৭০
ওজন (গ্রাম)
১৯৪
১৮৭
২২৫
২২১
ক্যামেরা আপগ্রেড
বর্তমানে বাজারে চলমান আইফোন প্রো ম্যাক্স-এর আকর্ষণীয় ফিচার ৫এক্স জুম টেট্রাপ্রিজম ক্যামেরা আইফোন ১৬ প্রোতেও থাকবে। তবে প্রো ম্যাক্সের ক্ষেত্রে অপটিক্যাল জুম রেঞ্জকে আরও বিস্তৃত করা হতে পারে।
প্রো এবং প্রো ম্যাক্স দুটোরই প্রধান ক্যামেরায় থাকবে নতুন সনি ক্যামেরা সেন্সর। এতে করে স্বল্প আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
আরো পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
২০২১ সালে আইফোন ১৩ প্রো-এর পর থেকে ক্যামেরার আল্ট্রা-ওয়াইড সেকশনটিতে একদম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আইফোন ১৬ প্রো’তে ব্যবহৃত ক্যামেরার রেজুলেশন হবে ৪৮ মেগাপিক্সেল, যা এতদিন পর্যন্ত ১২ মেগাপিক্সেলে সীমাবদ্ধ ছিলো।
দ্রুততর ওয়াই-ফাই এবং ৫জি
পূর্ববর্তী সংস্করণের থাকা ওয়াই-ফাই ৬ই থেকে সরাসরি আপগ্রেড নিয়ে নতুন আইফোনের প্রো মডেল হবে ওয়াই-ফাই ৭ সমর্থিত। ওয়াই-ফাই ৭ প্রযুক্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি সর্বোচ্চ ৪০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড)-এরও বেশি, যা ওয়াই-ফাই ৬ই থেকে চারগুণ দ্রুত। ওয়াই-ফাই ৭ সংযোগে অনেকটা কমে আসবে লেটেন্সি, যা স্মার্ট হোম ডিভাইস বিশেষ করে হেডফোনে ভালো পারফরমেন্স পাওয়ার জন্য জরুরি।
অবশ্য এই নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক পেতে ওয়াই-ফাই রাউটারটি অবশ্যই ওয়াই-ফাই ৭ সমর্থিত হতে হবে। আর প্রাথমিক স্তরে এরকম রাউটারের জন্য অতিরিক্ত খরচে বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
এছাড়াও আইফোন ১৬ প্রোর মডেমটি হবে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন এক্স৭৫, যার সাথে রয়েছে ৫জি অ্যাডভান্সড প্রযুক্তি। ফলে এর মাধ্যমে ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড গতি পাওয়া যাবে।
এ১৮ চিপ এবং অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স
নতুন আইফোনের জন্য নতুন প্রসেসর খুব একটা আকর্ষণীয় কিছু নয়। তবে এই বছরের বিষয়টি একটু ভিন্ন, কেননা এবার ফোনের প্রসেসর হিসেবে থাকবে এ১৮ চিপ। এখানে আইফোন ১৫ প্রো-এর মতই ব্যবহার করা হবে ৮ জিবি (গিগাবাইট) র্যাম। তবে সেটা মূল বিষয় নয়, আসল ব্যাপার হচ্ছে এ১৮ চিপটিতে রয়েছে প্রগতিশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য পূর্বাপেক্ষা অধিক সহায়ক পরিবেশ।
এ১৮ প্রো চিপে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রানজিস্টর এবং বিশেষ ইলেক্ট্রনিক উপাদান। এতে করে শক্তিশালী নিউরাল ইঞ্জিন সহ বিল্ট-ইন এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) কম্পিউটিং কোরের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই টিপটি এ১৭ প্রো-এর মত ৬-কোর জিপিইউ (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) ডিজাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
আরো পড়ুন: ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
বর্তমানে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ফিচারগুলো শুধুমাত্র আইফোন ১৫ প্রো মডেলগুলোতে আছে। তবে এবার পুরো আইফোন ১৬ সিরিজ এআই সমর্থিত হবে। প্রথম অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স বৈশিষ্ট্যগুলো বর্তমানে আইওএস (আইফোন অপারেটিং সিস্টেম) ১৮ দশমিক ১ এর সঙ্গে বেটা পরীক্ষায় রয়েছে। এগুলো পুরোদমে কার্যকর হতে পারে চলতি বছরের অক্টোবরে।
অ্যাকশন বোতাম
আইফোন ১৫ প্রোর যে ফিচারটি গোটা সিরিজের মধ্যে এটিকে অনন্যতা দিয়েছিল, তা হলো এর অভিনব মিউট সুইচ। এই অ্যাকশন বোতামটি পাওয়া যাবে আসন্ন আইফোনের প্রতিটি মডেলে। অ্যাকশন বোতামটি ক্যামেরা, সাইলেন্ট মোড, শর্টকাট, ফ্ল্যাশলাইট এবং অনুবাদ অ্যাপসহ আরও বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়। এছাড়া আইওএস-১৮ এর সঙ্গে অ্যাকশন বোতামটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
ক্যাপচার বোতাম
অ্যাকশন বোতাম ছাড়াও আইফোন ১৬-এ ফোনের ডানদিকে থাকবে একটি নতুন ক্যাপচার বোতাম। এই বোতাম ক্যামেরা ওপেন করার একটি দ্রুত উপায় হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া এটি টাচ সেন্সিটিভও হবে। অর্থাৎ এর সাহায্যে জুম ইন-আউট করার জন্য বাম এবং ডানদিকে সোয়াইপ করা যাবে।
আরো পড়ুন: স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
ফলশ্রুতিতে, ডিসপ্লেতে ট্যাপ না করেই ছবিকে ফোকাসে আনা সহজ হবে। ছবিকে ফোকাসে আনার জন্য বোতামের পৃষ্ঠে হাল্কা সোয়াইপ করে উল্লম্বভাবে চাপ দিলেই কাঙ্ক্ষিত ছবিটি তোলা হয়ে যাবে।
ছোট ক্যামেরা বাম্প
অ্যাপলের বর্গাকার ক্যামেরা বাম্প ডিজাইনটি চলে আসছে সেই আইফোন ১১ থেকে। এবার এই ক্যামেরা বাম্পে আনা হবে নতুনত্ব। দুটি ক্যামেরার লেন্স তির্যকভাবে না রেখে সাজানো হবে পরস্পরের উপর উল্লম্বভাবে। এতে ক্যামেরার বাম্পের আকার প্রস্থের দিক থেকে অর্ধেক হয়ে যাবে। ফলে আইফোন ৮-এর পর এই প্রথমবারের মতো ক্যামেরার ফ্ল্যাশকে রাখা হবে বাম্পের বাইরে।
এটি মূলত করা হয়েছে যে কোনও স্থানের থ্রিডি ভিডিও শট নেওয়ার জন্য। বর্তমানে আইফোন ১৫ প্রোতে রয়েছে এই সুবিধা। আইফোন ১৬-এর বেসিক ও প্লাস মডেলে থ্রিডি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে, যা ভিশন প্রোতে দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: ডিএসএলআর ক্যামেরা খুঁজছেন? কেনার আগে জেনে নিন ফিচার ও দাম
ব্যাটারি স্থায়িত্ব
পুরনো মডেলগুলো তুলনায় নতুন আইফোনের ব্যাটারির ক্ষমতা হবে সবচেয়ে বেশি। সম্পূর্ণ নতুনভাবে ডিজাইন করা ব্যাটারি হবে অপেক্ষাকৃত বেশি ঘনত্বের। ব্যাটারির ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে ছোট আকৃতির ব্যাটারিও দীর্ঘ সময় ধরে ফোনকে ব্যাকআপ দিতে পারবে। জায়গা সঙ্কুলানের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আইফোন ১৬ প্লাস-এ ব্যবহার করা হবে ছোট ব্যাটারি।
আইফোন ১৬ প্লাস-এর ব্যাটারি হবে ৪ হাজার ৬ এমএএইচ (মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ার)-এর, যা আইফোন ১৫ প্লাস-এর ব্যাটারির তুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ছোট (৪ হাজার ৩৮৩ এমএএইচ)।
অবশ্য আইফোন ১৬-এর ব্যাটারি (৩ হাজার ৫৬১ এমএএইচ) আইফোন ১৫-এর ব্যাটারির (৩ হাজার ৩৪৯ এমএএইচ) তুলনায় প্রায় প্রায় ৬ শতাংশ বড় হতে পারে।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
উপরন্তু, নতুন সংস্করণে তারযুক্ত চার্জিংয়ের জন্য চার্জিং গতি সীমাবদ্ধ থাকবে ২০ ওয়াট থেকে ৪০ ওয়াটের মধ্যে। সেখানে তারবিহীন চার্জিংয়ের গতি ১৫ ওয়াট থেকে সর্বোচ্চ ২০ ওয়াট পর্যন্ত উঠতে পারে।
শেষাংশ
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে দুর্দান্ত কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে আইফোনে, যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যণীয় হচ্ছে এর আকার। তিন প্রজন্ম পর বর্ধিত স্ক্রিন নিয়ে এবারের সংস্করণটি হতে পারে অ্যাপলের সব থেকে বড় ফোন। ক্যামেরা বাম্প যথেষ্ট ছোট হয়ে আসায় নতুন করে এর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে নিয়মিত গ্রাহকদের। কেননা একটানা সাত প্রজন্ম পর প্রথমবারের মতো ফ্ল্যাশের জায়গা ক্যামেরা বাম্পের বাইরে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত ফোনের যথেষ্ট বিকল্প থাকায় আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরার আপগ্রেডেশনটা মোবাইল ফটো উৎসাহীদের খুব একটা চমকে দেবে না। তবে অ্যাপেল এআইয়ের সংযোজনটি নিশ্চিতভাবে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে স্মার্টফোন ব্যবহারে।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
৪ মাস আগে