বৈদেশিক-সম্পর্ক
মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে তারা সফর সম্পর্কিত বিষয়, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকে আলোচিত মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতায় কোনো অজুহাত নয়, দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ পর্যন্ত গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি তাকে আরও জানান, ছয়টি বড় সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা দেশের অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
৪ ঘণ্টা আগে
কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
নভেম্বরে আজারবাইজানের রাজধানীতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে কপ-২৯ সম্মেলন। জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করতে ৩২ হাজার মানুষের সমাবেশ হতে যাচ্ছে এই সম্মেলনে। জলবায়ু নিয়ে এই মহা আয়োজনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, সবকিছু চূড়ান্ত হলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার বাকু যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ১১ থেকে ২২ নভেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসতে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) ২৯তম আসর।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করার জন্য কপ২৯ সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি দমনে ডিজিটাইজেশনকে গুরুত্ব দিতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
রেকর্ড ছাড়ানো বৈশ্বিক তাপমাত্রা, চরম আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এসব সমস্যার সুনির্দিষ্ট সমাধানের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে কপ২৯ বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের নেতাদের একত্রিত করবে।
জাতিসংঘের মতে, কপ২৯-এর মূল লক্ষ্য হবে অর্থায়ন, কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষায় দেশগুলোর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
প্যারিস চুক্তির অধীনে দেশগুলোর হালনাগাদ জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে দ্বিগুণ করবে।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেনলি মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে বাকুতে আসন্ন কপ-২৯ শীর্ষ সম্মেলন, জ্বালানি, বাণিজ্য, ব্যবসায়িক সহযোগিতা এবং দুই দেশের মধ্যে একটি পরিকল্পিত বিমান পরিষেবা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত হুসেনলি দুই দেশের মধ্যে গভীর বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাকু 'নতুন সুযোগ' এবং আরও ব্যবসার জন্য দরজা খোলার উপায় খুঁজছে।
তিনি আরও বলেন, গত জুনে বাকুতে দুই দেশের ফরেন অফিস কনসালটেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান চলাচল চুক্তি করতে চায় বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানকে 'ভালো বন্ধু' হিসেবে অভিহিত করে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে ড. ইউনূস আজারবাইজানের জনগণ, এর নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
২০ ঘণ্টা আগে
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫৭ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিক।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
ফিরে আসাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা।
লিবিয়ার মিসরাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ১৫৭ জন আটকে পড়া অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী, লিবিয়া ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
ফিরে আসা বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যায় এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য এবং সবাইকে সচেতন করার জন্য আহ্বান জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
আইওএমের পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে ফেরা প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার, চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে একসঙ্গে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলী ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি
২৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া ও আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) নিযুক্ত তিন রাষ্ট্রদূতের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) তাদের নিয়োগ (বাকি মেয়াদ) বাতিল করে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
যাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে- রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর।
নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পর বিদেশের এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে নতুন রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূত হলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী
১ দিন আগে
রাষ্ট্রদূত হলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যোগদানের দিন থেকে তিন বছরের জন্য কোনো পেশা, ব্যবসা, সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার শর্তে আনসারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে তিনি কোন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করবেন তা এখনো জানা যায়নি।
প্রায় এক দশক নির্বাসিত জীবন শেষে গত ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে আসেন মুশফিকুল ফজল আনসারী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সহিংসতায় কোনো অজুহাত নয়, দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
তিনি ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করার জন্য সুপরিচিত আনসারী।
তিনি ওয়াশিংটনভিত্তিক ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারস্পেকটিভসের (এসএপি) নির্বাহী সম্পাদক।
তিনি জাস্টনিউজবিডিতে সম্পাদক ও হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘ, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগন কাভার করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক ৫০১(সি)(৩) অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রাইট টু ফ্রিডম- আরটুএফ’র নির্বাহী পরিচালক। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের স্থায়ী সংবাদদাতা।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব (২০০১-২০০৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলা ভাষার প্রাচীনতম দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সংবাদদাতা।
আনসারী এনটিভিতে হ্যালো এক্সেলেন্সি শিরোনামে একটি জনপ্রিয় টিভি শো সঞ্চালনা করেছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০ জন রাষ্ট্রদূত ও বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘নদীর সঙ্গে বসবাস’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
১ দিন আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরঞ্জাম সহায়তা
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) বিভাগের কাছে পানি থেকে দ্রুত উদ্ধার এবং বিপজ্জনক পদার্থ থেকে (এইচএজেডএমএটি) সুরক্ষা সরঞ্জাম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্যাসিফিক অগমেন্টেশন টিম (পিএটি)।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্যাসিফিক অগমেন্টেশন টিম প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বাড়াতে ৮টি নৌকা, ১১০টি লাইফ ভেস্ট এবং অন্যান্য জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলের মানুষের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন
এছাড়াও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক পদার্থ উপস্থিত থাকতে পারে এমন জরুরি পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় প্রথম সারির কর্মীদের ১২০টি ডিসপোজেবল কভারঅল এবং ১০০টি মেডিকেল ব্যাগ দিয়েছেন।
এই অনুদান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্ষমতা বাড়াবে। ফলে জরুরি অবস্থায় দেশজুড়ে রক্ষা পাবে অসংখ্য জীবন।
পিএটি ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিগত ৫ বছর ধরে কাজ করছে। এর আগে তারা বহু মেডিকেল ফার্স্ট রেসপন্ডার সেমিনার এবং অন্যান্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। পিএটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সহনশীলতা তৈরি এবং বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মেগান বোলডিন বলেন, ‘এই অনুদান আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্ব এবং দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ও জীবন রক্ষার প্রতি আমাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- এফএসসিডির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
২ দিন আগে
হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘নদীর সঙ্গে বসবাস’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বন্যার ক্রমবর্ধমান পুনরাবৃত্তি ও তীব্রতা ব্যাপক হারে বাস্তুচ্যুতি, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে বলে এক আলোচনা সভায় বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং পানি শাসন প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, এসব সমস্যা সমাধানে এবং পানি ব্যবস্থাপনাকে স্থিতিস্থাপকতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের বাহনে পরিণত করতে উদ্ভাবনী ও সহযোগিতামূলক পন্থা অবলম্বন করা জরুরি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডসের হেগে 'পানি ও বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস।
নেদারল্যান্ডসে কর্মরত বাংলাদেশি পানি বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত, ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পানি বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন।
বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে পানি ও বন্যার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুযোগকে কাজে লাগাতে উদ্ভাবনী সমাধান অন্বেষণ করেন।
পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. রুকনুল ফেরদৌস বলেন, বন্যার ঝুঁকি প্রশমনে বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) বন্যা মৌসুমে প্রতিদিনের পূর্বাভাস দিয়ে থাকে, এসব তথ্য প্রচারে বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাঁক রয়েছে।
বর্ধিত প্রচার কৌশল, সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং ঝুঁকির স্পষ্ট যোগাযোগের মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাসকে আরও কার্যকর করতে হবে।
ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির পিএইচডি গবেষক কিফায়াত চৌধুরী জোর দিয়ে বলেন, প্রশমনের জন্য সরকারি সংস্থা, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং কমিউনিটি নেতারাসহ বিভিন্ন খাতে আন্তঃশৃঙ্খলা সহযোগিতা প্রয়োজন। অংশীজনদের মধ্যে আরও ভাল সমন্বয় আরও স্থিতিস্থাপক বন্যা সুরক্ষা ব্যবস্থার নকশা এবং বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিতে পারে।
টিইউ ডেলফটের পিএইচডি প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদী হাসান বলেন, আমরা বন্যার ঝুঁকিকে অর্থনৈতিক সুযোগে পরিণত করতে পারি। বন্যাকে পুরোপুরি ধ্বংসাত্মক হিসাবে দেখার পরিবর্তে, টেকসই বন্যা ব্যবস্থাপনা কৌশলগুলো স্থানীয় অর্থনীতিকে উন্নত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধিকে উন্নীত করতে পারে।
তিনি একই সঙ্গে কৃষি, পর্যটন ও মৎস্য খাতকে সহায়তার পাশাপাশি পানি ধারণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের উন্নয়নে জলাভূমি ও সবুজ স্থানের মতো প্রাকৃতিক অবকাঠামো ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওয়াগেনিনজেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চের (ডব্লিউইউআর) গবেষক মো. ফিরোজ ইসলাম বলেন, জলবায়ুর এই পরিবর্তন পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত অংশীদার।
তিনি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর দ্বিতীয় পর্যায় এবং এর পরেও এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষজ্ঞরা এটাও বলেছেন যে, আমরা নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারি না, তবে আমরা আমাদের নদীগুলো পরিচালনা করতে পারি। এখানে, পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় জ্ঞান এবং সম্প্রদায়ের লোকদের একীভূত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইএইচই ডেলফটের ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস জেভেনবার্গেন বলেন, বাংলাদেশ খুবই গতিশীল ব-দ্বীপ। এর গতিশীল পরিকল্পনারও প্রয়োজন রয়েছে।
তবে বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বড় বড় প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই ঠিকমতো কাজ করছে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় মতো নতুন সমাধান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। বাংলাদেশে অনেক পানি বিশেষজ্ঞ আছেন যারা টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরিতে অবদান রাখতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৪ দিন আগে
যাচাই না করা পর্যন্ত বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের কাজের অনুমতি স্থগিত করেছে ইতালি
ইতালি সরকার বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের দেওয়া সব ধরনের 'নুলা ওস্তা'র (কাজের অনুমোদন) বৈধতা যথাযথ যাচাইকরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে।
ঢাকার ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, অনেক বেশি পরিমাণে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র জমা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১১ অক্টোবর জারি করা নতুন আইন অনুসারে,ইতালির প্রাদেশিক অভিবাসন অফিস (‘স্পোর্টেলো ইউনিকো’- এসইউআই) থেকে স্থগিত নুলা ওস্তার যাচাইকরণ সম্পন্ন হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরেই কাজের ভিসা দেবে দূতাবাস।
উপরে উল্লিখিত যাচাইয়ের জন্য মূলতবি থাকা আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে বলে ভিসার জন্য আবেদনকারী এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রার্থীদের জানিয়েছে ইতালি দূতাবাস।
রবিবার (২০ অক্টোবর) থেকে পর্যায়ক্রমে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।
দূতাবাস, প্রত্যেক আবেদনকারীকে ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে একটি এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে যে তিনি কখন পাসপোর্ট ফেরত নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দূতাবাস নুলা ওস্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদেরকে পাসপোর্টটি ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে জমা দিয়ে ভিসা নিতে তাদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করবে।
কাজের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রার্থী যাদের নুলা ওস্তা নিশ্চিতকরণ পেয়েছে তাদের আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে।
অতএব, অ্যাপয়নমেন্টগুলো (ইতোমধ্যে নির্ধারিতসহ) আর প্রয়োজন নেই এবং বর্তমানে আর দেওয়া হবে না।
ই-মেইল [email protected] সক্রিয় রয়েছে।
নতুন ইস্যু করা কাজ নুলা ওস্তাপ্রাপ্তদের তাদের যোগাযোগের জন্য এই ঠিকানায় লিখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আবেদনকারী, নিয়োগকর্তা এবং আইনজীবীদের তাদের কাজের যাচাইকরণ সম্পর্কিত দূতাবাস বা ভিএফএস গ্লোবালকে ই-মেইল পাঠানো এড়াতে বলা হয়, কারণ আপেক্ষিক প্রক্রিয়াটি ইতালিতে তৈরি করা হয়।
নুলা ওস্তাধারীরা তাদের নুলা ওস্তার যাচাইকরণ স্থিতির হালনাগাদের জন্য ইতালিতে তাদের সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইতে পারেন।
ইতালির প্রাদেশিক অভিবাসন অফিস ‘স্পোর্টেলো ইউনিকো’ - এসইউআই দ্বারা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাজের ভিসা (নুলা ওস্তার) মেয়াদ শেষ হবে না।
অন্যান্য ধরনের ভিসা (যেমন পরিবার, পড়াশোনা, ব্যবসা এবং পর্যটন) প্রক্রিয়াকরণ অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সাপেক্ষে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এইমাত্র এটা জানতে পেরেছি। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, তাদের হাতে এক মাস সময় আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
৫ দিন আগে
বাংলাদেশে সহিংসতায় কোনো অজুহাত নয়, দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় কোনো অজুহাত চলবে না। সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে হোক বা প্রতিবাদকারীদের দ্বারা সংঘটিত হোক, সহিংসতার কোনো অজুহাত গ্রাহ্য করা হবে না। একই সঙ্গে যারা সহিংসতার জন্য দায়ী তাদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
বুধবার (১৬ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই সাংবাদিক দাবি করেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, ৫ আগস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পরও যারা হামলা চালিয়েছে তাদের দায়মুক্তি দিয়ে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেলেন সেনাপ্রধান
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত জুলাইয়ের বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনাগুলোয় কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফৌজদারি অপরাধের জন্য দায়মুক্তির কোনো সুযোগ নেই। 'এখন যে প্রচেষ্টা চলছে তার সবই অবৈধ।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার নতুন যাত্রা শুরু হয়। ছাত্র ও জনগণ এটিকে সফল করার জন্য আন্দোলনের ভিত্তিতে সক্রিয়ভাবে এর জন্য কাজ করেছে; ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চলা গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।’
সাম্প্রতিক দুর্গাপূজার সময় মণ্ডপে গাওয়া একটি ইসলামিক গান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশসহ সব দেশেই ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, 'ওই নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার মন্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করে আপনাদের কাছে এর উত্তর দেব।’
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার ও চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধারের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা
৫ দিন আগে