এদিকে, সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলেও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দু’টি মেশিনের মধ্যে একটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যশোর জেলা। জেলায় মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন, অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়াসহ মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলে নভেম্বরের শুরু থেকেই শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হলেও খুলনা বিভাগে মার্চের শেষদিক থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকল অফিস-আদালত বন্ধ এবং ২৪ নং ওয়ার্ডে লকডাউন করা হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালকে বেছে নেয়া এবং বিভাগের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মার্চের মাঝামাঝি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় এক লাখ ২২ হাজার ৬২৪ জনের পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৪ হাজার ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ৪২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে খুলনা জেলায় ১০৮ জন, কুষ্টিয়ায় ৮২ জন, যশোরে ৫০ জন, ঝিনাইদহে ৩৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩১ জন, বাগেরহাটে ২৬ জন, নড়াইলে ২০ জন, মেহেরপুরে ১৫ জন এবং মাগুরা জেলায় ১৩ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. ফেরদৌসী বেগম জানান, বিভাগের আটটি জেলায় গত ২৯ নভেম্বর ১৮ জন এবং ৩০ নভেম্বর ৫৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ জনই যশোরের অধিবাসী।
ডা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থপনের কাজ চলছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেলের দু’টি মেশিনের মধ্যে একটি অকেজো থাকায় বিদেশগামীদের রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুল ইসলাম জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে জেনারেল হাসপাতালে ৪২ শয্যা, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ৩১ শয্যা, আদ-দ্বীন, গাজী ও সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি করে, নূর নগর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ১০০ শয্যা ও ৯ উপজেলায় ৪৫টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনোক্রমেই যেন রোগী ফেরত না যায় সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।