শনিবার সকালে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার অভিযান চালিয়ে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার আশুলিয়া, সাভার, ধামরাইসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল সেটসহ মোট তিন লাখ ৭৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকার ধামরাই উপজেলার ছোট ভাকুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা ওরফে মাসুদ রানা (২৭), কেরাণীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের আ. সামাদের ছেলে আবু সাঈদ (২৭), পিরোজপুরের সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের হামেদ শেখের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৬) এবং আব্দুল আওয়াল শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক মিয়া (২৭), ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের মাহবুব মৃধার ছেলে মো. মিরাজ (৩৪) এবং পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার কাজিরহাট গ্রামের আইয়ুব আলী ইকুর ছেলে মামুন ওরফে জুলমত (৫৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আটক ব্যক্তিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা ঢাকার আশুলিয়াসহ আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে এবং বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে সেখানে থেকে চলে যায়। সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,অপারেশন) মতিয়ার রহমান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবুল কালামকে নিয়ে তিনি মোবাইল ট্র্যাকিং করে সোহেল রানা ওরফে মাসুদ রানাকে আটক করেন। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্যদের আটক ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকী।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি খলিলাবাদ চরপাড়া গ্রামে সৌদী প্রবাসী ওয়াসিম মিয়ার বাড়িতে ডাকাতিকালে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রবাসী ওয়াসম মিয়ার স্ত্রী রাহেলা বেগম, তার বোন জুলেখা বেগম. মা ছাহেরা খাতুন, বোনের ছেলে মোস্তফা গুরুতর আহত হন। এ সময় ডাকাতরা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।