ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সিভিল সার্জন ডা. নূর নেওয়াজ আহমেদ জানান, ঠাকুরগাঁও সদরে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, পীরগঞ্জে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন, রাণীশংকৈলে ৯ জনের মধ্যে ছয়জনের, বালিডাঙ্গীতে তিনজনের মধ্যে দুইজনের ও হরিপুরে চারজনের মধ্যে দুইজন মিলে জেলার মোট ১০৩ জনের মধ্যে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই বছর জেলায় আটহাজার ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৪৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ওই বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৯ জন। ২০২১ সালে ছয়হাজার ২২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২১৩ জন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাতহাজার ৭০৫। করোনায় মোট মারা যান ২৪২ জন। জেলায় এপর্যন্ত ৭৯৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৭৪৬৯ জন। মোট মারা গেছেন ২৪২ জন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ!
চলতি জানুয়ারি মাসে ২০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে কেউ মারা যান নি।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলেও ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের মধ্যে চরম উদাসীনতা দেখা গেছে। বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। অল্প কয়েকজন মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যবহার করছেন না।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন নূর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। মানুষের মধ্যে রয়েছে উদাসীনতা। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ঠেকানো সম্ভব হবেনা।