শনিবার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার দিনে দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া এজি মডেল একাডেমি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুয়ারিয়া এজি মডেল একাডেমীর অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আবু সেলিম ভূইয়াকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কেন্দ্রের একাধিক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, শনিবার বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার জন্য বোর্ড থেকে উপজেলা প্রশাসন ৪ নং সেটের (গাঁদা) রচনামূলক প্রশ্ন কেন্দ্রে বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়।কিন্তু প্রশ্নের প্যাকেটে ৪ নং সেট না থাকায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে প্রায় ৪০ মিনিট পর বিতরণ করেন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এ খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা কেন্দ্রের মূল ফটকে জড়ো হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে অভিভাবকরা শান্ত হন।
কেন্দ্র সচিব মো. আবু সেলিম ভূইয়া জানান, সকালে প্রশ্ন আনতে গিয়ে আমাদের কেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেটে প্রশ্ন কম মনে হলে বিষয়টি উপজেলা মাধ্যামিক কর্মকর্তাকে জানাই। তখন তিনি কেন্দ্রে এসে প্যাকেট খুলতে বলেন। কেন্দ্রে এসে প্যাকেট খুলে দেখতে পাই, প্রশ্নের যে ৪ নং সেটে সৃজনশীল পরীক্ষা নেয়ার কথা, সেই সেট আমাদের প্যাকেটে নাই। ততক্ষনে পরীক্ষার্থীরা ৩০ মিনিটের ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি অভীক্ষা শেষ করে নেয়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সৃজনশীলের (রচনামুলক) প্রশ্ন সংগ্রহ করে দিলে বিলম্বে পরীক্ষা শুরু করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ জন্য তাদের অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও রবীন্দ্র চাকমা বলেন,ইতিমধ্যে কেন্দ্র সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিকালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. রুহুল আমিন মুঠো ফোনে জানান, কোন সেটে পরীক্ষা হবে সেই বার্তা আমরা বোর্ড থেকে প্রথমে জেলা প্রশাসককে জানানোর পরে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সর্বশেষ কেন্দ্র সচিব পর্যন্ত পৌছে।
পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি দাবি করে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিন্তু কার ভুলে কিংবা অবহেলায় কেন্দ্রে নেয়া প্যাকেটে নির্ধারিত সেটের প্রশ্ন ছিল না, তা তদন্ত করতে বোর্ড থেকে একটি তদন্ত টিম দেবিদ্বারে গিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’