বৃহস্পতিবার ছিল এ মামলার ধার্য্য তারিখ। এমপি রানার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে তৃতীয় দফায় জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে হাজির করে তাকে এই জেরা করা হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে এনে টাঙ্গাইলের আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তাকে ২৫ মিনিট জেরা করেন। তখন আসামিপক্ষ থেকে তাদের সিনিয়র আইনজীবী অসুস্থ মর্মে জেরার জন্য আদালতে সময়ের আবেদন করা হলে বিচারক মাকসুদা খানম তা মঞ্জুর করেন।
একইসাথে এমপি রানার অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করার জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন বিচারক।
এরপর দুপুর পৌনে ১২টায় এমপি রানাকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এ মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে মুরাদ সিদ্দিকী ও আলী ইমাম তপনসহ আট আসামি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির ছিলেন।
বাকীদের জন্য তাদের আইনজীবীরা আদালতে সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ার নিজ বাসার সামনে আমিনুর রহমান খান বাপ্পীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় বাপ্পীর বন্ধু মতিনকেও একইভাবে হত্যা কর হয়। ঘটনার দুদিন পর ২৩ নভেম্বর বাপ্পীর বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।