আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আরও জোরালো চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজেদের নিরাপদবোধ করেন, পুলিশকে এমন ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, পরাজিত শক্তি তাদের অপচেষ্টা ততই জোরদার করছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে পুলিশ বাহিনীকে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন সব প্রপাগান্ডা নিয়েও পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পুলিশের সহায়তা ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের নির্দেশনা দেন।
বিশেষ এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
২ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত: আইজিপি
শিল্পখাত অস্থিরতাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত, তাদের প্রতিহত করতে পুলিশি কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। বাহারুল আলম বলেন, ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এখানে যাদের মধ্যে আঘাত লেগেছে বা সংক্ষুব্ধ, তারা চাইছেন যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়, প্রশাসন ব্যর্থ হয়। কিন্তু তাদের প্রতিহত করাই আমাদের কাজ।’
আরও পড়ুন: সাবেক আইনমন্ত্রী ও সাবেক আইজিপির রিমান্ড মঞ্জুর
ঈদযাত্রায় বিপুল সংখ্যক মানুষ শহর ছাড়েন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের সম্পত্তি, বাসা বাড়িতে চুরি, ছিনতাই রোধের জন্য সারা দেশে বিশেষ নজরদারি থাকবে। তারপরও প্রত্যেকে বাড়িঘর তালা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন।’
আইজিপি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের কোনো রাজনৈতিক আনুগত্য নেই। আমি বিএনপি, আওয়ামী লীগ বুঝি না, ৫ আগস্টের আগে রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য পুলিশ কলঙ্কিত হয়েছে। এটা করে পুলিশ মানুষের বিরুদ্ধে গেছে। কিছু লোকের উচ্চাভিলাষ, অন্ধ ও অন্যায় আনুগত্যের জন্য এটা হয়েছে। তাদের ভুলের জন্য কাজ করতে গিয়ে পুলিশকে মরতে হয়েছে। এটা যে অর্ডার করেছে তার দায়ভার, তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’
৬ দিন আগে
পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা মহানগর এলাকায় জননিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে চলমান পুলিশের টহল কার্যক্রম আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে স্থাপিত পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত চেকপোস্ট/তল্লাশিচৌকির কার্যক্রম ও কয়েকটি থানা ঘুরে দেখেন তিনি।
এদিন উপদেষ্টা তার বারিধারাস্থ ডিওএইচএস’র বাসা থেকে বের হয়ে বনানী মোড়, বিজয় সরণি (নভোথিয়েটার), মানিক মিয়া এভিনিউ, কলাবাগান, ইডেন কলেজ হয়ে নিউমার্কেট থানা পরিদর্শন করেন। পরে নিউমার্কেট থানা থেকে শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, মগবাজার, হাতিরঝিল, পুলিশ প্লাজা হয়ে গুলশান থানা ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরিদর্শন শেষে গুলশান থানা থেকে ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে বারিধারার বাসায় ফেরত আসেন তিনি। পথিমধ্যে তিনি আশপাশের কিছু অলিগলিও ঘুরে দেখেন উপদেষ্টা।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানা ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
তিনি রাজধানীসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকারও নির্দেশনা দেন।
২১ দিন আগে
দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে: প্রেস সচিব
ঢাকাসহ দেশের যে সকল জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে সেসকল জায়গায় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই টহল বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে, এসব জায়গায় টহল বাড়াবো। এই টহল আজকে সন্ধ্যা থেকে আপনারা দেখবেন। পুরো ঢাকা শহরেই দেখবেন।’
প্রেস সচিব বলেন, 'এজন্য যে জিনিসটা করা হচ্ছে, যৌথ টহল হবে। পুলিশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ টহল হবে। জায়গায় জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। তল্লাশির ব্যবস্থা করা হবে।'
গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টিলিজেন্স উইং, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি— তারা তাদের মতো করে নজরদারি করবেন। সেই অনুযায়ী আমরা অ্যাকশনে যাব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কেনা হবে মোটরসাইকেল
শফিকুল আলম বলেন, ঢাকা যানজট প্রবণ এলাকা। কোথাও কিছু ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে যেতে যেতে অনেক সময় দেরি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রচুর মোটরসাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত মোটরসাইকেলগুলো কেনা হবে। যাতে দুজনে খুব দ্রুত মোটরসাইকেল করে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পেলেন প্রেস সচিব শফিকুল
প্রেস সচিব আরও বলেন, পুলিশের ক্ষেত্রে আপাতত ১০০ মোটরসাইকেল কেনা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ১০০টি কেনা হবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—যারা আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত, তাদের জন্য আরও ৫০টি করে মোটরসাইকেল নেওয়া হবে।
সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা এমন প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বলেই আজকের মিটিংটা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে এজেন্সিগুলো কাজ করে— তারা সবাই এখানে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অসহযোগিতা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব উন্নতি করা। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। আমরা এই কাজটি সুচারুভাবে করতে চাই। 'আমরা আশা করছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি খুব দ্রুত দেখবেন।'
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কক্সবাজারের এসপি এবং যে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো রয়েছে তাদের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে, তারা রিপোর্টটা দিলে আপনারা জানবেন।'
২৩ দিন আগে
আপনারা সন্ধ্যার পর থেকেই টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘জানমালের নিরাপত্তায় আজ রাত থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কম্বাইন্ড পেট্রোল শুরু হচ্ছে।’ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার আজ রাত থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম টের পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্যাটিসফ্যাক্টরি (সন্তোষজনক)। তবে এটার উন্নতি করার অবকাশ রয়ে গেছে। আগে কী হতো, যেমন বনশ্রীর ঘটনাটি জানতে জানতে দুদিন সময় লেগে যেতো, এখন সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জেনে যায়।’
তিনি বলেন, ‘ছোটখাট ঘটনা সবসময় আগেও ঘটেছে, দুই একদিন আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে যেন আর না-ঘটে এজন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই না এ ধরনের একটি ঘটনাও ঘটুক।’
আরও পড়ুন: যেভাবেই হোক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কী নির্দেশনা দিয়েছেন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে রাতেই আপনারা দেখবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকটিভিটিস অনেক বেড়ে গেছে।
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে, মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করতে চান- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে আশ্বস্ত করার জন্যই তো আজকে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং করলাম। তাদের একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছি, তারা যেন সন্ধ্যার পর থেকেই কাজ শুরু করে। আপনারা এটি সন্ধ্যার পর থেকেই টের পাবেন।’
২৩ দিন আগে
আজ থেকে গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুরসহ সারা দেশে আজ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে যৌথ বাহিনী। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে সহিংস ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির
সভাসূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হবে। আজ শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু হবে।
এ বিষয়ে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে গাজীপুরে মারধরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
৩৯ দিন আগে
সিলেটে ৩০ অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ
পরিবেশ সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় অবৈধ স্টোন ক্রাশিং (পাথর ভাঙার) মেশিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযানের প্রথমদিন মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে অবৈধভাবে পরিচালিত ৩০টি স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, ‘অভিযানের সময় অবৈধ ৩০টি স্টোন ক্রাশিং মেশিন উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি মেশিনগুলো ব্যবসায়ীরা সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে না সরালে আমরা ফের অভিযান পরিচালনা করব।’
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘যারা জায়গা ভাড়া দিয়ে অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপনে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা কাজ করতে চাই, তবে অনেক সময় মাববিক বিষয়ও সামনে আসে। এজন্য ব্যবসায়ীদের বাকি মিলগুলো সরিয়ে নিতে দুদিন সময় দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ধোপাগুল এলাকায় স্থাপিত স্টোন ক্রাশিং মেশিনের কারণে ওই এলাকার পরিবেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
এছাড়া, এর পাশেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এ এলাকায় স্থাপিত অধিকাংশ স্টোন ক্রাশিং মেশিনের কোনো লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। স্টোন ক্রাশিং মেশিন স্থাপন নীতিমালা, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) অনুসরণ না করেই অবৈধভাবে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিদর্শক মামুনুর রশীদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ, উত্তরগাছ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সিলেট জেলার অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিন অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
৯৮ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে সেনাবাহিনী: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ পরিদর্শনকালে সেনাপ্রধান চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দরবার নেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। পরে আর্মি মেডিকেল কলেজের একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ বৃক্ষরোপণ করেন।
এছাড়াও সব পদবির সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে 'অফিসার্স অ্যাড্রেস' গ্রহণ করেন তিনি।
সেনাপ্রধান তার বক্তব্যের শুরুতে শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের মৃত্যুতে মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, দেশের সেবায় তরুণ সাহসী এই সেনা কর্মকর্তার আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার জন্য গর্বিত।
এরপর দেশের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান বিভিন্ন গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে সততা, সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন সেনাপ্রধান।
পরে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি রিজিয়নের নানিয়ারচর জোন সদর পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা দেওয়াসহ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও তিনি পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রশাসনের পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া, সেনাসদরের চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, অ্যাডহক সিএসসিসহ সেনাসদর ও চট্টগ্রাম এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ও অন্যান্য পদবির সৈন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭৫ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যারা ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাঙ্গামাটির রিজিয়নের প্রান্তিক হলে বিগত দুই দিনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এইসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করব। আইনশৃঙ্খলা কোনো অবস্থায় অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে, তাদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না।’
আইনশৃঙ্খলা উন্নতির জন্য সব সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। পাহাড়ে যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেজন্য তিনি জনগণদের বোঝানোর জন্যও বলেন।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি চাই কিন্তু সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা যাতে পাহাড়কে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকে হবে।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সভায় পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমান, রাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
এদিকে, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসনের ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে। অপর দিকে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলমান। সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ও যানবাহনের ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটিতে সবকটি সড়ক ও নৌ পথে সব ধরনের যানবাহন ও নৌ পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরে এখনও পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। শহরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৭৯ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে দিনরাত পরিশ্রম করছি: প্রধান উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিনরাত পরিশ্রম করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরের বেদনা জানিয়ে তার প্রতিকার পেতে কিছু মানুষ প্রতিদিন ঘেরাও কর্মসূচি দিচ্ছেন। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দিলেও আবারও তাদের কর্মসূচি দিয়ে যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন। ব্যাঘাত সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।
ইউনূস বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ন্যায্য আবেদনের কথা ভুলে যাব না। আমরা সব অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের দায়িত্বকালে যথাসম্ভব সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প এসব এলাকায় শ্রমিক ভাইবোনেরা তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য ক্রমাগতভাবে এই শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছেন। এটা আমাদের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিপ্লবের পর যে অর্থনীতি আমরা পেয়েছি সেটা নিয়ম নীতিবিহীন দ্রুত ক্ষীয়মাণ একটা অর্থনীতি। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আমরা এই অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করছি।’
এই সময়ে আমাদের শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে, অকার্যকর হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট আঘাত পড়বে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইবোনদের দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের মূল জীবিকাই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে সেটা ঠিক হবে না। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেটা ঠিক হবে না। মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই বের করব।
শ্রমিকদের উদ্দেশে ইউনূস বলেন, আপনারা কারখানা খোলা রাখুন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখুন। দেশের অর্থনীতিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দিন। আমরা আপনাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করব। অর্থনীতির দুর্বল স্বাস্থ্যকে সবল করে তুলতে মালিক পক্ষকে শ্রমিকদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে কারখানা সচল রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ওষুধ শিল্প ও তৈরি পোশাক শিল্প দেশের গৗরব উল্লেখ করে এই দুই শিল্পকে তাদের সম্ভাব্য শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এই দুই শিল্পের কোথায় কোথায় বাধা আছে, সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করে তাকে বাধা মুক্ত করতে চাই। আমরা বিদেশি ক্রেতাদের একত্রিত করে তাদের সহযোগিতা চাইব যেন বাংলাদেশের এই শিল্প দুটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি আস্থাশীল হয়ে উঠতে পারে।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সরকারের প্রথম মাস কাটল। দ্বিতীয় মাস থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হিসেবে নতুন শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের সূচনা করতে চাই। এটা দেশের সবার কাম্য। দেশের নতুন প্রজন্ম নির্ভয়ে যেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে তুলতে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজে আমাদের হাত দিতে হবে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এরমধ্যে হত্যা মামলা ছাড়া বাকি প্রায় সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার সবাই মুক্তি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগের বড় সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। যোগ্যতম ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়াতে মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ, অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগসহ অনেকগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এবং অন্যান্য নিয়োগ সবকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্ত্রাস দমন আইন ও ডিজিটাল/সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব কালো আইন বাতিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন করা হবে। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ বহুল আলোচিত ৫টি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির জন্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
১৮৯ দিন আগে