মঙ্গলবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ তলবের আদেশ দেন।
প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আদালতে বাদী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এলজিইডি'র পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মন্টু কুমার মণ্ডল।
আদালতের আদেশের পর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১০ সালে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এলজিইডি'র ১০২ জন উপ সহকারী প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দিতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে ২০১২ সালের ৮ মে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে এলজিইডি আপিল করলে তা খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।
এরপর রায় বাস্তবায়ন না করায় ২০১২ সালের ১২ মে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১২ মে এবং ১৬ অক্টোবর পৃথক আদেশে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেন। কিন্তু এই আদেশও বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার বিষয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে প্রধান প্রকৌশলীকে তলব করে হাইকোর্ট।