ঘটনার পর থেকে দুলাভাই মুসা আলম (৪৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লার চর এলাকার জাবেদ আলমের ছেলে।
নিহত আশিকুর রহমান (১৮) স্থানীয় জোলারপাড় এলাকার আল আমিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- মুসা আলমের শাশুড়ি আসমা বেগম এবং তার স্ত্রী আঞ্জুমনোয়ারা বেগম। আশিক এবার পোড়াবাড়ি সাবেরিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের পোড়াবাড়ির র্যাব-১ ক্যাম্পের এএসআই আবু তালেব জানান, আঞ্জু স্থানীয় প্রীতি গ্রুপের সোয়েটার কারখানায় চাকরি করেন এবং স্বামী কাঁচামালের ব্যবসায়ী। আঞ্জু দক্ষিণ সালনা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বিয়ের পর থেকেই আঞ্জু-মুসার পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। প্রতিমাসেই মুসা তার স্ত্রীর বেতনের টাকা দিতে বলতো। কিন্তু স্ত্রী সবটাকা দিতে রাজি হত না। মঙ্গলবার এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আঞ্জুকে মুসা মারধর করলে তিনি তার মা-ভাইকে খবর দেন।
পরে আঞ্জুর মা আসমা ও তার ভাই আশিকুর ওই বাড়িতে যায়। পরে মারধরের কারণ জেনে আঞ্জুকে তার ভাই ও মা সঙ্গে করে তাদের বাড়ির দিকে রওনা হন। ফেরার পথে দক্ষিণ সালনা পূর্বপাড়া এলাকায় পৌঁছালে কিছু বুঝে ওঠার আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুসা পেছন থেকে আশিকের ঘাড়ে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়।
এসময় মা ও বোন এগিয়ে গেলে তাদেরও আঘাত করে মুসা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পরে গুরুতর অবস্থায় আশিককে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।