বুধবার ঢাকার ৪ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাভোগের আদেশ দেন আদালত।
মামলা দায়েরের সময় রফিকুল মোহামেদ জাতীয় গৃহায়ণ অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার ছিলেন।
একই মামলায় আদালত অপর দুই আসামি জাতীয় গৃহায়ণ অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোড়ল কফিল উদ্দিন ও নিম্নমান সহকারি আবদুল জলিলকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি আবুল হাসেম মোল্লা অসৎ উদ্দেশে তার আরও ওয়ারিশ থাকা সত্ত্বেও প্রকৃত তথ্য গোপন করে ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে প্রত্যায়ন পত্র, জাল অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট, জাল বরাদ্দপত্র সংগ্রহ ও আদালতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে হলফনামা সংগ্রহ ও তা পৃথকভাবে ব্যবহার করে নিজে ও পিতার নাম ভুল হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সরকারি প্লটের পুনঃবরাদ্দ নেন।
আসামিরা ব্যক্তিগতভাবে লাভবানের আশায় পরস্পর যোগসাজসে জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২০০৩ সালের ৩০ জুন রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের পরিদর্শক মো.রইসউদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
২০০৯ সালের ১৫ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক রেভা হলদার ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন এবং একই বছরের ২৬ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলায় ১০ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। অপরদিকে চার আসামির মধ্যে আবুল হাসেম মোল্লা মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।