তিমুর-লেস্তের প্রধানমন্ত্রী জানামা গুসমাও বলেছেন, বাংলাদেশ ও এর জনগণ তিমুর-লেস্তের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে।
পূর্ব তিমুরের জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব এবং ২০০২ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটিকে নেতৃত্ব দেওয়া জানামা গুসমাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখতে হবে কীভাবে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা এবং তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।’
মঙ্গলবার তিমুর-লেস্তের দিলিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানামা গুসমাওয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক সাফল্য নিছক একটি দুর্ঘটনা নয়, তার অঙ্গীকার এবং লক্ষ্যযুক্ত পদ্ধতির কারণে সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও গভীর হবে: উজবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিমুর-লেস্তের প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন, যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগের কথা উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিমুর-লেস্তের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং সংকট সমাধানে কিছু বাস্তব চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
তিমুর-লেস্তের প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তিমুর-লেস্তে সরকারি সফরকালে সোমবার তিমুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এলিয়া আন্তোনিও ডি আরাউজো ডস রেইস আমারালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
মন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তিমুর প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে কমিউনিটি ভিত্তিক সম্পৃক্ততার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত।
তিমুর-লেস্তের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজগুলোতে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার অন্যান্য বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রশংসা করেন আমারাল।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে দ. কোরিয়া উন্নত হয়েছে: রাষ্ট্রদূত পার্ক
মোমেন সোমবার তিমুর-লেস্তের কিংবদন্তি প্রেসিডেন্ট জে রামোস হোর্তার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় মোমেন প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তার ব্যক্তিগত সাহসিকতা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। হোর্তা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সফরকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনের স্মৃতিচারণ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট হোর্তার সমর্থন কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি হোর্তা বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি রামোস হোর্তাকে বাংলাদেশ সফরের এবং 'বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ' এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার