প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বাজেট বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আমরা তা করতে সক্ষম হব। আওয়ামী লীগ তা করতে পারবে।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন 'চিলাহাটি এক্সপ্রেস' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এই ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন উক্ত রুটে চলাচল করবে। আন্তঃনগর ট্রেনটির ধারণ ক্ষমতা ৮০০ জন যাত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চিলাহাটি রুটে আন্তঃনগর ট্রেন 'চিলাহাটি এক্সপ্রেস' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির শাসনামলে ২০০৬ সালে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তার সরকার গত ১ জুন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে।
বাজেটের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে ও বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তারা সবসময় সরকার যাই করুক না কেন সেখানে ‘কিন্তু’ (ত্রুটি) খুঁজে বের করে এবং সমালোচনা করে।
তিনি আরও বলেন, তারা জনগণকে হতাশ করতে ও বিদেশিদের সামনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য কিছু কথা ছড়ায়।
বাজেট উপস্থাপনের পর যারা প্রতিবার পর্যবেক্ষণ করেন যে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, তাদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা এটি করি এবং দেখাই যে তা সম্পন্ন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন চাপের মুখে প্রতিবাদী সুর প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা-চিলাহাটি রুটে আন্তঃনগর ট্রেন 'চিলাহাটি এক্সপ্রেস' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ জোরদার ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রবিবার ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে 'চিলাহাটি এক্সপ্রেস' নামে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন।
৮০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চিলাহাটি এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয় দিন ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
বর্তমানে ঢাকা-চিলাহাটি রুটে মালবাহী ট্রেন ও আন্তঃসীমান্ত ট্রেন 'মিতালী এক্সপ্রেস' চলাচল করে।
নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং গণভবন থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে সচিব মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন: ৫৬ বছর পর চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ
ঢাকা-আঙ্কারা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অঙ্গীকার এরদোয়ান ও শেখ হাসিনার
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তুরস্কের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই নেতা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একে অপরের সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলেন।
শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়লাভ করায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানান। নির্বাচনের এই পর্বে ভোটার উপস্থিতির হার ৮৬ শতাংশের বেশি ছিল।
তুরস্কের জনগণ যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে তার আত্মবিশ্বাস নির্বাচনের পর প্রমাণিত হওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটে লড়তে হতে পারে এরদোয়ান ও কিলিচদারুগ্লুকে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের মতো যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের জনগণ তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে দাঁড়াতে অবিচল থাকবে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তার বিজয়ে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ তুরস্কের জনগণের সঙ্গে মানসিকভাবে যুক্ত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ জন্য তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা এরদোয়ান ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে তুরস্কের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডেনের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডিশ বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিশ্বখ্যাত পোশাক কোম্পানি এইচঅ্যান্ডএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রেসিডেন্ট হেলেনা হেলমারসনের নেতৃত্বে একটি সুইডিশ প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে এবং এইচঅ্যান্ডএম-এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার অ্যাডাম কার্লসনও প্রতিনিধিদলে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক নীতি ও লক্ষ্যযুক্ত পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে রপ্তানি ঝুড়ি সম্প্রসারণ করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে হেলেনা হেলমারসন গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইডেনের বিশেষ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা এগিয়ে নিতে চায়।
এইচঅ্যান্ডএম-এর সিইও ও প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দেশে কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী সুইডিশ কোম্পানির প্রশংসা করেন, যেহেতু তারা মহামারির সময়েও তাদের অর্ডার বাতিল করেনি।
হেলেনা হেলমারসন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন এবং এ বিষয়ে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতায় তার সরকারের অর্জনও তুলে ধরেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ গত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনকারী তার দল আওয়ামী লীগকে সাফল্যের কৃতিত্ব দেন তিনি।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালে জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়ার পর তার সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আমরা দারিদ্র্যের হার ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, সাক্ষরতা ও আয়ু বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। সুতরাং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে জনগণের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ টেকসই পরিবেশ প্রয়োজন এবং তা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আ. লীগ সরকারের অধীনেই হবে: প্রধানমন্ত্রী
বৈশ্বিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার নিন্দা জানিয়ে তিনি ভারত ও মিয়ানমারের মতো সংলাপের মাধ্যমে সব বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন কেন এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা (চলছে), অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য যে অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে তা ক্ষুধার্ত শিশু ও মানুষের জন্য কেন ব্যবহার করা হবে না। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য সারা বিশ্বে হাজার হাজার শিশু ও নারী মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, যারা ১৯৭১ সালে নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালে বাঙালিদের গণহত্যার কথা স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক। কোনো ধরনের অস্থিরতা (পৃথিবীতে) থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের তাদের (স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি) বাধা অতিক্রম করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে কোনো ধরনের অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির দুই মন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেই নতুন ভিসা নীতি: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ কেন্দ্রিক নতুন ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন নীতি ঘোষণার পরপরই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে সাংবাদিকদের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নীতিটি এই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্য জারি করা হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেঁছে নিতে নির্বাচন করতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা সব জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
বার্তাটিতে প্রতিক্রিয়াসহ প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলীর একটি সেটও ছিল। যার মাধ্যমে এটি কিছু নির্দিষ্ট বিষয় স্পষ্ট করে, যা সম্ভবত মানুষের মনে উত্থাপিত হতে পারে।
শুরুতে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে যে তারা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনী গণতন্ত্রকে দুর্বল করার কারণ ব্যতীত এই নীতিটি অন্য কারও পক্ষে পরিচালিত হবে না।
দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়, ‘এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো শুধুমাত্রা তাদের ক্ষেত্রেই, যারা সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।’
এতে আরও আশ্বস্ত করা হয় যে যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের জানানো একটি সাধারণ অনুশীলন।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের 'নিবিড় সহযোগিতার' কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
আরও পড়ুন: মার্কিন সরকারের নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশ সরকার বিচলিত নয়: শাহরিয়ার আলম
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি মঙ্গলবার বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
দোহায় র্যাফেলস টাওয়ারের দ্বিপক্ষীয় সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন যে তারা (কাতার) বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায়।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ক্রয় করে। আমরা চাই আপনি এক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করুন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে: দোহায় কাতারের শিক্ষার্থীদের জানালেন প্রধানমন্ত্রী
জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বলেন, কাতার বাংলাদেশের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
ফিফা বিশ্বকাপ-২০২৩ এর পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা প্রসঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের সম্পদ ও বন্ধু এবং কাতার তাদের দেশে যতটা সম্ভব রাখবে।
পরে কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের বিষয়ে নতুন করে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি আলোচিত হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতার থেকে অধিক পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে দোহায় তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।
ফোরামটি ২৩-২৫ মে লুসাইল শহরের ফেয়ারমন্ট এবং র্যাফেলস হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে ফোরামে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সোমবার দোহায় পৌঁছান।
বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করাই এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য।
পরে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণ দেবেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ. আল-ফালিহ’র সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন এবং কাতার ইকোনমিক ফোরাম গালা ডিনারে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন
কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে সোমবার বিকালে দোহা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে কাতার ইকোনমিক ফোরাম-২০২৩-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে আজ (সোমবার) বিকালে দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বিকাল ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়) হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ২৩-২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য 'তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম: আ নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি' শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: ২৩-২৫ মে কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ইকোনমিক ফোরাম মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃস্থানীয় কণ্ঠস্বর, যা বৈশ্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নিবেদিত। বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করাই এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য।
শেখ হাসিনা ২৩ মে তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন, দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন এবং কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ. আল-ফালিহ’র সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন।
২৪ মে প্রধানমন্ত্রী ফোরামে যোগ দেবেন, আমিরি দিওয়ানে কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং আওসাজ একাডেমি (একটি বিশেষায়িত স্কুল) পরিদর্শন করবেন।
শেখ হাসিনা ২৫ মে সকালে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
সংযুক্ত আরব আমিরাত পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আলী আল হামুদি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মরণ করেন যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল দুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর উপসাগরীয় দেশ সফরের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে শেখ নাহিয়ান ১৯৮৪ সালে ঢাকা সফর করেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাটিকানের পোপের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
আগামী নভেম্বরে দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি সেখানে চাকরির জন্য যেতে ইচ্ছুকদের আরবি ভাষা শেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর ঢাকায় কনসুল্যার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল