বুধবার দুপুরে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আইরিন আক্তার ওই গ্রামটি লকডাউন করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যে যেখানে আছেন, সেখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ওই গ্রামের আলমগীর হোসেন ঢাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতালের ক্যাশিয়ার। গত সপ্তাহে ওই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সে মোতাবেক তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা রাতেই তার লাশ নিজ গ্রাম মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রামে নিয়ে আসেন এবং ভোররাতেই দাফন সম্পন্ন করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় ওই গ্রামে মানুষের মাঝে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং খবর পাওয়ার পর ওই বাড়িসহ আশপাশের ছয়টি বাড়ির ২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখাসহ পুরো বাইলজুরী গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক এম. এম ফেরদৌস বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির হিস্ট্রি নিয়েছে আইইডিসিআরের সদস্যরা। তাতে জানা গেছে, তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। এছাড়া তার হার্টের সমস্যা ছিল। আপাতত ধারণা করা হচ্ছে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।’
‘তবে ওই বাড়িতে যেহেতু তাদের বহু আত্মীয়স্বজনসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ এসেছে। তাতে ঝুঁকি এড়াতে ছয়টি বাড়ির ২৮জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ও পুরো গ্রামকে লকডাউন করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।