সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর কাতারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত বলে, ‘করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। এখন মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতাও তৈরি হয়েছে। সে সুযোগে এটা নিয়ে বাজারে কোনো ধরনের ব্যবসা হয় কিনা পেঁয়াজের মতো, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট ব্যবহার করতে হবে। কেউ যেন বেশি দাম না নিতে পারে। মজুদ না করতে পারে।’
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিদিনকার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে আদালত বলে, ‘আইইডিসিআর এর একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রেস ব্রিফিং করেন। ওনার বক্তব্য আরও ইতিবাচক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটা যেন কোনোভাবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না করে। কারণ মানুষ যথেষ্ট সচেতন।’
গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বিষয় প্রচারের কথা উল্লেখ করে আদালত বলে, ‘প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এমনভাবে সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে যেন মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়।’
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস নিয়ে যত ভুল ধারণা
দেশের মানুষ বিদেশে যাওয়া এবং দেশের নাগরিকসহ বিদেশিদের দেশে আগমনের বিষয়ে আদালত বলে, ‘আমাদের দেশের অনেক নাগরিক বিদেশে থাকেন। শ্রমিকরা বিভিন্ন দেশে যায়। তাদের সার্টিফিকেট দেয়ার দরকার হলে যেন সমস্যা না হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে। আর যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদের ক্ষেত্রেও সার্টিফিকেট আছে কিনা সেটা দেখতে হবে এয়ারপোর্টগুলোতে।’
আগামী ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।