তাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন নানা-নানি। তবে বাবার দাবি, তার মেয়ে মাদকাসক্ত ছিল। সে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ বুধবার সকালে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের নানা মীর সুজায়েত আলী জানান, প্রায় ১২ বছর আগে সুহানার বাবা-মায়ের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। তখন থেকে সুহানা তাদের সাথে থাকত। গত বছর এসএসসি পাস করার পর সে বাবা সালাউদ্দিন সুমনের কাছে চলে যায় এবং যশোর সরকারি সিটি কলেজে ভর্তি হয়।
‘আজ সকালে আমার নাতনি সুহানাকে ওর বাবা, দাদা ও দাদি ছুরি মেরে হত্যা করে লাশ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে,’ দাবি করেন সুজায়েত আলী।
নিহতের নানি শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার নাতনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
তবে বাবা সালাহউদ্দিন সুমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার মেয়ে নিয়মিত ফেনসিডিল ও ইয়াবা সেবন করত। তাকে বকাঝকা করা হয়েছিল। এ জন্য আজ সকালে সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নিজ ঘরের ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’
কোতয়ালি থানার এসআই শামিম আক্তার বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে জানা যাবে। তবে সুহানা যে মাদকসেবী ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নিহতের উরু ও হাতের বিভিন্ন জায়গা ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষতবিক্ষত করা ছিল বলেও জানান তিনি।