মঙ্গলবার স্নিগ্ধা সরকার দীপার উপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
রংপুর জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানান, ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর আদালতে বিচার শুরু হয় এবং মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রংপুর শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়ায় নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে রথিশের লাশ বালুচাপা দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব।
এর আগে দীপা ও তার স্কুলের সহকর্মী কামরুল ইসলামের তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দিতে গিয়ে রথীশকে ওই বছরের ২৯ মার্চ নগরীর তাজহাত বাসভবনে হত্যা করে মাটিচাপা দেন।
রথীশ যুদ্ধাপরাধ মামলার স্বাক্ষী ছিলেন বলে তার নিখোঁজ ও হত্যাকাণ্ডে প্রথমে সন্দেহের মূল কেন্দ্রে ছিল জামায়াত-শিবির এবং জঙ্গিগোষ্ঠী।
পরে দীপা ও তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করার পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রথীশের গুম করা লাশ উদ্ধার করা হয়।
দীপা ও কামরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য রথীশকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দুই আসামিই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে কামরুল গত ১০ নভেম্বর মারা যান। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানায় কারাকর্তৃপক্ষ।
আইনজীবী রথিশচন্দ্র ভৌমিক ছিলেন জাপানি নাগরিক হোশিও কুনি হত্যা মামলার বিশেষ পিপি, আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক।
রথিশ-দীপার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।