মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
নোটিশে বলা হয়, সরকারি চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা পেশাগত অসদাচরণ ও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। সেজন্য সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় অবশ্যই চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করতে হবে।
নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে অনুরোধ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
‘ডাক্তার ব্যক্তিগত চেম্বারে, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নোটিশে সংযুক্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় বাবুল হোসেন (৪০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি হৃদরোগ সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু ঘটনার সময় হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক ভবানী প্রসাদ রায় উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তার ব্যক্তিগত চেম্বার দক্ষিণ তেমুহানী এলাকায় ছিলেন। তার অনুপস্থিতির কারণেই রোগী মারা গেছে বলে অভিযোগ করে রোগীর স্বজনরা।
প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে আইনি নোটিশে বলা হয়, প্রতিবেদনে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে ওই রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এরকম পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক সাধারণ রোগী। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসা নিতে আসা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। তাই দেশের সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা এবং জীবনমান রক্ষায় এখনই চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করতে হবে।