নিখোঁজ আবুল বাশার কাহেরকে (২৪) শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত ৮টায় সিলেট নগরীর কদমতলী থেকে নিখোঁজ হন কাহের। কারা তাকে নিয়ে গিয়েছিল বা কোথায় ছিল অসুস্থ থাকায় এখনো এ বিষয়ে তার কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি।
এছাড়া বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর টিলাগড় থেকে ইমাদ উদ্দিস সুহিন (২৪) নামের অপর এক যুবক নিখোঁজ হন। তিনি ওই দিন মৌলভীবাজারের ভানুগাছ থেকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে সিলেটে অবস্থানরত এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। তার সাথে ফোনে কথা বলার ১০ মিনিট পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। সুহিন কমলগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মো: রমিজ মিয়ার পুত্র।
সুহিনের মামা হাফিজুর রহমান জানান, তারা র্যাব-৯ এর সদর দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তারা ছেলের সন্ধান দিতে পারেনি।
এদিকে, সুহিন নিখোঁজের ১২ ঘণ্টার মাথায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একই এলাকা থেকে সাজ্জাদ হোসেন নামের আরেক কলেজছাত্র নিখোঁজ হন। টিলাগড় শাপলাবাগ এলাকা থেকে পার্শ্ববর্তী এমসি কলেজে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তিনি।
সাজ্জাদ এমসি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের পশ্চিম নোয়াগাঁওয়ে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ আলীর পুত্র।
এই ঘটনায়ও শাহপরান থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
সাজ্জাদ আলীর বড় ভাই সুজাহিদ আলী জানান, তারা এখনো সাজ্জাদ আলীর সন্ধান পাননি।
শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেন তার থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত দুটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, পুলিশ নিখোঁজ যুবকদের সন্ধানে আন্তরিক রয়েছে।