সেই সঙ্গে জেলা পর্যায়ে সিসিইউ ও আইসিইউ স্থাপনের অগ্রগতি প্রতিবেদন ৫ মার্চের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবীর এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার নীতিমালা তৈরির বিষয়েও অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিবকে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এই অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে হাইকোর্ট তার আদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। তাই বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে আদালত পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ জুলাই বেসরকারি সকল হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফি, সেবার মূল্য তালিকা ও চিকিৎসা ফি নির্ধারণ ও আইন অনুসারে তা উন্মুক্ত স্থানে টানাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নিতে বলা হয়। পাশাপাশি ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুসারে এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, গত বছরের পহেলা আগস্ট উক্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটি গঠিত হলেও এসব বিষয়ে কোন অগ্রগতি হাইকোর্ট জানাতে পারেনি। এজন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেন।