২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআরওএ)। এছাড়া ভ্যাট ও ট্যাক্স জমা দেয়া ও রিটার্ন দেয়ার পদ্ধতি সহজ করারও দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্টে ১০ শতাংশ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নন রেস্তোরাঁয় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় সরকারের কাছে এসব দাবি জানান বিআরওএ’র মহাসচিব ইমরান হাসান।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীমের সভাপতিত্বে আলোচনায় এনবিআর সদস্য ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্স, বিআরওএ সভাপতি ওসমান গণিসহ ঊর্ধ্বতন কর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের রাজস্ব কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহজে যাতে রিটার্ন দেয়া যায় আমরা সে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি। এজন্য গত অর্থবছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন নেয়া শুরু করেছি এবং এ পর্যন্ত ৬৭ হাজার মানুষ অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ভ্যাট ও কর কমানো হচ্ছে এবং এনবিআরের লক্ষ্য কর নেট বাড়ানো।
‘আমরা বিশ্বাস করি কর নেট যত বাড়বে কর রেট ততই কমবে,’ বলেন তিনি
এসময় ইমরান হোসেন চার ও পাঁচতারা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ, বিদেশি খাবার বিক্রির ওপর ভ্যাট ১০ শতাংশ, কর্মজীবী, শ্রমজীবী, দিনমজুরদের জন্য নিম্ন ও মাঝারি মানের রেস্তোরাঁ (বাংলা খাবার) ও স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রে ভ্যাট সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ এবং ট্যাক্সের হার সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।
তিনি এ খাত থেকে শতভাগ ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করতে সব ধরনের হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ইএফডি মেশিন বসানোরও প্রস্তাব দেন।
বিআরওএ ছাড়াও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (তোয়াব), বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন আলোচনায় অংশ নেয়।