ভ্যাট
এনবিআর ২৩’ অর্থবছরে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ ১.২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯২ শতাংশ ভ্যাট আদায়ে বড় সাফল্য অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২৩’ অর্থবছরে এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বিভাগের সংগ্রহ ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই অর্থবছরে ১ দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে। ২২’ অর্থবছরে এই আয় ছিল ১ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) অর্থনীতিতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বার্ষিক কর্মক্ষমতা প্রতিবেদনে এই অর্জনকে 'ব্যতিক্রমী' বলে অভিহিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা অর্থ বিভাগ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২২ অর্থবছরের তুলনায় ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকা বেশি ভ্যাট সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অর্থবছরের শেষ মাস জুন মাসে এনবিআরের অর্জন উল্লেখযোগ্য।
জুন মাসে ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ১৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: টিআইএনধারীদের জন্য ন্যূনতম ২০০০ টাকা করের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান
সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সংগৃহীত ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব সংগ্রহের জন্য দায়ী সিগারেট। যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের অবস্থান। যা থেকে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সদস্য মইনুল খান ইউএনবিকে বলেন, অর্থবছরে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প থেকে ভ্যাট পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক কোম্পানি নিয়মিত এলসি খুলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে না পারায় স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারছে না।
এছাড়া ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যকে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ‘আমি মনে করি ভ্যাটের ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি একটি বড় অর্জন।’
আরও পড়ুন: রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব জরুরি: ডিসিসিআই সভাপতি
আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাট ও কর আদায়ের পরিধি আরও প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিনে 'জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বিষয়ে সমন্বয়ের কথা বলছি। এটাই সর্বোত্তম। আমরা চাই আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আপনারা এটি করুন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মুন্সি বলেন, ২০২৬ সালে শুল্কের চাপ থাকবে। আশা করা হচ্ছে, এলডিসি তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার পর এনবিআর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। ভ্যাট ও আয়করের পরিধি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর পরিধি অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে।
‘এখন আপনারা যদি আয়কর সংগ্রহ করতে যান তবে আপনারা মানুষের কাছে অপছন্দের হয়ে উঠবেন। কেউ ট্যাক্স দিতে চায় না; সেখানেও আপনাকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি স্মার্ট বাংলাদেশ দরকার। ডিজিটালের অবসান ঘটিয়ে স্মার্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনাদের কাজগুলো স্মার্ট হতে হবে। তাই আমি বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শুনেছি এবং বিভিন্ন ধরনের অটোমেশন আসছে। আমি খুব আশাবাদী; আপনাদের কাজ আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজস্ব-বান্ধব মানসিকতা গড়ে তুলতে আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের আয়োজন করছে এনবিআর। একই সঙ্গে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে এনবিআর প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করা হয়। রাজস্ব সম্মেলন ও নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের ওপর ৫% ভ্যাট কমানোর মেয়াদ বাড়ল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত
সরকার ভোজ্য তেলের ওপর হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে পূর্ববর্তী নোটিশের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পর এই মেয়াদ ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন লিটারে কমল ৫ টাকা, কার্যকর রবিবার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানির সময় সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এবং গত বছরের মার্চ মাসে উৎপাদন ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে।
ভোজ্যতেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যেই ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগস্টে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে আট হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। যার ফলে দেখা যায় বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আগস্টে এনবিআরের সংগ্রহ করা ভ্যাট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৯ কোটি টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: এনবিআর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে: চেয়ারম্যান
এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) মইনুল খান বলেন, ব্যয় কমানোর কারণে সরকারি ব্যয় কমেছে। তারপরও নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে।
সাধারণত বেসরকারি খাতের তুলনায় সরকারি ক্রয় থেকে বেশি ভ্যাট আদায় করা হয়। এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম বলেও জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ৪০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৩১৯ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রথম দুই মাসে আয়কর খাতে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা এবং শুল্ক খাতে ১৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে ৩০টি ছোট খাতে ভ্যাট আদায় হয়েছে চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি, রড-সিমেন্ট, হোটেল ও রেস্তোরাঁর মতো বেসরকারি খাত থেকে ১০ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
ভ্যাট সংগ্রহে ৩ লাখ মেশিন বসানো হবে
আগামী তিন বছরে ঢাকা মহানগরী ও এর আশেপাশের এলাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে তিন লাখ ভ্যাট সংগ্রহের মেশিন বসানো হবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড এই মেশিনগুলো সরবরাহ ও স্থাপনের কাজ করবে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সরকারের পক্ষে মূল্য সংযোজন কর(ভ্যাট) সংগ্রহের জন্য জেনেক্স ইনফোসিসকে বিক্রেতা হিসাবে নির্বাচিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল বারিক জানান, জেনেক্স ইনফোসিসকে একটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জেনেক্স বিভিন্ন ধরনের খুচরা দোকানে বৈদ্যুতিক কর সংগ্রহ যন্ত্র বা ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) এবং সেলস ডেটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) বা ভ্যাট সংগ্রহের মেশিন সরবরাহ ও স্থাপন করার তিনটি ভাগেরই চুক্তিতে জিতেছে।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট এনবিআরের এই সিদ্ধান্তে নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বারিক বলেন, বিক্রেতা তার নিজস্ব খরচে মেশিন সরবরাহ ও ইনস্টল করবে এবং বিনিময়ে সংগৃহীত অর্থের শূন্য দশমিক ৫২ থেকে শূন্য দশমিক ৫৩৮ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হিসাবে সরকারকে জমা দেয়ার সময় পাবে।
তিনি আরও বলেন, এটি পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে, সারাদেশে এতগুলো মেশিন পরিচালনা করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, সে কারণেই সার্ভিস আউটসোর্সিং করা হচ্ছে।
তবে দুই বছর আগে ইএফডি মেশিন বসানোর কাজ শুরু করা হলেও এর কার্যক্রমে তেমন গতি নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি রোধে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বড় শহরে ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) বসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন চেইন ও সুপার শপে ইএফডি বসানোর জন্য বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ইএফডি হলো ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ এবং এটি এনবিআর আমদানি করে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ব্যবহার করা হলে ভ্যাটের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনবিআরের প্রধান সার্ভারে স্থানান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন: আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এনবিআরের
এনবিআর সূত্র জানায়, এই ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির তথ্য গোপন করতে পারবেন না এবং প্রতিদিনের লেনদেনের প্রকৃত তথ্য এনবিআরের সার্ভারে স্থানান্তরিত হবে যা জালিয়াতি কমাতে সাহায্য করবে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে দুই বছর আগে ২০২০-২১ এর বাজেটে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস সিস্টেম চালু করা হয়।’
এরপর থেকে চার হাজার ৫৯৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ইএফডি মেশিন স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে মেশিন স্থাপনের পাশাপাশি প্রোগ্রামটি সচল রাখার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। এই পদক্ষেপের ফলে আশা করি ২০২৬ সালের মধ্যে ভ্যাট আদায় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।’
আরও পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
এবারের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আসবে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা যা মোট আদায়ের ৩৭ শতাংশ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়।
সব খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এই মেশিন সিস্টেমের আওতায় আনা হলে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে জানান তারা।
বাজেট ২০২২-২৩: ল্যাপটপ ও বিলাসবহুল মোটর গাড়ির দাম বাড়বে
দেশীয় কম্পিউটার প্রস্তুতকারকদের উৎসাহিত করতে ল্যাপটপ আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। এতে দেশীয় কম্পিউটার নির্মাতারা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব পণ্যের মোট কর হার এখন ৩১ শতাংশ করা হবে।’
বিশ্বব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ’- ব্র্যান্ড এর প্রচার করতে এবং দেশীয় উৎপাদন শিল্পের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য তিনি প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানিতে ছাড় প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব করেন।
তিনি সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করার সময় বলেন, এটি স্থানীয় নির্মাতাদের ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
দেশীয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং আইসিটি পণ্য প্রস্তুতকারকদের সুরক্ষার জন্য অর্থমন্ত্রী কম্পিউটার আনুষাঙ্গিক এবং আইসিটি শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ছাড়ের সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করেন।
তিনি হাই-টেক পার্কের জন্য বিদ্যমান এসআরওতে কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সরঞ্জাম উৎপাদনে ব্যবহৃত আরও কয়েকটি কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।
তিনি বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে, বিলাস দ্রব্যের আমদানি নিরুৎসাহিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতির পুনর্গঠনের জন্য বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে মোট কর প্রবণতা বাড়ানোর সুপারিশ করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: দাম বাড়বে মোবাইল ফোন সেটের
বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী
ভোজ্যতেলের আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১০ শতাংশ কমিয়ে পাঁচ শতাংশ ধার্য করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনটি তাৎক্ষণিক কার্যকর হয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি
এর আগে ১৪ মার্চ ভোজ্যতেলের উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সব ধরনের ভোজ্যতেলের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করেছে সরকার।
সোমবার এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, সোমবার থেকে এই কর ছাড় কার্যকর হবে এবং আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
তবে ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানালেও এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এর আগে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ভোজ্যতেলের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পরবর্তীতে তিনি বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, মটরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে।
এনবিআর সয়াবিন তেলের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে থাকে।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে সর্বনিম্ন করার নির্দেশ মন্ত্রিসভার
ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানির ওপর ভ্যাট ১০ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ কমানো হবে।
একই সঙ্গে ভোজ্যতেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান তিনি।
ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমাতে। সেটা যদি হয় তাহলে বর্তমানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে তেল আমদানি করা হয়। সেখান থেকে ১০ শতাংশ কমানো হলে ভ্যাট পাঁচ শতাংশ হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এবং ভোক্তা পর্যায়েও পাঁচ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। দাম কমবে কিনা ব্রাজিল বলতে পারবে, কারণ ৯০ শতাংশ তেল আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
আরও পড়ুন: এনবিআরকে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে সর্বনিম্ন করার নির্দেশ মন্ত্রিসভার
তিনি বলেন, ‘যার পাঁচ লিটার তেল দরকার সে ১০ লিটার কিনলে ঠেকাতে পারব না। রমজান উপলক্ষ্যে সবাই কিনতে শুরু করলে তো বাজারে ঘাটতি দেখা দেবেই। যতটুকু কেনা দরকার ততটুকুই কিনি। সবার রান্নাঘরে তো আমরা ঢুকতে পারব না। রমজান মাসের জন্য বেশি না কেনার অনুরোধ করছি’।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য মজুদ আছে। সেটা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে।কেউ কেউ মজুত করে রাখছে, সেটি বড় সমস্যা। টিসিবিও এক কোটি পরিবারকে পণ্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেই। এজন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছি যে রমজান মাস পর্যন্ত আপনারা জিনিসপত্রের দাম বাড়াবেন না’।
আরও পড়ুন: বৌভাতে ৫ লিটার সয়াবিন তেল উপহার!