এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে রবিবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফারুক খান বলেন, ‘দেশের জনগণ দেখেছে এবং আমরাও দেখেছি ও শুনেছি, দেশের একজন পলাতক, দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে স্কাইপে বা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছে। এটি নির্বাচনী আচরণবিধি এবং আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কোথাও প্রচার করা যাবে না।
ফারুক খান বলেন, দেশের মানুষ দেখেছে, গত দুই দিন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ বন্ধে কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাচন আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
ফারুক কান জানান, তাদের অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ইসি।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে তারা (বিএনপি) নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে।’ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়টি মিডিয়াতে এসেছে।
তারেক রহমান পলাতক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমান কোনো রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে না। তার কোনো বক্তব্য টেলিভিশন বা কোনো মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার বা টেলিকনফারেন্সিং না করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে।
‘একজন দণ্ডিত আসামির দ্বারা সাক্ষাৎকার শুধু অবৈধ নয়, অনৈতিকও বটে,’ যোগ করেন নওফেল।
আদালতের আদেশ মেনে চলতে এবং সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামির খবর প্রচার থেকে বিরত থাকতে তিনি মিডিয়াকে অনুরোধ করেন।