মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সাথে সাক্ষাত করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে আমিনুর যমুনা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বড় বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক মোবাইলের মাধ্যমে জরুরি কথা বলার নাম করে তাকে পশু হাসপাতালে আসতে বলেন। হাসপাতালে পৌঁছালে সাদিক তাকে বলে আপনি বড় বাজারে ভালো ব্যবসা করেন। অথচ আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। কোনো টাকা পয়সা দেন না। আমরা আপনার কাছে ৫ লাখ টাকা ধার্য্য করেছি। আজকে যা পারেন দেন। বাকিটা কাল সাইফুলের (২ নং আসামি) কাছে দেবেন।
আমিনুর রহমান উত্তরে বলেন, আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি এবং নিজেও আওয়ামী লীগের একজন পদধারী ব্যক্তি। সুতারাং কোনো চাঁদা দিতে পারবো না। আর এভাবে চাঁদাবাজি করে দলের ভাবমূতি ক্ষতি করো না। একথা বলার সাথে সাথে আসামিদ্বয় বাদীর সাথে তুইতোকারি করা শুরু করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমিনুরকে মারপিট করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এ সময় আমিনুর রহমানের কাছে থাকা ব্যাংক থেকে উঠানো দুই লাখ টাকা কেড়ে নেয়া হয় বলেও অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি এজাহার পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক জানান, আমি কারোর কাছ থেকে চাঁদ নেইনি। আমিনুর যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি মিথ্যা। সে একজন মাদক ব্যাবসায়ী বলে দাবি করেন তিনি।