তিনি বলেন, ‘এখন তারা (সরকার) নির্বাচনে করা এত বড় চুরি সামাল দিতে পারছে না...কাদের সাহেবকে বলেন, ভয়াবহ মিথ্যাচার এবং জনগণকে প্রতারণা ও বঞ্চিত করার জন্য যাতে স্টেডিয়ামে গিয়ে প্রথমে জাতির কাছে মাফ চান।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘অন্য দলগুলোর সাথে আলোচনার জন্য পথ তৈরি হবে, যদি তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণের কাছে মাফ চায়।’
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত যশোর যুবদলের কর্মী ফয়সাল আলীকে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর যশোরে সরকারি দলের কর্মীরা ফয়সালকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন।
ফখরুল চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন এবং আহত যুবদল কর্মীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, পুরো দেশ হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার লুণ্ঠন করে ক্ষমতা দখল করেছে। ‘তারা এখন প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বিরোধীদের খুঁজে বের করছে ও নির্যাতন চালাচ্ছে। সেই সাথে তারা বিরোধীদের বাড়িঘর, দোকান ও অন্যান্য সম্পদ দখল করে দেশে গুরুতর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।’
সোমবার সিলেটের বালাগঞ্জ সফরের প্রসঙ্গ তুলে ফখরুল বলেন, স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন যে কীভাবে বিরোধী নেতা-কর্মীদের নির্যাতন এবং নির্বাচনের দিন ছাত্রদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ‘এমনকি তারা (আওয়ামী লীগ কর্মী) সেখানে নারীদের ওপর গুলি চালিয়েছেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, শাসক দল দেশে ও বিদেশে নির্বাচনকে ন্যায্য প্রমাণ করতে এখন বিভিন্ন ‘অপকৌশল’ চালাচ্ছে। ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে তাদের লজ্জা-শরম বলতে কিছু নেই। তারা নির্বাচনে মহাবিজয়ের দাবি করছে, কিন্তু মানুষ একদম হতাশ। কারণ তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।’