বুধবার দুপুর দেড়টায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
নিহত জেসমিন আক্তার (১৬) ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিণা গ্রামের চুন্নু মিয়ার মেয়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল (২৩) চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামের অলিউল্যা শেখের ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিরাজ (৩৫) একই উপজেলার সোবহানপুর গ্রামের চুন্নু মেম্বারের ছেলে এবং নুর ইসলাম (৩৫) একই এলাকার পূর্ব গুলিশা গ্রামের মুসলিম রাঢ়ীর ছেলে।
মামলার বিবরণ অনুয়ায়ী ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে কোন এক সময় আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে জেসমিন আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে ফসলের মাঠে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন ভোরে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) রহমান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বিচারক এই রায় দিলেন। আসামিরা আটক হওয়ার পর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।