পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও স্বরূপকাঠী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে ধলহার গ্রামে নিখোঁজের ৬ দিন পরে পেয়ারা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় শুভ মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া সকালে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে মো. ইব্রাহীম নামে এক বাক প্রতিবন্ধী যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
অন্যদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের নিজ বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রেজাউল ইসলাম নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বরুপকাঠীতে মৃত শুভ মিস্ত্রি (২৬) আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে ধলহার গ্রামের মধু সুধন মিস্ত্রির পুত্র। মঠবাড়িয়ায় নিহত ইব্রাহীম ঘোপখালী গ্রামের মৃত ইউনুচ হাওলাদারের ছেলে ও রেজাউল ওই গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী নাজমুল হোসেনের পুত্র।
পুলিশ জানায়, বরগুনা এলাকার নিপা মিস্ত্রির সঙ্গে তিন বছর আগে ধলহার গ্রামের শুভ মিস্ত্রির বিয়ে হয়। গত এক বছর ধরে তাদের পারিবারিক কলহ চলছে। এক পর্যায়ে নিপা মিস্ত্রি তার পিত্রালয়ে চলে যায়। সম্প্রতি ধলহার এলাকার সজল মিস্ত্রি ও শুভ্র মিস্ত্রি বিষয়টি শালিস মিমাংসার চেষ্টা করেন। এর দুই দিন পরে গত সোমবার থেকে (২১ আগষ্ট) শুভ মিস্ত্রি নিঁখোজ ছিলেন। ২২ আগস্ট মঙ্গলবার তার মা নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন। শনিবার সকালে পেয়ারা বাগানে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পেয়ারা বাগানের শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহম্মেদ জানান, সকালে খবর পেইয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।
এদিকে মঠবাড়িয়ার পুলিশ জানায়, নিহত ইব্রাহীমের বাবা মারা যাওয়ার পর মা রেনু বেগম পার্শ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলায় দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
এদিকে বাক প্রতিবন্ধী ইব্রাহীম ভবঘুরে জীবনযাপন করে আসছিল। শনিবার সকালে পার্শ্ববর্তী বেতমোর গ্রামের একটি পুকুরে ইব্রাহীমের লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
এ ছাড়া শুক্রবার বিকালে রেজাউলের মা ও ছোট ভাই বেড়াতে গেলে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করা ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো রেজাউলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এলাকায় রেজাউলের মৃত্যুতে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যপারে তার মামা মো. সোলায়মান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, দু'টি মৃত্যুই রহস্যজনক হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এঘটনায় থানায় দু'টি পৃথক অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার