ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ের গঠিত ‘করোনা সাপোর্ট টিমের’(সিএইসটি) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর ডা. কাজী হেফায়েত হোসেন।
ইউএসএআইডির 'মামনি' মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক প্রকল্পের সহায়তায় এটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে ডা. কাজী হেফায়ত হোসেন ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সিবিএইচসি থেকে তার সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন এবং এতে জড়িত স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে কোভিডে এক দিনে ১৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৬২
তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে শুরু হওয়া এই নতুন এবং অনন্য মডেলটি হোস্ট করে আমি সত্যিই গর্বিত। আমাদের কাছে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং হাজার হাজার প্রশিক্ষিত কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার্স রয়েছে। আমরা যদি এই কাজের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও ব্যবহার করি তবে এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছাতে সহায়তা করবে।’
স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং এইচআইভি/এইডস, সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক ডা. শামীম জাহান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকার খবর আমাদের আশা জাগিয়ে তোলে। তবে, আমাদের এও মনে রাখা উচিত যে দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু হয়ে তা সবার কাছে পৌঁছাতেও কিন্তু যথেষ্ট সময় নিবে। ততক্ষণ আমাদের সব কাজ থামিয়ে রাখা চলবে না এবং মহামারি মোকাবিলায় আমাদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ইউএসএআইডির আর্থিক সহায়তায়, সেভ দ্য চিলড্রেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্যোগে সরকারকে সহায়তা করে চলেছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলাতেও আমাদের রয়েছে একটি প্রকল্প যা জরুরি সরকারের কার্যক্রমগুলোর সহায়তা করে চলেছে এবং এই উদ্যোগের সাথে আমরা এখন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য রাখছি।’
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন প্রদানে প্রস্তুত ৭,৩৪৪টি দল, প্রতি দলে ৬ জন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যক্ষ্মা নির্মূলে সিলেট বিভাগে ইউএসএআইডি’র নতুন উদ্যোগ
বাংলাদেশ ইউএসএআইডির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রিয়াদ মাহমুদ এই প্রক্রিয়াতে যুক্ত সব স্টেকহোল্ডারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মহামারি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের জন্য কাজ করা অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠী ও সংস্থাগুলোর কাছেও পৌঁছানো প্রয়োজন। এছাড়াও, আমাদের নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যদিও আমাদের এখানে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, তাই বলে আমাদের কার্যক্রম থামিয়ে দেয়ার উপায় নেই। যে কোনো সময়ে আবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে শুরু থেকেই করোনা মোকাবিলায় আমাদের সর্বস্তরের কর্মীরা দিন রাত কাজ করে গেছে, তাই এই নতুন কাজের প্রশিক্ষণ পেলে তারা একইভাবে সহায়তা করে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।’