এব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, এই জেলায় সেবাগ্রহীতাদের পরিসর বেড়েছে। জনগণও বেড়েছে। সেইসাথে পুলিশ কার্যালয়ের জনবলও বেড়েছে। এখন পুলিশের সুপারভিশন (পর্যবেক্ষণ) জরুরি হয়ে পড়েছে।
দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো পুলিশ বিভাগেও ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাজের তদারকি নিশ্চিত না হলে পুলিশের সেবার মান বাড়বে না। আমরা একটি সুপার কানেকটিভি গড়ে তুলতে চাইছি।’
তিনি বলেন, জনগণ এখন ঘরে বসেই সেবা পাচ্ছে। ই-পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এখন ঘরে বসে অনলাইনেই আবেদন করা যাচ্ছে। ডিজিটাল সিগন্যাচারও চালু হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, একটি আধুনিক নগরী গড়ে তুলতে সার্ভিলেন্স সিস্টেম গড়ে তোলা দরকার তার সবকিছুই এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আমরা এখানে সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। হয়ত ভবিষ্যতে এখানে একটি মিডিয়া সেন্টারও গড়ে উঠবে।
ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ শওকত বলেন, ভবনটির সম্মুখভাগ টাইলস আবৃত। একারণে ভবনটি দৃষ্টিনন্দন এবং এর বহিরাবরণে আর মেরামত করার প্রয়োজন হবে না। ৬ তলা ভবন নির্মাণ কাজের পাশাপাশি সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ চলাচলের পথও তৈরি করা হয়েছে।
জেলা শহরে এটিই প্রথম ৬ তলাবিশিষ্ট পুলিশ সুপারের কার্যালয় হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, চলতি মুজিব শতবর্ষেই এটি উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করছি।