পুলিশ
ফেনীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে বাঁশবোঝাই ট্রাকচালকের কাছে চাঁদাবাজির সময় দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় তাদের সাসপেন্ড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন—ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শুক্কুর এবং কনস্টেবল জাহিদ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের ট্রাংক রোডে দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ উপপরিদর্শক শুক্কুর ও কনস্টেবল জাহিদ ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী, সৌরভ হোসেন ও ইমরান হোসেন হাতেনাতে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা সিএনজি অটোরিকশাচালকের মাধ্যমে চা পানের কথা বলে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করছেন বলে স্বীকার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, বাঁশবোঝাই একটি ট্রাক থেকে এক সিএনজি অটোরিকশাচালক কিছু নিচ্ছিলেন দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তখন চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে পাশে থাকা কনস্টেবল জাহিদ বলেন, গরিব মানুষ, ১০০-২০০ টাকা নিলে সমস্যা কি? তার এই ধরনের মন্তব্যে উপস্থিত সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সিএনজিচালক বলেন, এসআই শুক্কুর ও কনস্টেবল জাহিদ তাকে গ্যাস বিল বাবদ ২০০ টাকা নিতে বলেছেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
দুই পুলিশ সদস্য ফেনী জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের দূতাবাস থেকে পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার
১ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ
বুধবারের হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এরপর সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে একটি মিছিল শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবাদ মিছিলটি আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় শিক্ষা ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে লাঠিচার্জ শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে হামলা, আহত অনেকে
৪ দিন আগে
অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কোনো ম্যাজিক নেই, পুলিশ কাজ করছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ দমনে পুলিশ কাজ করছে এবং এর কোনো 'ম্যাজিক সলিউশন' (জাদুকরি সমাধান) নেই।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের এসপিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে কোনো যাদুকরি সমাধান নেই কারণ আপনি পরিস্থিতি জানেন এবং কোথা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ রিটায়ারড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রমবর্ধমান চুরি, ডাকাতি ও হত্যার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, 'আমরা পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর করতে এবং তাদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। আমরা মানুষের আরও কাছাকাছি যেতে চাই এবং তাদের সহযোগিতা চাই। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদেরও আহ্বান জানাচ্ছি যাতে আমাদের সম্প্রদায়ের(পুলিশ সদস্যদের) সম্পৃক্ততা বাড়াতে সহায়তা করেন।’
পুলিশ বাহিনীতে পদোন্নতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, কর্মকর্তাদের অবদানের প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের উপায় হিসেবে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন চাকরির মেয়াদ বাকি থাকতেই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
তার মেয়াদ নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'আমি অবসর থেকে ফিরে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। জানি না কতটুকু অর্জন করতে পারব... তবে আমি চলে যাওয়ার সময় সম্মানটা সঙ্গে করে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থী সমন্বয়কারীদের হুমকির বিষয়ে আইজিপি বলেন, 'আমরা প্রতিটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে সমাধান করেছি। কালিয়াকৈরে ডাকাতি ও নারায়ণগঞ্জে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ছাত্র সমন্বয়কদের নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসব ঘটনা পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা নয় বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।
হুমকিসহ আরও দুটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন আইজিপি। এর একটি হলো ময়মনসিংহ থেকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া।
অপর ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহের নামে এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া হয়, যার ফলে সিরাজগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আইজিপি বলেন, 'আমরা প্রতিটি ঘটনা সমাধানের জন্য কাজ করছি, তবে সবগুলো ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র নেই।’
সম্প্রতি সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, 'এটা তদন্ত কমিটি কাজ করবে। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
৩ সপ্তাহ আগে
সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অবশ্যই জনগণের ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সেবা দিতে হবে। কারণ এটিই কলঙ্কিত বাহিনীর ভাবমূর্তি ফেরানোর একমাত্র উপায়।
শনিবার(২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে কলঙ্কিত করেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা এখনো লজ্জা পাই।’
তিনি বলেন, ‘এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশের মানুষের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। একমাত্র সেবার মাধ্যমেই আমরা আমাদের হারানো গৌরব ও ভাবমূর্তি ফিরে পেতে পারি, ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি পুলিশের দাবির পক্ষে সুপারিশ করার জন্য প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সমিতির মাধ্যমে সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বের মতো প্রভাব নাও ফেলতে পারে।’
তিনি পদমর্যাদা নির্বিশেষে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক সহায়তাসহ তার নিজের সহায়তারও আশ্বাস দেন।
৩ সপ্তাহ আগে
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের চিন্তা
সরকারি চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের জন্য সরকারকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে রিক্রুটমেন্ট (নিয়োগ), বিভিন্ন ব্যাপারে পুলিশের ভেরিফিকেশন একটা ম্যান্ডেটরি (বাধ্যতামূলক) জিনিস। এটা আমরা না রাখার সুপারিশ করছি। এটি কোথাও থাকবে না।’
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আপনি নাগরিক, পাসপোর্ট নেবেন আপনার নাগরিক অধিকার। আপনাকে পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে? ইংল্যান্ডে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে পোস্ট অফিসে পাসপোর্ট চলে আসে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা কমিশন আছে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী জানি না। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি হল এটি।’
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমার কাছে একটি জিনিস মনে হয়- খারাপ লোক যখন দেশে আসে, তাকে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ কী? বরং সে ভেতরে এলে আমার সুবিধা হলো, তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে। যদি কেউ চলে যেতে চায়, চলে গেল, অসুবিধা কি? বিমানবন্দরে এগুলো করা হয়, আমি মনে করি, এটি সময়ের অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয়। কে করে এটি? এই যে অদৃশ্য শক্তি- আমার ব্যক্তিগত অভিমত- সেগুলো হওয়া উচিত নয়।’
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১ মাস আগে
তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে তার অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার এড়াতে তাহেরি একটি বাড়ির পেছনে থাকা বিলের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ-পরিদর্শক ফারুক, সহকারী উপ-পরিদর্শক প্রদীপ দাস, কনস্টেবল ইউনুস মিয়া, নিজাম উদ্দিন, মহসিন কবীর ও মো. শওকত। তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আটকরা হলেন- ওমর আলী, শাহানুর, মোশারফ মিয়া, হাকিম মিয়া, সেলিম ও মিজান মিয়া। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার নাজিরাবাড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, বিনা অনুমতিতে তাহেরি একটি মাহফিলের আয়োজন করলে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে পুলিশকে বাধা দেয় তার অনুসারীরা। এরইমধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে একটি বাড়িতে ঢুকে ফটক বন্ধ করে দিয়ে বাড়িটির পেছনে অবস্থিত বিলের পানি সাঁতরে তিনি পালিয়ে যান।
১ মাস আগে
পুলিশ সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না: উপদেষ্টা
পুলিশ সাদাপোশাকে থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিরা যেন পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার না হন, আবার দোষী ব্যক্তিরা যেন ছাড় না পায়।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে মব-জাস্টিসের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কেউ অপরাধী হলে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতিতে জড়াবেন না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে যে স্থবিরতা ছিল সেটার উন্নতি হয়েছে। তবে তা জনগণের চাহিদা অনুযায়ী হচ্ছে না। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এ থেকে উত্তরণ সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধারে অভিযান চললেও এ পর্যন্ত আশানুরূপ সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
আরও পড়ুন: থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা
এগুলো উদ্ধারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কিত থাকায় একাজে গতিবৃদ্ধি করা দরকার বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের বড় ব্যাধি হলো ঘুষ। এটি বন্ধ না হলে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হওয়া কঠিন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীতে নিয়োগ ও বদলিতে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পাশের দেশের অনেক মিডিয়া মিথ্যা ঘটনা তৈরি করে প্রচার করছে। আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোকে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে হবে। তাহলেই তাদের অসত্য প্রচার সবার সামনে দৃশ্যমান হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। আইন সবার জন্য সমান।
তিনি আরও বলেন, বাজারে সয়াবিন, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। সয়াবিন আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। আলুর দাম বেশি থাকায় কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি লাভবান হচ্ছে।
আগামী রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০৫ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকী, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, ডিজিএফআই’র কর্ণেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. রেজাউল হক।
সভায় অংশ নেন- সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, খুলনা রেঞ্জ পুলিশ, রেঞ্জস্থ সকল জেলার পুলিশ ইউনিট, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলের ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নয়, ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু সদস্য ভালো কাজ করেননি, আইনভঙ্গ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশ অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টারসে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন 'যে সমস্ত পুলিশ জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তারা পলিটিক্যালি ইনভলভ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হত্যা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় আছে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য লুকানোর নজির আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন 'এই সরকার তো স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট)। এখন তো খুন, গুম এগুলো নেই যে আমরা লুকিয়ে রাখব। আগের সরকারের সময়ে যেটা হতো। এখন আমাদের লুকানোর কিছু নেই।'
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
তিনি বলেন, 'আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যতটুকু আছে ততটা দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি।
এত মানুষ মারা গেছে, এটা বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের কোথাও ঘটেনি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, 'বাংলাদেশে পরিবর্তনের পর সঠিক জায়গায় সঠিক লোক দিতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে অনেককে। আমরা গতকাল (৪ ডিসেম্বর) বিভাগ অনুযায়ী মেন্টরিং এবং মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। যারা তদন্ত করতে দক্ষ তাদেরকে আমরা সেসব জায়গায় দেব।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পুলিশের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
আন্দোলনে আহত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন 'যে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর কাউকে ফিক্সড ডিপোজিট দেওয়া হয়েছে। যে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গেও আমাদের এখান থেকে যোগাযোগ রাখা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যাপারে সহায়তা করা হয়েছে।'
সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ যেসব শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন তাদের অবস্থান এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান তিনি। তারা দেশে থাকলে খুব দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মাঠপর্যায়ে পুলিশ সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলা না গেলেও দ্রুত সব কিছু পুনর্গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
১ মাস আগে
পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
২ মাস আগে
মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩
ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সেনাসদস্যরা।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং ভাষানটেক থেকে তাদের আটক করে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আটকরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন।
পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে, এতে দুই পোশাকশ্রমিক আহত হন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
২ মাস আগে