ওই পরিবারের পাঁচজনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জ্ঞান ফিরলেও ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না।
জানা গেছে, ফাজিলচিশত এলাকার কানাডা প্রবাসী আলাউর রহমান চৌধুরীর ২২/১ নং বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী সিদ্দেক আলীর পরিবার। সিদ্দেক আলী ও তার ছেলে সাইদুল হক সৌদি আরবে থাকেন। ফাজিলচিশতের ওই বাসায় থাকেন প্রবাসী সিদ্দেক আলীর স্ত্রী, তিন সন্তান ও আরেক নারী।
আরও পড়ুন:চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ফের লঞ্চে ডাকাতি
সাইদুলের বন্ধু জাসওয়ান আহমদ জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে একদল ডাকাত রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে সবাইকে অজ্ঞান করে দেয়। এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার জোহরের নামাজের সময় প্রতিবেশীরা ওই বাসার দরজা-জানালা বন্ধ এবং রান্নাঘরের জানালার গ্রিল ভাঙা দেখে খোঁজ নিয়ে দেখেন সবাই ঘরে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। এ সময় স্থানীয়রা সিদ্দেক আলীর স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর মধ্যে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন:যুক্তরোষ্ট্রে পারিবারিক ইমিগ্রেশন ভিসা চালুর দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন
পরে দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়রা সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় খবর দেন। বিকাল ৫টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পরে ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থদের খোঁজ-খবর নেয়।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল এবং ওসমানী হাসপাতাল ঘুরে এসেছে। তবে আমাদের জানামতে মোবাইল ফোন ছাড়া আর কিছু লুট হয়নি। আর এটিকে ঠিক ডাকাতিও বলা যায় না।’
আরও পড়ুন:সিলেট বিমানবন্দরে ১৪টি সোনার বারসহ দুবাই ফেরত যাত্রী গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘অসুস্থদের হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জের প্রক্রিয়া চলছে। তারা সুস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ করলে বা মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’