নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি জানান, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সবগুলো প্রার্থী দিয়েছে।
হেলালুদ্দীনের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এইচএম এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির ২৩৩ জন প্রার্থী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন বুধবারের মধ্যে মোট তিন হাজার ৬৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলের পক্ষে ছাড়াও ৪৯৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেশের বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন।
মোট ৩০০ আসনের মধ্যে যে পাঁচটিতে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেয়নি সেগুলো হলো- টাঙ্গাইল-৮, মৌলভীবাজার-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষ্মীপুর-৪ ও চট্টগ্রাম-১৪।
আওয়ামী লীগ ৩৬টি আসনে প্রার্থী দেয়নি। আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-২, গাইবান্ধা-১, বগুড়া-২, ৩, ৪, ৬ ও ৭, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-৩ ও ৬, পিরোজপুর-২ ও ৩, ময়মনসিংহ- ৪ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মুন্সিগঞ্জ-১, ঢাকা-৪, ৬ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫, সুনামগঞ্জ-৪, সিলেট-২, মৌলভীবাজার-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-১ ও ৩, লক্ষ্মীপুর-২ এবং চট্টগ্রাম-২ ও ৫।
এইচএম এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ৯০টি আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাদে বাকি ৩৫টি রাজনৈতিক দল থেকে এক হাজার ৫৮ জন প্রার্থী দেশের বিভিন্ন আসনে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন।
বিএনপি বেশিরভাগ আসনে এবং আওয়ামী লীগ ১৭টি ও জাতীয় পার্টি ২৩টি আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়ের আগে এসব আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে দলগুলো।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, জমা হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীদের তা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।