সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দেন।
এই তিন দফা নির্দেশনা হচ্ছে:
১. স্থল বন্দর, নৌ বন্দর, বিমান বন্দর, বিশেষ করে বিমানবন্দরে যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আগমন করছেন, তখন অভ্যন্তরে প্রবেশের আগে তাদেরকে কি ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে, যারা পরীক্ষা করছেন তারা প্রশিক্ষিত কি না এবং যে যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কিনা তা জানাতে বলেছেন।
২. সারা বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের জন্য পৃথক কেবিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো এখন পর্যন্ত প্রাক প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সকল বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও করোনাভাইরাসের জন্য প্রাক প্রস্তুতিমূলক সকল ধরনের ব্যবস্থা (পৃথক কেবিনসহ চিকিৎসকের সরঞ্জাম) গ্রহণ করতে হবে।
৩. প্রত্যেকটি হাসপাতালে বা বন্দরগুলোতে যেখানে শনাক্তের জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হবে সেখানের জন্য সরঞ্জামগুলো দেশে পর্যাপ্ত রয়েছে কিনা, যদি না থাকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদালতে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে প্রকাশিত সংবাদ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী আদালতের নজরে নিয়ে আসলে উচ্চ আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এ তিন দফার পাশাপাশি এ বিষয়ে কেউ যেন ভীতি সঞ্চার না করে সে বিষয়ে সচেতনতার জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চীনের উহার শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে গত ডিসেম্বর থেকে সারা বিশ্বে অন্তত ৩ হাজার ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃত এবং আক্রান্তদের বেশিরভাগ চীনের এবং দেশটির হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।