পায়েল হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনছারী জানান, মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার জনি। আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
আদালত আজ ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে।
এর আগে ২৭ মার্চ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় তা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল। একদিন পর ২২ জুলাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে তাদের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানায়, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌঁড়ে এসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে জ্ঞান হারান। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার বদলে মুখ থেতলে দিয়ে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন আসামিরা।
গজারিয়া থানার পুলিশ ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটি চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পায় পায়েলের পরিবার। এরপর গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রামে বিচার শুরু হয়।