মামলা
কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ছাত্রদের করা নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমারখালী পৌরসভার পদ্মপুকুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
গ্রেপ্তাররা হলেন— কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্ত ও একই এলাকার উপ-দপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়।
পুলিশ জনায়, সকাল ৬টার দিকে লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা চেষ্টার উদ্দেশ্যে পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়কে লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে আটক হৃদয়কে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র শামীম হোসেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে। পরে কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল, তন্ময়সহ বাগেরহাট আ.লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নাশকতা করার উদ্দেশে পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হচ্ছিল। পরে পুলিশের খবর পেয়ে তার দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘৩০ জনকে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
১ দিন আগে
বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কুড়িগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় এ মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, সাবেক মন্ত্রীকে ২ নম্বর আসামি এবং ছেলেকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, ছেলের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৪ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪১১ টাকা সন্দেহজনক উত্তোলনসহ সর্বমোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার সঠিক বৈধ উৎস ও ব্যাখ্যা না থাকায় সন্দেহজনক লেনদেন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। একই সঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অবৈধ অর্থকে বৈধ করার উদ্দেশ্যে ছেলের নামে সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনাস্থল লালমনিরহাট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা উল্লেখ করা হয়। আর ঘটনার সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন নিজে তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রীকে গত বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলিতে মানিক নামে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী। মন্ত্রীর নামে রংপুর ও ঢাকায় তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। সে মামলায় তিনি জেলহাজতে আছেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট নগরীর রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে গুলিতে নিহত পথচারী মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার আসামি। ওই ঘটনায় নুরুজ্জামান আহমেদসহ ১২৮ জনের নামে গত ৩১ আগস্ট রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মুন্নার বাবা কাউনিয়া উপজেলার বরুয়াহাট এলাকার আব্দুল মজিদ।
এ ছাড়াও তার নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ১১ সেপ্টেম্বর ও ২৪ আগস্ট করা দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনটি হত্যা মামলায় তিনি এতদিন আত্মগোপন করে ছিলেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে তিনবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একবার প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও একই দপ্তরের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
৬ দিন আগে
অনলাইনে মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সারা দেশে অনলাইনে মামলা দায়ের করার সেবা চালু করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বর্তমানে, নিকটবর্তী থানায় যাওয়ার পরেই কেবল এফআইআর দায়ের করা যায়। পদ্ধতিটি জটিল এবং এতে অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: একুশের টান প্রজন্মের ঊর্ধ্বে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুলিশের উচিত ৯৯৯-এর মতো একটি নিবেদিত কল করার জন্য একটি নম্বর করা। যাতে অভিযোগকারীরা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এফআইআর দায়ের করতে পারেন।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনলাইনে এফআইআর দায়ের করার জন্য একটি নতুন ফোন নম্বর চালু করতে পুলিশ প্রধান বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের নাগরিকদের মামলা করার সময় যে ঝামেলার মুখোমুখি হয় তা কমাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা অনলাইনে মামলা দায়েরের বিষয়ে যেকোনো তথ্য দেওয়ার জন্য একটি নিবেদিত কল সেন্টার স্থাপনের জন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যারা অনলাইনে মামলা করতে সমস্যার মুখোমুখি হবে- তারা সহজেই কল সেন্টারের সহায়তা নিতে পারবেন।’
১ সপ্তাহ আগে
হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজধানীর বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.আখতার হোসেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
আসামিরা হলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান।
২ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লার নাশকতা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
২০১৫ সালে কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রাম থানায় করা নাশকতার মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আফরোজা জেসমিন তাকে অব্যাহতি দিলেও বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
কুমিল্লার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কায়মুল হক রিংকু জানান, ২০১৫ সালে ২৫ জানুয়ারি হরতাল চলাকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হায়দারপুলে ঢাকা-চটগ্রাম মহাসড়কে একটি কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় নাশকতার মামলা করা হয়।
পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। খালেদা জিয়া মামলার ৩২ নম্বর আসামি।
তিনি জানান, এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক কারণে মামলাটি করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চলছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
এছাড়া এজাহারে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও অভিযোগপত্রে ৪২ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্যে ৩৬ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ায় তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জে আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম।
মামলায় আবদুল হামিদ, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনার পর ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলায় প্রথমবারের মতো আসামি হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
যদিও এ মামলায় আবদুল হামিদ তিন নম্বর আসামি। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, দুই নম্বরে শেখ রেহানা। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা এক থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যেন কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সেজন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন।’
‘ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।’
বাদী তহমুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের সময় পুলিশের হামলায় আমি আহত হয়েছিলাম। আমি আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় থানায় এসে মামলা করেছি।’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
৩ সপ্তাহ আগে
রাজউকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজউক থেকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুই মামলায় আলাদা করে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
জয়কে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় সহায়তায়কারী হিসেবে শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জিনিয়ার) ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
অন্যদিকে, জয়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।
এছাড়া সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জি), পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরিচালক নুরুল ইসলামও রয়েছেন এই মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় এবং তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইনবিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন। তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০০৯ নিজ নামে দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৬১/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ১২ থেকে ১৩ জন রাজউক ও গৃহায়নের কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩ সপ্তাহ আগে
কল্পকাহিনীর ভিত্তিতে ২১ আগস্ট মামলার বিচার করা হয়েছে: শিশির মনির
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই বেকায়দায় পড়েছে তখনই জঙ্গি ইস্যুকে হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনায় প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হয় নাই। এর সঙ্গে অন্য কোনো রাষ্ট্রের বা গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা পুনর্তদন্তের প্রয়োজন আছে।
আন্দাজ, অনুমান ও কল্পিত কাহিনীর মাধ্যমে বিচার করায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সবাই খালাস পেয়েছে বলে মত এই আইনজীবীর।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজনে আওয়ামী সরকারের জঙ্গি প্রচারণা নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিশির মনির বলেন, ‘৪০০ বছরের ফৌজদারি মামলার ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে এমন একটি নজির নাই যেখানে দ্বিতীয়বার স্বীকারোক্তি নিয়ে একজন মানুষকে সাজা দেওয়া যায়, যা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ডিজিএফআইয়ের বিশেষ সেলে আটক রেখে মুফতি হান্নানকে দিয়ে তারেক রহমান, আলী আহসান মুজাহিদ, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ শীর্ষ বিরোধী নেতাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।’
‘জঙ্গি ইস্যু ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের আমির শফিকুল ইসলামের মতো শীর্ষ রাজনীতিবিদকে সন্ত্রাসী হিসেবে জেলে আটকে রেখেছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদকে সামনে এনে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার নামে বিগত সরকার বিরোধী দল ও মতকে দমন করে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের অনুকম্পায় ক্ষমতায় টিকে ছিল।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা রকম অপকৌশল অবলম্বন করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল জঙ্গি দমনের নামে মানুষ হত্যা। তারা পশ্চিমা বিশ্বসহ ভারতকে দেখাতে চেয়েছিল বাংলাদেশে ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো উগ্রবাদী জঙ্গি রয়েছে। যে জঙ্গিরা শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের জন্যেও হুমকি। আওয়ামী লীগ সরকারই এই জঙ্গিবাদ দমন করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ নিজেকে রোল মডেল হিসেবে দাবি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার কৌশল অবলম্বন করেছিল। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে তারা বারবার নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর জঙ্গি তকমা লাগিয়ে নানা রকম নাটক সাজিয়ে হত্যা করেছে।’
‘গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে দাড়ি রাখা, টুপি পরা, বোরখা পরা, মসজিদে নামাজ আদায় করা ব্যক্তিদের টার্গেট করা হতো। এমনকি যেসব বাসাবাড়ি থেকে ফজরের নামাজ আদায়ে মসজিদে যেত তাদের টার্গেট করা হতো জঙ্গি আখ্যায়িত করার জন্য।’
কিরণ বলেন, ‘২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট নানা রকম পুরস্কার, পদোন্নতি ও প্রণোদনা বিনিময়ে জঙ্গি ধরার অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল। বিগত সরকারের আমলে পরিস্থিতি দেখে মনে হতো সারা দেশ জঙ্গিতে ছেয়ে গেছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, র্যাব, পুলিশ, ডিবি, গোয়েন্দা সংস্থা কার আগে কে তথাকথিত জঙ্গি আস্তানা আবিস্কার করবে, মিডিয়া কাভারেজ নিবে, দেশ-বিদেশে বাহবা কুড়াবে, যেকোনো মূল্যে জঙ্গি দমনের সাফল্য দেখাতে হবে; তথাকথিত সাফল্য দেখাতে গিয়ে এসব বাহিনী তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়ে বহু মানুষ হত্যার মাধ্যমে অনেক পরিবারকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। প্রায় সব জঙ্গি দমন ঘটনার পেছনে কোনো না কোনো গল্প সাজানো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে ক্রসফায়ার ও জঙ্গি নাটকের নামে হত্যার শিকার ব্যক্তিদের সঠিক তালিকা নেই। আমরা আশা করব একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিনা বিচারে, ক্রসফায়ার ও জঙ্গি নাটকে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন করে তা প্রকাশ করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
‘দেশকে জঙ্গি তকমা দেওয়া ছিল আওয়ামী শাসকদের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক নয়ন মুরাদ, সংবাদিক আহমেদ সরওয়ার ও সাংবাদিক রিয়াজ রায়হান।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
৪ সপ্তাহ আগে
শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ২০০ থেকে ৩০০ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে রাখা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামিদের মধ্যে অন্যতম— নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি নিক্সন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, মো. আবুল হোসেন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি মামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত ৮টার সময় চিটাগাং রোডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলন করছিল। তখন ওই আন্দোলনস্থলে বাদী আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলেও উপস্থিতি ছিলেন। সেসময় আন্দোলন দমাতে উক্ত মামলার আসামিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে বাদীর ছেলে পিঠের বাঁ পাশ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন।
১ মাস আগে
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
১ মাস আগে