রুহানি চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে একটি আঞ্চলিক শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের অঙ্গীকার করেছেন। সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাসহ একাধিক আক্রমণের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার মাঝে তিনি এ কথা বললেন।
১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকী উপলক্ষে তেহরানে এক সামরিক কুচকাওয়াজে রুহানি বলেন, ইরান পারস্য উপসাগরের দেশগুলোর প্রতি বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছুক এবং এমনকি তাদের অতীতের ভুল ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত।
‘এ অঞ্চলের ঘটনাগুলোর সাথে যারা ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানকে জড়িত করতে চায় তারা মিথ্যাচার করছে তাদের প্রকাশিত হওয়া আগের মিথ্যাগুলোর মতো। যদি তারা সত্যবাদী হয় এবং আসলেই এ অঞ্চলে শান্তি চায় তাহলে তাদের অবশ্যই এ অঞ্চলে অস্ত্র, যুদ্ধ বিমান, বোমা ও বিপদজনক অস্ত্র পাঠানো উচিত হবে না,’ বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
রুহানির মতে, তাদের অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। ‘আপনাদের উপস্থিতি সব সময় এ অঞ্চলের জন্য বিপর্যয়কর ছিল এবং আমাদের অঞ্চল ও দেশগুলো থেকে আপনারা যত দূরে সরে যাবেন আমাদের অঞ্চলে তত বেশি নিরাপত্তা আসবে।’
তিনি জানান, আঞ্চলিক দেশগুলোর সাহায্য নিয়ে ইরানের পরিকল্পনা পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালী ও ওমান উপসাগরে নিরাপত্তা দেয়ার প্রতি নজর দেবে। ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন, ভারত, ওমান, পাকিস্তান ও রাশিয়ার সাথে নৌ সহযোগিতা জোরদার করেছে।
তেলের জাহাজ জব্দ ও ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের পানিপথ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন জোট গঠন করেছে। এতে যোগ দিতে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাত রাজি হয়েছে।