সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালত বিএনপির মনোনীত অন্যপ্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবিরের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয়।
এতে তিনি বিএনপির প্রার্থিতা হারান এবং সেই সাথে নাশকতার মামলায় মানিকগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে এলে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় জিন্নাহ কবিরকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ওই আসনে বিএনপি মনোনীত অন্যপ্রার্থী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এ কবীর জিন্নাহর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল চেম্বার আদালত খারিজ করলে ডাবলুর মনোনয়ন বৈধ হয়।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ-১ আসনে কৌশলগত কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় তিনজনকে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না এই মর্মে হাইকোর্টের আদেশে বাতিল হয় তোজাম্মেল হক তোজার মনোনয়ন। চূড়ান্ত মনোনয়নের দৌড়ে থেকে যায় এস এ জিন্নাহ কবির এবং অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু।
কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে এই দুই জনকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মহাসচিবের সাথে কথা বলে বৈধ প্রার্থী হিসেবে এস এ জিন্নাহ কবিরকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং নিজেকে বৈধ প্রার্থী দাবী করে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। আদালত তার পক্ষে রায় দেন এবং নির্বাচন কমিশনকে তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আদেশ দেন।