তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের এই নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগের গণজোয়ার উঠেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে কাদের এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বিএনপি গণভবনে না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন দেশে বিদেশে ভালো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে বিএনপি কেন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে সেটা বোধগম্য নয়। তারা যেভাবে সংলাপের বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া করেছেন সেটা গণতন্ত্র সম্মত নয়। তাদের আচরণ নেতিবাচক রাজনীতির প্রকাশ।’
‘অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো অনেক আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এখন বিএনপি যে চেষ্টা করছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, সেটাতেও কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই অপচেষ্টা সফল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা চিঠি লিখেছে, কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেয়নি। সবাই নির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কাদের বলেন, ‘তারা আসলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তারা নির্বাচনে আসলে, সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সবরকম সহযোগিতা থাকবে। তারা (বিএনপি) নির্বাচনে না এসে ভুল করবেন কি সঠিক করবে, সেটা তাদের বিষয়।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেও বিএনপি ছাড়াই সংসদ শুরু হচ্ছে এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। তারা যদি অংশ না নেয় তাহলে আমরা কি তাদের জোর করে আনবো? তারা বিরোধী দলের কথা বলবেন, সংসদ সক্রিয় হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি তো গেল পাঁচ বছর সংসদে ছিল না সংসদ চলেনি?’
গণফোরামের দু’জন শপথ নেয়ার বিষয়ে কাদের বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের দুই এমপির শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছি। তারা সংসদে আসলে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাবো। আমরা চাই তারা আলোচনা করবেন, বিতর্কে অংশ নেবেন। তারা যতই সমালোচনা করবেন, গণতন্ত্র ততই শক্তিশালী হবে।’
ফখরুল ইসলামকে সংসদে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব যদি বলেন পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হয়েছে, তাহলে তিনি কী পক্ষপাতমূলকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন? তিনি কিভাবে নির্বাচিত হলেন? তিনি কারো দয়ায় নির্বাচিত হননি। এটা তার অধিকার। তাকে ফোন করে আনতে হবে কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যে কয়টা আসনই পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, তাদের সংখ্যা কত সেটা আমরা দেখবো না। তারা যদি কোনো যুক্তিসংগত বিষয় সংসদে উপস্থাপন করে তাহলে আমরা সেটা বিবেচনা করবো।’
সংসদের উপনেতা কবে ঠিক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন হবে, চিফ হুইপ ও হুইপ করা হবে। সংসদ শুরু হলেই সব জানতে পারবেন।
১৪ দল কি বিরোধী দলে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘১৪ দল বিরোধী দলে আসা এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। নৌকা প্রতীকে ঠিকই, দলীয় পরিচয় কিন্তু আলাদা। তারা দুঃসময়ের বন্ধু ছিল। তাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বিধা থাকলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। সুসময়ে তাদের ত্যাগ করবো না।’