সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পৃথক তিনটি মারামারির ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
মারামারিতে আহত জাফর ইমাম (৪২) এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার শিলের ভাঙ্গা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগের একটি মামলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাফর ইমাম ও তার মামাত ভাই সাদ্দাম হোসেনের মধ্যে গত বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় লাচুখালে মারামারি হয়। মারামারিতে সাদ্দাম ও জাফর দুজনেই আহত হয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪টায় জাফর ইমামের মৃত্যু হয়। জাফর ইমামের বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নভাগী গ্রামে গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে জয়নাল মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জয়নাল মিয়া ওই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর জয়নাল মিয়ার দখলে থাকা একটি গাছের ডাল জোর করে কেটে মাছের ফিসারিতে দিচ্ছিলেন প্রতিবেশি মেরাজ উদ্দিন। এ নিয়ে জয়নাল মিয়ার ছেলে ও মেরাজ উদ্দিনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এর একপর্যায়ে জয়নাল মিয়া সেখানে উপস্থিত হোন। জয়নাল মিয়া ও মেরাজ উদ্দিনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মেরাজ উদ্দিন গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জয়নাল মিয়া। পরে পরিবারের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মারামারিতে আহত একজনের মৃত্যু
অপরদিকে বুধবার (১০ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শিমুলতলা নোয়াগাঁও গ্রামে জমি নিয়ে মারামারিতে মোশাহিদ আলী (৬২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নের শিমুলতলা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোশাহিদ আলী ও প্রতিপক্ষ ফারুক মিয়ার মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকাল ৮টায় মোশাহিদ আলীর গোষ্ঠী ও ফারুক মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে এই জমি নিয়ে মারামারি হয়। এতে মোশাহিদ আলীসহ তার ভাতিজা ফারুক মিয়া, মওদুদ, হাসান, আব্দুল হান্নান আহত হয়। অপর পক্ষের আহত হয়েছে হামিদ মিয়া। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টায় মোশাহিদ আলী মারা যান। আহত ফারুক মিয়ার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী পৃথক মারামারি ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচারণার জন্য টক শো সাজিয়ে মারামারি