দিনাজপুরের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত ও একজন আহত হয়েছে। বুধবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছেন।
নিহত মিনার (১৭) উপজেলার আসকরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, তারা রাত ১০টার দিকে দুই-তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গতরাতে উপজেলার দিনাজপুর সীমান্তের হরিপুর-তেলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,বুধবার সকালে হরিপুর সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়রা তার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, নিহতের লাশ ও আহত অন্যজন বর্তমানে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ আজ একটি পতাকা বৈঠক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএসএফের দাবি, গতকাল তাদের একটি টহল দল হরিহরপুরের ১৭৪ নম্বর সীমান্ত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (বিওপি) কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তারা জানায়, এসময় রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে প্রায় ৯-১০ জন বাংলাদেশি ‘চোরাকারবারী’কে কোনো পণ্যের চালান নিতে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে আসতে দেখে। এসময় টহল দল তাদের থামতে নির্দেশ দিলেও চোরাকারবারীরা বিএসএফ জওয়ানদের একজনকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণার এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
বিএসএফ আরও জানায়, ওই জওয়ানকে ঘিরে ফেলতে দেখে তার সহকর্মীরা ‘চোরাকারবারীদের’ ছত্রভঙ্গ করার জন্য একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতেও তারা তাতে কর্ণপাত না করে ওই জওয়ানের আরও কাছে এগিয়ে আসতে থাকে।
তারা জানায়, চোরাকারবারীদের আগ্রাসন দেখে ওই জওয়ান বাতাসে এক রাউন্ড পিএজি গুলি ছোঁড়ে, কিন্তু এরপরও তারা ওই জওয়ানের কাছে এগিয়ে আসতে থাকে।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই জওয়ান ‘চোরাকারবারীদের’ দিকে পিএজি’র আরেকটি গুলি ছোঁড়ে।
বেশ কয়েকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ‘চোরাকারবারীরা’ ওই জওয়ান আটকে তার অস্ত্র নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল।
ওই জওয়ান আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে যে ‘চোরাকারবারী’ তার রাইফেল ধরে ছিল সরাসরি তার গাঁয়ে লাগে। এসময় ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
তারা জানায়,গুলির শব্দ শুনে ও তাদের সহযোগীকে আহত হতে দেখে অন্য ‘চোরাকারবারীরা’ বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়।