বিজিবি
চুয়াডাঙ্গায় ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে মো. আল মামুন মন্ডল (২৮) নামে একজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ সময় তার কাছ থেকে ১ কেজি ১৬৬ গ্রাম ওজনের ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সীমান্ত মেইন পিলার ৭৮/৮-আর থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর পাকা রাস্তার মোড় এলাকা থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বন্ধুর প্রতারণা, ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করল পুলিশ
আটক যুবক মো. আল মামুন মন্ডল মো. মুজিবর মন্ডলের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকা থেকে আল মামুন মন্ডল নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি। তিনি শুক্রবার সীমান্ত দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, পরে ওই চোরাকারবারিকে তল্লাশি করে ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও বাইসাইকেল জব্দ করা হয়। স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২.২২৮ কেজি স্বর্ণ জব্দ, ২ যাত্রী আটক
স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বার্ষিক কুচকাওয়াজে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেইন অব কমান্ড মেনে চলায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চেইন অব কমান্ড একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না; চেইন অব কমান্ড অনুসরণ অব্যাহত রাখুন।’
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বাহিনীটির সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ এর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ প্রণয়নকে বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করতে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে বিজিবিকে একটি দক্ষ, শক্তিশালী, আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিজিবি এখন স্থল, জল এবং আকাশপথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবিকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১' গ্রহণ করেছে।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে বিজিবিও হবে স্মার্ট বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে এগিয়ে যাক।’
প্রধানমন্ত্রী দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা এবং দেশের যে কোনো সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে চোরাচালান, মাদক, নারী, শিশু পাচারসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ প্রতিহত করেছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রহরীর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো যেকোন সমস্যায় বিজিবি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জানমাল রক্ষায় সর্বদা ভূমিকা রাখছে এবং এভাবেই তারা জাতির আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।’
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে তার গভীর আবেগঘন সম্পর্কের কথা জানান। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ৫৭ জন বিশিষ্ট কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন ব্যক্তি দুঃখজনকভাবে নিহত হন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া এ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহের সময় হারানো মানুষের কথা স্মরণ করে তিনি গভীর দুঃখ অনুভব করছেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার ব্যক্তিগত সহানুভূতি প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আমার মতো আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে এ ধরনের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বে গৃহীত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আধুনিকায়নে বিগত ১৫ বছরে ৩৫ হাজার ৫১৭ জন সৈন্য নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন। অন্তর্ভুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, তার সরকার ২০১৫ সাল থেকে ৯৩৬ জন নারী সৈন্য যোগ দিয়ে বাহিনীতে নারীদের একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
উদীয়মান হুমকির প্রতিক্রিয়ায়, তার প্রশাসন সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলোতে 'স্মার্ট ডিজিটাল নজরদারি এবং কৌশলগত সীমান্ত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা' বাস্তবায়ন করেছে, নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক উন্নয়নে নিজের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। এই অবকাঠামো প্রকল্পের লক্ষ্য কেবল পার্বত্য সীমান্ত অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা নয় বরং প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও করা।
প্রধানমন্ত্রী পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে মার্চ-পাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বীরত্বপূর্ণ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ জন নির্বাচিত বিজিবি সদস্যকে বিজিবি পদক, রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক, বিজিবি পদক-সেবা ও রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক-সেবা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর 'প্রেরণা' শীর্ষক ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও অন্যান্য ৩৩৩ সদস্যদের বৃহস্পতিবার একটি জাহাজে করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার ইনানীর নৌ জেটিঘাট দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সকাল ৮টায় দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, শিগগিরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: বিজিবি
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: বিজিবি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আরও ৬৩ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৭ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের মোট ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে আজ অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে মিয়ানমারের ৬৩ সেনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক আজ সকালে বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিতে সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
এ সময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বরত সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ নেন এবং চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে।’
পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে: নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক
সেনা সদস্যসহ আরও ১২৩ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে: বিজিবি
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে আরও ১২৩ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াল ২২৯ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত ১১৩ জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে।
বিজিবির পিআরও বলেন, রবিবার সকাল থেকে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলব
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে: বিজিবি
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা ১০৬: বিজিবি
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৬ জনে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত ১০৬ জন বিজিপি সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বিজিবি মোতায়েন
এর আগে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের ১৪ সদস্যকে আশ্রয় নিতে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের পর আটক করা হয়েছে এবং কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
শরিফুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ছিল ৩৯ জন, রাত ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮ জনে এবং রাত ৮টার পর আরও ৩৮ জন এসেছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া রবিবার আহত ১৫ বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের সুপ্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত সামরিক শাখা আরাকান আর্মি, যা মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন চায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঠেকাল বিজিবি
এটি সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর একটি সদস্য। এরা সম্প্রতি মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে অর্জন করেছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সঙ্গে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে একত্রে কাজ করে – এটি ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর চীন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে একটি সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই অভিযান মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জোটের বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, তারা ২৫০টিরও বেশি সামরিক চৌকি, পাঁচটি সরকারি সীমান্ত ক্রসিং এবং চীন সীমান্তের কাছে একটি বড় শহরসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে নিয়েছে।
রাখাইনে ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নৃশংস বিদ্রোহ দমন অভিযানের ফলে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। রাখাইন পুরোনো নাম আরাকান নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির ৫৮ সদস্য, ৪ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
গত ২২ জানুয়ারি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর এবং ভারতের গাঙ্গুলিয়া সীমান্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
দুইদিন পর বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের(৩৫) লাশ গ্রহণ করে যশোর ৪৯-বিজিবির কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেওয়ার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাঠানো হবে।
নিহত রইস উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর সাহাপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিজিবি
বিজিবি জানায়, যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্তে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনার সময় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘনকুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয়। এ সময় বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে যশোর ৪৯-ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যশোর বিজিবি ব্যাটালিয়নে নেয়া হবে। পরে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
সেন্টমার্টিন দ্বীপে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিজিবি
সেন্টমার্টিনে ২০০ দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন শেষে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
এর আগে বুধবার তিনি কক্সবাজার-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী পালংখালী ও ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শন করেন।
এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালানসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন বিজিবি মহাপরিচালক।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: খাগড়াছড়িতে ৩৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
খাগড়াছড়িতে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে বিজিবি সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য, বিজিবি 'ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার' এর অধীনে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সারা দেশে ১১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১২তম অবরোধ: সারাদেশে ১৪৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১১ দফায় অবরোধ: সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন